Puja Rituals: পুজোর সময় নৈবেদ্য দিতে গিয়ে করবেন না এই ভুলগুলি, নইলে ঠাকুর রেগে ভোগ গ্রহণ করবেন না
ভক্তিপরায়ণ ভক্তদের বিশ্বাস ঠাকুরকে মন থেকে ডেকে ভোগ দিলে, তিনি সন্তুষ্ট হন ও তা গ্রহণ করেন। পুজোর শেষে ওই ঠাকুরকে দেওয়া নৈবেদ্য আমরা প্রসাদ হিসেবে খেয়ে থাকি। তবে ঈশ্বরকে নৈবেদ্য অর্পণের সময় বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়।

হিন্দুধর্মে পুজোর সময় ঈশ্বরকে বরাবর ভোগ নিবেদন করা হয়। এই ভোগ অর্থাৎ নানা সুস্বাদু খাবার, বাড়িতে তৈরি এবং ফলমূল ও মিষ্টি। ঈশ্বরকে বরাবর ভোগ সাজিয়ে ও গুছিয়ে পরিবেশন করতে হয়। সেটাকেই বলা হয় নৈবেদ্য। ভক্তিপরায়ণ ভক্তদের বিশ্বাস ঠাকুরকে মন থেকে ডেকে ভোগ দিলে, তিনি সন্তুষ্ট হন ও তা গ্রহণ করেন। পুজোর শেষে ওই ঠাকুরকে দেওয়া নৈবেদ্য আমরা প্রসাদ হিসেবে খেয়ে থাকি। তবে ঈশ্বরকে নৈবেদ্য অর্পণের সময় বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। শাস্ত্রে এর উল্লেখ রয়েছে। ‘নৈবেদ্যং সমর্পয়ামি’ এর অর্থ ‘নৈবেদ্যং’ অর্থাৎ ভোগ/নৈবেদ্য (যা ঠাকুরকে নিবেদন করা হচ্ছে), আর ‘সমর্পয়ামি’ অর্থাৎ আমি নিবেদন করছি/অর্পণ করছি। এর মূল অর্থ – আমি এই নৈবেদ্য (ভোগ) তোমার চরণে অর্পণ করছি।
জেনে নিন নৈবেদ্য নিবেদন করার কী কী নিয়ম আছে?
১) ফল, মিষ্টি, কিংবা বাড়িতে তৈরি করা অন্নভোগ — এগুলো কলাপাতায় সাজিয়ে ঈশ্বরকে নিবেদন করা উচিত। কলাপাতা যদি না পাওয়া যায়, তখন কাঁসার বা তামার থালায় ভালো করে সাজিয়ে নৈবেদ্য দেওয়া উচিত।
২) ঠাকুরঘরে বা পুজোর ঘরে যে জায়গায় নৈবেদ্যর থালা বা পাতাটি দেওয়া হবে, সেখানে ঘড়ির কাঁটা অনুযায়ী গোল করে জল ছিটিয়ে তারপর সেই জায়গাতে পাতা বা থালা রাখতে হবে।
৩) যখনই ঈশ্বরের উদ্দেশে ভোগ নিবেদন করবেন, ভুল করেও আঢাকা অবস্থায় দেবেন না। সবসময় তা ঢেকে রাখতে হবে। অল্প পরিমাণে নৈবেদ্য থাকলেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।
৪) বাড়িতে যখন নৈবেদ্য বানাবেন, সেই সময় ঝাল ও মশলা খুব কম ব্যবহার করা ভাল। এর পরিবর্তে ঘি ও মাখনও ব্যবহার করতে পারেন।
৫) কখনও নৈবেদ্যর সঙ্গে কাঁচা নুন দেবেন না। এ ছাড়া তা যখন প্রসাদ হিসেবে সকলে খাবেন, সেই সময়ও নুন যোগ করা উচিত নয়।
বিঃ দ্রঃ- এই প্রতিবেদনের বক্তব্য হিন্দু শাস্ত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Banglaর।
