AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Vastu Shastra Tips: ভুল করেও কখনও কারও কাছে এই ৪ জিনিস ধার করবেন না! জানুন সেগুলি কী কী?

Vastu: যখনই আমাদের কিছু দরকার পড়ে, আমরা কোনও একজন পরিচিতর কাছে তা চেয়ে নিই। অত্যন্ত প্রয়োজন হলে আমরা বন্ধু বা আত্মীয়ের কাছে চেয়ে নিই অর্থ, জামা, বই ইত্যাদি। আবার দরকারে অন্যদেরও এই ধরনের জিনিসগুলি ধার দিই আমরা।

Vastu Shastra Tips: ভুল করেও কখনও কারও কাছে এই ৪ জিনিস ধার করবেন না! জানুন সেগুলি কী কী?
| Edited By: | Updated on: Jun 14, 2023 | 11:57 AM
Share

যখনই আমাদের কিছু দরকার পড়ে, আমরা কোনও একজন পরিচিতর কাছে তা চেয়ে নিই। অত্যন্ত প্রয়োজন হলে আমরা বন্ধু বা আত্মীয়ের কাছে চেয়ে নিই অর্থ, জামা, বই ইত্যাদি। আবার দরকারে অন্যদেরও এই ধরনের জিনিসগুলি ধার দিই আমরা। জানলে অবাক হবেন, এমন অনেক জিনিস আছে যা কখনওই অন্যদের থেকে ধার নেওয়া যায় না বা ধার দেওয়াও যায় না।এই পৃথিবীতে বহু বস্তু আছে যার সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে আমাদের নিয়তির। ফলে অত্যন্ত ধৈর্য এবং সংযমের সঙ্গে সেই ধরনের জিনিসগুলি ব্যবহার করতে হয়। কিছু বস্তু থাকে যেগুলি কাউকে দেওয়া যায় না বা ধার করাও যায় না। শাস্ত্রে লেখাও রয়েছে যে কিছু কিছু এমন বস্তু আছে যা কখনওই কারও কাছে ধার করে ব্যবহার করা উচিত নয়। এমনকী ভুল করেও জিনিসগুলি কারও কাছ থেকে ধার করে নেওয়া উচিত নয়।

ধার করে নিয়ে বস্তুগুলি ব্যবহার করলে সুখ সমৃদ্ধিও মুখ ফিরিয়ে নেয়। সৌভাগ্য রূপান্তরিত হয় দুর্ভাগ্যে। দারিদ্র প্রবেশ করে গৃহে। ধার করে বস্তুগুলি গৃহে আনলে তার সঙ্গে চৌকাঠ পেরিয়ে প্রবেশ করে নেতিবাচক শক্তি। এমনকী সেই কুপ্রভাবের কবল থেকে সহজে গৃহকোণকে মুক্ত করাও যায় না।

কী কী বস্তু?

ঘড়ি

ভালো সময় এবং খারাপ সময় সম্পর্কে আমাদের অবহিত করে ঘড়ি। তাই কখনওই অন্যের ঘড়ি পরা উচিত নয়। কারণ অন্য ব্যক্তির ঘড়ি পরার অর্থ হল তার খারাপ সময়কেও নিজের ভাগ্যের সঙ্গে জড়িয়ে নেওয়া। ঘড়িই কিন্তু সময়ের সঙ্গে একজন মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করে। তাই ঘড়ির দেওয়া-নেওয়া কখনওই পবিত্র কর্ম নয়।

ঝাঁটা

ঝাঁটা নিয়ে যতই বক্রোক্তি কর হোক না কেন, জানলে অবাক হবেন, এই ঝাঁটা কিন্তু দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক! শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে, অপর ব্যক্তির কাছে ঝাঁটা ধার করলে সেই গৃহ তৎক্ষণাৎ ত্যাগ করেন দেবী! যে ব্যক্তি ঝাঁটা ধার করেছে তার আর্থিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এমনকী ওই ব্যক্তির অগোচরেই অর্থ ক্ষয় হতে থাকে। জলের মতো বয়ে যায় টাকা। তাই কাউকে ঝাঁটাও ধার দিতে নেই।

কলম

কলেজ লাইফ হোক বা স্কুলের জীবন, আমাদের কলমের দরকার পড়লেই আমরা অন্য বন্ধুর কাছে পেন ধার করে নিতাম। এখানেই শেষ নয়, অন্যান্য জায়গাতেও আমরা দরকার পড়লেই পেন ধার করি। এমনকী অচেনা অজানা ব্যক্তির কাছ থেকেও পেন ধার করতে দ্বিধা বোধ করি না আমরা! অথচ শাস্ত্র অনুসারে, একজন ব্যক্তির সুকর্ম এবং কুকর্ম ধরে রাখে কলম। তাই কোনও ব্যক্তির কাছে কলম ধার করলেও, কাজ শেষ করার পর সেই পেন মালিককে ফিরিয়ে দিন। ওই ব্যক্তির পেন নিজের কাছে কখনওই রাখবেন না। আবার অন্য ব্যক্তিকেও নিজের কলম ধার দিলে সময়ে ফিরিয়ে নিতেও ভুলবেন না। কলম ফিরিয়ে না নেওয়ার অর্থ হল, আপনার সুকর্মের ফলাফলও তাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া। তাই ছাত্রদেরও উচিত নয় নিজের কলম অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া।

লবণ

পাড়া প্রতিবেশীদের মধ্যে খাদ্যবস্তু ভাগ করে নেওয়া খুবই সাধারণ ও পরিচিত রীতি। এছাড়া কিচেনে ঢুকে রান্না করার সময় দরকারি মশলা হাতের কাছে না পেলেও আমরা সাধারণত আত্মীয় বা প্রতিবেশীর কাছে ছুটে যাই ওই জিনিসটি নেওয়ার জন্য। এমনকী অন্যের প্রয়োজন পড়লেও ওই খাদ্যবস্তুটি তারা আমাদের কাছেও নিয়ে যায়। শাস্ত্র অনুসারে, কোনও গৃহকর্ত্রী বা গৃহস্বামীর কখনওই অন্যের কাছ থেকে নুন ধার করা উচিত নয়। এমনকী দান করাও কাম্য বিষয় নয়। নুনের সঙ্গে চন্দ্র এবং শুক্রের যোগ রয়েছে। নুন ধার করার অর্থ হল, ওই গ্রহগুলির অবস্থানকে দুর্বল করে তোলে পড়া। দুর্বল গ্রহের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনেও। চরম অর্থকষ্টে ভুগতে হয়। সুতরাং কখনওই কোনও ব্যক্তিকে নুন দেওয়া উচিত নয়। কিংবা কারও কাছে লবণ ধার করাও উচিত নয়।