Photo Gallery: ‘কালী চায় মিশকালো পাঁঠা’, ৬০ হাজারি ছাগল কিনতে ভাঙল করোনাবিধি, তাজ্জব ঘাটালবাসী

Ghatal: কালীকে 'সন্তুষ্ট' করতে, মানত রাখতে তাই সই। বিক্রেতাদের দাবি, আগের বছর করোনার জন্য বাজার ভাল হয়নি। এই বছর বাজার পুষিয়ে গিয়েছে।

| Edited By: | Updated on: Nov 03, 2021 | 7:02 PM
পশ্চিম মেদিনীপুর:  সকাল তখন সাতটা। হাটে শুধু ছাগল (Goat) কিনতেই উপচে পড়ছে ভিড়। সেই হিড়িকে ভাঙল করোনা (Corona) বিধি। কিন্তু কালী পুজো উপলক্ষে ছাগল কেনার এমন তোড়জোড় দেখে তাজ্জব ঘাটালবাসী (Ghatal)। হল কী এবার? সারাদিন পাঁঠা বেচাকেনার দৃশ্য দেখে কৌতুহলী স্থানীয়রা

পশ্চিম মেদিনীপুর: সকাল তখন সাতটা। হাটে শুধু ছাগল (Goat) কিনতেই উপচে পড়ছে ভিড়। সেই হিড়িকে ভাঙল করোনা (Corona) বিধি। কিন্তু কালী পুজো উপলক্ষে ছাগল কেনার এমন তোড়জোড় দেখে তাজ্জব ঘাটালবাসী (Ghatal)। হল কী এবার? সারাদিন পাঁঠা বেচাকেনার দৃশ্য দেখে কৌতুহলী স্থানীয়রা

1 / 5
এ হল কী? এত উপচে পড়া মানুষের ভিড় শুধু ছাগল কেনার জন্য? পরে অবশ্য পরিষ্কার হলে বিষয়টা। রাত পোহালেই যে কালী পুজো। এখনও বেশ কয়েকটি জায়গায় চালু বলি প্রথা। তাই বুধবার ছাগল বিকোচ্ছে দেদার। সেই ছাগল কিনতে জেলা ছাড়িয়ে পড়শি জেলা থেকে আসছেন অনেকেই।   প্রতি বুধবারে বসা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার  ঘাটালের নবগ্রাম হাটের বিক্রেতারা আজ পাঁঠা প্রতি দর হাঁকছেন ৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা! তাই দিয়েই ক্রেতারা ভ্যারাইটি ছাগল কিনছেন ভ্যারাইটি দামে। রয়েছে ছোট থেকে মাঝারি সাইজের ছাগল।

এ হল কী? এত উপচে পড়া মানুষের ভিড় শুধু ছাগল কেনার জন্য? পরে অবশ্য পরিষ্কার হলে বিষয়টা। রাত পোহালেই যে কালী পুজো। এখনও বেশ কয়েকটি জায়গায় চালু বলি প্রথা। তাই বুধবার ছাগল বিকোচ্ছে দেদার। সেই ছাগল কিনতে জেলা ছাড়িয়ে পড়শি জেলা থেকে আসছেন অনেকেই। প্রতি বুধবারে বসা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের নবগ্রাম হাটের বিক্রেতারা আজ পাঁঠা প্রতি দর হাঁকছেন ৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা! তাই দিয়েই ক্রেতারা ভ্যারাইটি ছাগল কিনছেন ভ্যারাইটি দামে। রয়েছে ছোট থেকে মাঝারি সাইজের ছাগল।

2 / 5
আবার রয়েছে ইয়া পেল্লাই বড় বড় ছাগলও। ওদের দাম যদিও বা একটু বেশি। কিন্তু তাতে কী, কুছ পরোয়া নেহি। কালীকে 'সন্তুষ্ট' করতে, মানত রাখতে তাই সই। বিক্রেতাদের দাবি, আগের বছর করোনার জন্য বাজার ভাল হয়নি। এই বছর বাজার পুষিয়ে গিয়েছে।

আবার রয়েছে ইয়া পেল্লাই বড় বড় ছাগলও। ওদের দাম যদিও বা একটু বেশি। কিন্তু তাতে কী, কুছ পরোয়া নেহি। কালীকে 'সন্তুষ্ট' করতে, মানত রাখতে তাই সই। বিক্রেতাদের দাবি, আগের বছর করোনার জন্য বাজার ভাল হয়নি। এই বছর বাজার পুষিয়ে গিয়েছে।

3 / 5
ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তাঁরা অনেকেই এখানকার বাসিন্দা নন। কেউ আসছেন সুদূর মুর্শিদাবাদ থেকে। কেউ পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া, কেউ  শালবনী থেকে। এমনই এক ক্রেতার কথায়, 'হলদিয়ায় এই সময়ে ছাগলের দাম অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। পোষায় না। ছাগলও ভাল দেয় না। মায়ের পুজোয় বলি দিতে হবে তো। তাই এখান থেকেই নিয়ে যাই।'

ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তাঁরা অনেকেই এখানকার বাসিন্দা নন। কেউ আসছেন সুদূর মুর্শিদাবাদ থেকে। কেউ পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া, কেউ শালবনী থেকে। এমনই এক ক্রেতার কথায়, 'হলদিয়ায় এই সময়ে ছাগলের দাম অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। পোষায় না। ছাগলও ভাল দেয় না। মায়ের পুজোয় বলি দিতে হবে তো। তাই এখান থেকেই নিয়ে যাই।'

4 / 5
আর এক ক্রেতার বক্তব্য, "মুর্শিদাবাদে ভাল মানের ছাগল নেই। মাকে কি তা উৎসর্গ করা যায়? তাছাড়া অন্য হাটে দামও নেয় বিস্তর। তাই এই হাটেই আসি প্রতিবার।'' ছাগল কিনে কেউ কোলে করে, মোটর বাইকে চড়ে, কেউবা মারুতি গাড়িতে চড়ে টোটয় চড়ে ফিরছে বাড়ির পথে।

আর এক ক্রেতার বক্তব্য, "মুর্শিদাবাদে ভাল মানের ছাগল নেই। মাকে কি তা উৎসর্গ করা যায়? তাছাড়া অন্য হাটে দামও নেয় বিস্তর। তাই এই হাটেই আসি প্রতিবার।'' ছাগল কিনে কেউ কোলে করে, মোটর বাইকে চড়ে, কেউবা মারুতি গাড়িতে চড়ে টোটয় চড়ে ফিরছে বাড়ির পথে।

5 / 5
Follow Us: