যখনই ওজন কমানোর প্রসঙ্গ আসে, ডায়েটের উপরই বেশি জোর দেওয়া হয়। আর এসব ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই ওটস, ডালিয়ার মতো খাবার বেছে নেওয়া হয়। ওটস ও ডালিয়া দুটোই স্বাস্থ্যকর খাবার। কিন্তু দ্রুত ওজন কমাতে গেলে কোনটা বেশি করে খাবেন?
সকালের জলখাবারের তালিকায় ওটসের তৈরি নানা পদ থাকে। দুধ কিংবা দই দিয়ে ওটস খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। তাছাড়া ওটসের দিয়ে খিচুড়ি, ওমলেট, ইডলি সবই বানানো যায়। আবার ডালিয়া দিয়েও খিচুড়ি, পোলাও, পায়েস বানিয়ে খাওয়া যায়। কিন্তু ওজন কমানোর দৌড়ে ওটস নাকি ডালিয়া, কে এগিয়ে?
ওটস ও ডালিয়া দুটোই দানাশস্য। এই দুটো খাবারের মধ্যেই প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্সেও এই দুই খাবার কম সূচকে রয়েছে। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও নেই বললেই চলে। এই দুই খাবারই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। সুতরাং, এই খাবার যে স্বাস্থ্যকর তা বোঝাই যাচ্ছে।
ক্যালোরির দিকে দিয়ে একটু উনিশ-বিশ রয়েছে ওটস ও ডালিয়ার মধ্যে। ১০০ গ্রাম ওটসের মধ্যে ৩৮৯ ক্যালোরি পাওয়া যায়। অন্যদিকে, ১০০ গ্রাম ডালিয়ায় ৩৪২ ক্যালোরি রয়েছে। সুতরাং, ওটস খান বা ডালিয়া, ওজন বাড়ার বেশি ভয় নেই।
ডালিয়ার মধ্যে ভিটামিন বি এবং ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং আয়রনের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিও রয়েছে। ১০০ গ্রাম ডালিয়ায় ৬.৭ গ্রাম ফাইবার থাকে। দীর্ঘ সময় পর্যন্ত যাতে পেট ভর্তি থাকে সেজন্য আপনি ডালিয়া খেতে পারেন। এতে আপনি অতিরিক্ত খাওয়া থেকেও বিরত থাকবেন।
যাঁরা ক্যালোরি পোড়াতে চান, তাঁরা ওটস বেছে নিন। ১০০ গ্রাম ওটসের মধ্যে ১০.৬ গ্রাম ফাইবার রয়েছে। এই ফাইবার হজম স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপযোগী। যাঁরা অ্যাসিড রিফ্লাক্স, বদহজমের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা ওটস খেতে পারেন।
ওটসে বিটা-গ্লুকান নামে এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবারও রয়েছে, যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। সুতরাং, স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করলে ওটসের বিকল্প খুঁজে পাওয়া কঠিন।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ডালিয়া ও ওটস দুটোই উপযোগী। কিন্তু কোন খাবারটিকে বেছে নেবেন, সেটা ব্যক্তি চাহিদার উপর নির্ভর করছে। তবে, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত যোগব্যায়ামের সঙ্গে যদি ওটস বা ডালিয়া খান তাহলে ওজন কমতে বাধ্য।