Garuda Purana: মৃত্যুর ঠিক কত দিন পর নতুন জন্ম হয়? জানাচ্ছে গরুড় পুরাণ
After Death: এতে জন্ম, মৃত্যু, স্বর্গ, নরক, পুনর্জন্ম, জ্ঞান, ধর্ম ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। আত্মার পুনর্জন্ম বা মৃত্যুর পরে নতুন দেহে জন্ম নেওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত গভীর রহস্য গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে।

বেদ ও পুরাণে উল্লেখ আছে যে পৃথিবীতে যার জন্ম হয়, তার মৃত্যুও নিশ্চিত। কেউ তা পরিবর্তন করতে পারে না। কিন্তু মৃত্যুর পর শুধু দেহই নশ্বর আর আত্মা অমর, তাতে বিশ্বাসী হিন্দুরা।মৃত্যুর পরেও আত্মীর অস্তিত্ব থাকে। হিন্দুধর্ম মতে, জন্ম-মৃত্যু হল একটি সম্পূর্ণ ঘূর্ণন। গরুড় পুরাণ অনুসারে, মৃত্যুর পর দেহ ধ্বংস হয়ে যায়। এজন্য তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু আত্মা হল অমর, যা কখনও বিনষ্ট হয় না। মৃত্যুর পর দেহ ত্যাগ করার পর নতুন দেহে জন্ম নেয় বলে মনে করেন হিন্দুরা। গীতায় উল্লেখ রয়েছে যে, মানুষ যেভাবে পুরনো বস্ত্র ত্যাগ করে নতুন পোশাক পরে ঠিক একইভাবে, আত্মাও মৃতদেহ ত্যাগ করে একটি নতুন শরীর গ্রহণ করে।
মৃত্যু, আত্মা এবং পুনর্জন্মের এই রহস্য গরুড় পুরাণে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, তা সবারই জানা উচিত। এতে জন্ম, মৃত্যু, স্বর্গ, নরক, পুনর্জন্ম, জ্ঞান, ধর্ম ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। আত্মার পুনর্জন্ম বা মৃত্যুর পরে নতুন দেহে জন্ম নেওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত গভীর রহস্য গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে।
মৃত্যুর পরপরই নতুন জন্ম হয় না
গরুড় পুরাণ অনুসারে, মৃত্যুর পর আত্মা দ্রুত নতুন দেহ পায় না। এমনও হয়, কিছু আত্মাকে বছরের পর বছর ঘুরে বেড়াতে হয়। গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে, মৃত্যুর পর প্রথমে আত্মার কর্মের মূল্যায়ন হয়, তারপরেই নতুন জন্ম নির্ধারণ করা হয়।
আত্মা নতুন জন্মের জন্য কত সময় নেয়
গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে, যারা সারাজীবন ভালো কাজ করে, পুণ্য কাজ করে, কারওর ক্ষতি করে না এবং দুঃস্থদের দুহাত বাড়িয়ে সাহায্য করে, সেই সব আত্মা অবিলম্বে নতুন জন্ম লাভ করে। কিন্তু সমস্ত আত্মা অবিলম্বে একটি নতুন জন্ম গ্রহণ করে না। কেউ ৩ দিন, কেউ ১০ দিন, কেউ ১৩ দিন, কেউ এক মাসের এক চতুর্থাংশ ও কেউ কেউ এক বছর পর্যন্তও সময় নেয়। তবে নির্ভর করে জীবদ্দশায় ব্যক্তির কৃতকর্মের উপর। জীবিত অবস্থায় মৃতব্যক্তি কী কী ভালো কাজ করেছে, তার উপর নির্ভর করে আত্মার জন্ম।
