Chanakya Niti: শত্রুর থেকেও বেশি বিপজ্জনক আপনার আশপাশের এই মানুষরা, সেই কবে চিনিয়ে দিয়ে গিয়েছেন চাণক্য
চাণক্যের মতে, মানুষ জীবনে প্রকৃত শত্রুর থেকেও অনেক বড় বিপদের সম্মুখীন হয় নিজের কাছের মানুষদের কারণে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, এমন কিছু মানুষ আছে যারা বন্ধুর ছদ্মবেশে থেকে প্রকৃতপক্ষে আরও ভয়ঙ্কর ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। তাই সঠিক সময়ে তাঁদের চিহ্নিত করা জরুরি। প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা আরও জরুরি।

ভারতের প্রাচীন ইতিহাসে আচার্য চাণক্য ছিলেন একজন দিকপাল। তাঁর নাম আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক। তিনি শুধু একজন মহামান্য শিক্ষকই নন, ছিলেন একাধারে কূটনীতিক, দার্শনিক এবং রাজনৈতিক চিন্তাবিদ। তাঁর রচিত ‘চাণক্যনীতি গ্রন্থে’ মানুষের জীবনযাত্রা, সমাজব্যবস্থা এবং সঠিক পথচলার নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে। জীবনের সাফল্য ও শান্তির জন্য তিনি বহু মূল্যবান উপদেশ রেখে গিয়েছেন।
চাণক্যের মতে, মানুষ জীবনে প্রকৃত শত্রুর থেকেও অনেক বড় বিপদের সম্মুখীন হয় নিজের কাছের মানুষদের কারণে। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন, এমন কিছু মানুষ আছে যারা বন্ধুর ছদ্মবেশে থেকে প্রকৃতপক্ষে আরও ভয়ঙ্কর ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। তাই সঠিক সময়ে তাঁদের চিহ্নিত করা জরুরি। প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখা আরও জরুরি।
কারা শত্রুর থেকেও বেশি বিপজ্জনক?
১. স্বার্থপর মানুষ
চাণক্যের মতে, সবচেয়ে বিপজ্জনক মানুষ হল যাঁরা স্বার্থপর। এই ধরনের মানুষ কেবল নিজের আখের গোছানোর করার জন্য অন্যকে ব্যবহার করেন। কাজ শেষ হয়ে গেলে তাঁরা সম্পর্কের কোনও মূল্য দেয় না। এই ধরনের মানুষকে কখনোই বিশ্বাস করা উচিত নয়, কারণ তাঁরা প্রয়োজনে যে কাউকে ব্যবহার করে ছুড়ে ফেলে দিতে পারে।
২. মূর্খ মানুষ
যাঁরা ভাল-মন্দের পার্থক্য বোঝে না, তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা সবসময় ঝুঁকিপূর্ণ। তাঁদের ভুল সিদ্ধান্ত কেবল তাঁদের নয়, আশেপাশের মানুষদেরও বিপদে ফেলে। তাই চাণক্যের পরামর্শ, মূর্খ মানুষ থেকে দূরে থাকুন।
৩. হতাশ বা দুঃখী মানুষ
যাঁরা সর্বদা মনখারাপ করে থাকে, দুঃখী বা হতাশ মনোভাব পোষণ করে, তাঁদের সঙ্গে বেশি সময় কাটানো জীবনে অগ্রগতিকে থামিয়ে দেয়। নেতিবাচক চিন্তা ধীরে ধীরে আশেপাশের মানুষকেও প্রভাবিত করে এবং জীবনে সমস্যা বাড়ায়।
৪. খারাপ স্বভাবের মানুষ
যাঁদের মেজাজ অস্থির, রাগ প্রবল এবং আচরণ মুহূর্তে বদলে যায়, তাঁরা অনেক সময় শত্রুর থেকেও বেশি বিপজ্জনক। তাঁদের অকারণ রাগ বা উগ্র ব্যবহার অন্যকে বড় ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে।
চাণক্যের শিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা কেন আজও?
আচার্য চাণক্য যে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন তা কেবল তাঁর সময়ের জন্য নয়, আজকের সমাজেও সমান প্রাসঙ্গিক। আধুনিক জীবনে প্রতিদিন নানা ধরনের মানুষের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়। তবে কাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা উচিত এবং কাদের থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন, তা চিহ্নিত করতে পারলেই জীবনে অনেক অশান্তি এড়ানো সম্ভব।চাণক্যের নীতি আমাদের শেখায়, প্রকৃত বন্ধু সেই, যে সুখে-দুঃখে পাশে থাকে। আর যাঁরা কেবল নিজের প্রয়োজনে সম্পর্ক করে, তাঁরা বন্ধু নয়—বরং অদৃশ্য শত্রু।
বিঃদ্র: এই তথ্য প্রাচীন গ্রন্থ ও প্রাপ্ত সূত্রের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে। এর সত্যতা নিয়ে কোনও দাবি করা হচ্ছে না। কোনও রকম কুসংস্কারকেও টিভি ৯ বাংলা সমর্থন করে না
