Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Brahma and Lord Shiva: পঞ্চানন নন, চতুরানন ব্রহ্মা! কোন অপরাধে বিশ্বস্রষ্টার পঞ্চম মস্তক কাটা যায়? কারণ জানলে চমকে যাবেন

Mythology: কাল ভৈরব হল মৃত্যুর প্রতীক। তাই শিবের এই অবতার জীবনসংগ্রাম থেকে রক্ষা করতে পারেন। জীবনে শিবের আশীর্বাদ বর্ষিত হয়। জীবনে দুঃখ-কষ্টও হ্রাস পায়। আবার এই কালাষ্টমীর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বিষ্ণুদেব ও ব্রহ্মার নাম। রয়েছে এক চমকে যাওয়া পুরাণ কাহিনি। যা অনেকেই জানেন না।

| Updated on: Jul 23, 2024 | 3:53 PM
শ্রাবণ মাসের মধ্যে যে কালাষ্টমী তিথি পালিত হয়, সেই দিনটিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। আর এই কালাষ্টমীর সঙ্গে মহাদেবের সম্পর্ক অত্যন্ত গাঢ়। কারণ শিবের অন্যতম অবতার কাল ভৈরবেরই আরাধনা করা হয় এদিন।

শ্রাবণ মাসের মধ্যে যে কালাষ্টমী তিথি পালিত হয়, সেই দিনটিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। আর এই কালাষ্টমীর সঙ্গে মহাদেবের সম্পর্ক অত্যন্ত গাঢ়। কারণ শিবের অন্যতম অবতার কাল ভৈরবেরই আরাধনা করা হয় এদিন।

1 / 9
কালাষ্টমী ব্রতের রয়েছে বেশ কিছু অজানা পুরাণ কাহিনি। কথিত আছে, কাল ভৈরবের পুজো করা হলে ভক্তরা আজীবন বাধামুক্ত থাকেন, এমনকি মৃত্যুকেও জয় করতে পারেন খুব সহজেই।

কালাষ্টমী ব্রতের রয়েছে বেশ কিছু অজানা পুরাণ কাহিনি। কথিত আছে, কাল ভৈরবের পুজো করা হলে ভক্তরা আজীবন বাধামুক্ত থাকেন, এমনকি মৃত্যুকেও জয় করতে পারেন খুব সহজেই।

2 / 9
কাল ভৈরব হল মৃত্যুর প্রতীক। তাই শিবের এই অবতার জীবনসংগ্রাম থেকে রক্ষা করতে পারেন। জীবনে শিবের আশীর্বাদ বর্ষিত হয়। জীবনে দুঃখ-কষ্টও হ্রাস পায়। আবার এই কালাষ্টমীর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বিষ্ণুদেব ও ব্রহ্মার নাম। রয়েছে এক চমকে যাওয়া পুরাণ কাহিনি। যা অনেকেই জানেন না।

কাল ভৈরব হল মৃত্যুর প্রতীক। তাই শিবের এই অবতার জীবনসংগ্রাম থেকে রক্ষা করতে পারেন। জীবনে শিবের আশীর্বাদ বর্ষিত হয়। জীবনে দুঃখ-কষ্টও হ্রাস পায়। আবার এই কালাষ্টমীর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বিষ্ণুদেব ও ব্রহ্মার নাম। রয়েছে এক চমকে যাওয়া পুরাণ কাহিনি। যা অনেকেই জানেন না।

3 / 9
একটি কিংবদন্তি অনুসারে, এমন একটা সময় আবির্ভাব তৈরি হয়, যখন ক্ষমতার আধিপত্য বিস্তার ও হর্তাকর্তা কে, তা প্রমাণ করার জন্য বিষ্ণু ও ব্রহ্মার মধ্যে বিবাদ তৈরি হয়েছিল। সেই তর্ক  এতটাই বেড়ে যায়, তা একপ্রকার ক্ষমতার যুদ্ধতে পরিণত হয়েছিল।

একটি কিংবদন্তি অনুসারে, এমন একটা সময় আবির্ভাব তৈরি হয়, যখন ক্ষমতার আধিপত্য বিস্তার ও হর্তাকর্তা কে, তা প্রমাণ করার জন্য বিষ্ণু ও ব্রহ্মার মধ্যে বিবাদ তৈরি হয়েছিল। সেই তর্ক এতটাই বেড়ে যায়, তা একপ্রকার ক্ষমতার যুদ্ধতে পরিণত হয়েছিল।

4 / 9
উভয় দেবতা একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে চলেছেন। ব্রহ্মা হলেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা। অন্যদিকে বিষ্ণুদেবের রয়েছে সুদর্শন চক্র।

উভয় দেবতা একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে চলেছেন। ব্রহ্মা হলেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা। অন্যদিকে বিষ্ণুদেবের রয়েছে সুদর্শন চক্র।

5 / 9
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের স্রষ্টা হলেও মর্ত্যে পূজিত হন না ব্রহ্মা। তার কারণও উল্লেখ রয়েছে শিবপুরাণ ও ব্রহ্মাপুরাণে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, দুই দেবতার মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চললে সেই বিতর্কের সমাধানের জন্য মহাদেবকে আহ্বান জানানো হয়েছিল।

বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের স্রষ্টা হলেও মর্ত্যে পূজিত হন না ব্রহ্মা। তার কারণও উল্লেখ রয়েছে শিবপুরাণ ও ব্রহ্মাপুরাণে। সেখানে উল্লেখ রয়েছে, দুই দেবতার মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চললে সেই বিতর্কের সমাধানের জন্য মহাদেবকে আহ্বান জানানো হয়েছিল।

6 / 9
উপস্থিত ছিলেন আরও জ্ঞানী, গুণী, বিশিষ্ট সাধকরা। সমস্যার সমাধানের জন্য মহাদেব উভয় শক্তিশালী দেবতাকে শিবলিঙ্গের শেষ খুঁজতে বলেন। শিবলিঙ্গের শেষ কোথায়, তা খুঁজে না পেয়ে নিজের পরাজয় স্বীকার করে নেন।

উপস্থিত ছিলেন আরও জ্ঞানী, গুণী, বিশিষ্ট সাধকরা। সমস্যার সমাধানের জন্য মহাদেব উভয় শক্তিশালী দেবতাকে শিবলিঙ্গের শেষ খুঁজতে বলেন। শিবলিঙ্গের শেষ কোথায়, তা খুঁজে না পেয়ে নিজের পরাজয় স্বীকার করে নেন।

7 / 9
অন্যদিকে, অহংকারী ও একগুঁয়ে ব্রহ্মা শিবলিঙ্গের শেষ কোথায় খুঁজে না পেয়েও নিজের ক্ষমতার তর্ক থেকে অনড় ছিলেন। অন্তহীন শিবলিঙ্গের শেষ দেখতে না পেয়ে তিনি এই প্রতিকার মেনে নিতেও প্রস্তুত ছিলেন না। ব্রহ্মার এমন আচরণে রুদ্র মূর্তি ধারণ করে কাল ভৈরব অবতারে আবির্ভূত হন মহাদেব।

অন্যদিকে, অহংকারী ও একগুঁয়ে ব্রহ্মা শিবলিঙ্গের শেষ কোথায় খুঁজে না পেয়েও নিজের ক্ষমতার তর্ক থেকে অনড় ছিলেন। অন্তহীন শিবলিঙ্গের শেষ দেখতে না পেয়ে তিনি এই প্রতিকার মেনে নিতেও প্রস্তুত ছিলেন না। ব্রহ্মার এমন আচরণে রুদ্র মূর্তি ধারণ করে কাল ভৈরব অবতারে আবির্ভূত হন মহাদেব।

8 / 9
কালভৈরবের রূপ ছিল অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক। প্রলয়ের একটি প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়। বাহন ছিল একটি কালো রঙের কুকুর। ব্রহ্মার অহঙ্কারকে ভাঙতে তাঁর পঞ্চম মস্তক কেটে দেন মহাদেব।

কালভৈরবের রূপ ছিল অত্যন্ত ধ্বংসাত্মক। প্রলয়ের একটি প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়। বাহন ছিল একটি কালো রঙের কুকুর। ব্রহ্মার অহঙ্কারকে ভাঙতে তাঁর পঞ্চম মস্তক কেটে দেন মহাদেব।

9 / 9
Follow Us: