আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক কিছুই একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। যার প্রভাব পরে আমাদের উপরেও। যেমন ধরুন রান্না করতে গিয়ে দেখলেন নুন বা তেল শেষ হয়ে গিয়েছে। পাশের বাড়ির প্রতিবেশীর থেকে তখনকার মতো একটি চেয়ে নিয়ে রান্নাটা সেরে নিলেন। কারও হয়তো চালের ব্যবসা, ভালবেসে এক বস্তা চাল দিয়ে গেল বাড়িতে, আপনিও মহানন্দে সেই চাল খেতে শুরু করলেন। কিন্তু আপনি কি জানেন এতে অজান্তেই নিজের জীবনে বাস্তু দোষকে ডেকে আনছেন আপনি। বাস্তু শাস্ত্র কিন্তু বলছে বিনামূল্যে পাওয়া বেশ কিছু জিনিস থেকে বাস্তু দোষ দেখা দিতে পারে। জানেন কোন কোন জিনিস কখনই বিনামূল্যে পেলেও ব্যবহার করা উচিত নয়?
১। রুমাল- ভুলেও কেউ বিনাপয়সায় রুমাল ব্যবহার করা উচিত নয়। কথিত আছে যে রুমাল নিয়ে বিনামূল্যে ব্যবহার করা হলে তা মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে। পারস্পরিক সম্পর্কে চিড় ধরে। মানুষের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। তাই অন্যের কাছ থেকে রুমাল ব্যবহার করবেন না। কাউকে রমাল বিনামূল্যে দেবেনও না।
২। লবণ- বাস্তুমতে, শনিদেবের সঙ্গে লবণের যোগ রয়েছে। মনে করা হয়, লবণ কখনওই গ্রহণ করা উচিত নয়। অন্যের কাছ থেকে বিনামূল্যে ব্যবহার করা উচিত নয়। যদি কোনও কারণে কারোর কাছ থেকে লবণ নিতে হয়। তবে তার পরিবর্তে অন্যকিছু দেওয়া দরকার। বিনাপয়সায় লবণ ব্যবহার করলেও জীবনে রোগ ঘৃণার সমস্যা বাড়ে।
৩। সূঁচ- বাস্তু অনুসারে, বিনামূল্যে দেওয়া সূঁচ কখনওই ব্যবহার করা উচিত নয়। কারোর কাছ থেকে বিনাপয়সায় সূঁচ নেওয়া হলে জীবনে নেগেটিভিটি বাড়তে শুরু করে। বাড়ির মানুষের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। বিবাহিত জীবনকে প্রভাবিত করার পাশাপাশি আর্থিক দিক থেকেও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাজার থেকে নতুন সূঁচ কিনে ব্যবহার করলে তা ভাল হয়।
৪। লোহা ও তেল- এই দুটি জিনিসই শনিদেবের সঙ্গে মিলিত হয়ে দেখা যায়। মনে করা হয় লোহা বা তেলের অতিরিক্ত বা অবাধে ব্যবহার করা হলে জীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলে। দান করা লোহা ঘরে দারিদ্র্য ডেকে আনে। এছা়ড়া চেয়ে আনা তেল যে কোনও ব্যক্তির আর্থিক পরিস্থিতিকে দুর্বল করে তোলে। নেশা ও জুয়ার খেলায় আসক্ত হয়ে যেতে পারে ওই ব্যক্তি। তাই অজান্তে বা জেনে বুঝেও কখনও এই দুটি জিনিস বিনাপয়সায় ব্যবহার করবেন না।