রোজ হনুমান চল্লিশা তো পড়েন, কিন্তু এই দেশে মন্ত্র উচ্চারণ করলে দেখা মেলে হনুমানজির!
মন্ত্র উচ্চারণ কলে নাকি হনুমানজী সামনে আবির্ভুত হোন। আদিবাসীদের বিশ্বাস, প্রত্যেক প্রজন্ম ধরে এই আত্মজ্ঞান অর্জন করে ও প্রতি ৪১ বছর অন্তর অন্তর পৃথিবীর বুকে ভক্তদের মাঝে অবর্ত্তীণ হোন।
হিন্দু ধর্ম মতে তেত্রিশ কোটি দেবতার কথা শোনা যায়। তেত্রিশ কোটি দেবতার মধ্যে আমরা কখনও কখনও বিশেষ কোনও দেবতা বা দেবীর ভক্ত হয়ে যাই। তাঁর আরাধনা করি। ঈশ্বরকে হয়তো আমরা কেউই চোখে দেখিনি। তবু বহু মানুষ বিশ্বাস করেন ঈশ্বর আছে বলে। ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস, এমনই এক শক্তিশালী বিশ্বাস, যা আমাদেরকে বহু অসাধ্য কাজ সহজেই করিয়ে দেয়।
হিন্দু ধর্মে ভগবান হনুমানের মাহাত্ম্য বহু প্রচলিত। এমন প্রচুর মানুষ রয়েছেন, যাঁরা প্রত্যেকদিন হনুমান চাল্লিশা পাঠ করেন। তাঁদের মতে, এই হনুমান চাল্লিশা পাঠ করলে নাকি তাঁদের মনের জোর বাড়ে। শক্তির দেবতা হিসেবে তাই বহু মানুষের মধ্যে পূজিত হন ভগবান হনুমান। বলা হয়, এই মন্ত্র পাঠ করলে নাকি স্বপ্নে ভগবান হনুমান আপনাকে দেখা দিতে পারে। তবে এই কথা পুরোটাই কথিত। এর সত্যতা কতটা তা আমাদদের জানা নেই।
পবনপুত্র হনুমানের কোনও বিনাশ নেই। তিনি চিরন্তন। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, পৃথিবীতে যতদিন ভগবান রামের মহিমা বজায় থাকবে, ঠিক ততদিন হনুমানের উপস্থিতি থাকবে। রামায়ণ ও মহাভারতে হনুমানের উল্লেখ রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, রামচন্দ্রের মানবজন্মের অবসান ঘটলে হুমান বিভীষণের রাজ্য় লঙ্কায় চলে যান। এবং তারপর শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ পর্বতে পেদ্রোতালাগার শীর্ষে হনুমান অধিষ্ঠান করে।
স্থানীয়দের বিশ্বাস, ভগবান হনুমানের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক রাখার কারণে এই মন্ত্র জপ করার অনুমতি দেন পূর্বপুরুষরা। ‘কালতন্ত কারেচরন্তি এনর মরিষ্ণু, নির্মুক্তার কালেত্বম অমরিষ্ণু’- এই মন্ত্র এলাকার আদিবাসীদের গোপনে নাকি শিখিয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন। এই মন্ত্র উচ্চারণ কলে নাকি হনুমানজী সামনে আবির্ভুত হোন। আদিবাসীদের বিশ্বাস, প্রত্যেক প্রজন্ম ধরে এই আত্মজ্ঞান অর্জন করে ও প্রতি ৪১ বছর অন্তর অন্তর পৃথিবীর বুকে ভক্তদের মাঝে অবর্ত্তীণ হোন। তবে কয়েকবছর আগেই এই ঘন জঙ্গল থেকে আদিবাসীদের উদ্ধার করা গিয়েছে।
কয়েক বছর আগেই বেশ কয়েকজন অভিযাত্রীদের সহায়তায় এই আদিবাসীদের খুঁজে পাওয়া যায়। সেই আদিবাসী গোষ্ঠীদের কাছে একধরণের লকবুক পাওয়া গিয়েছে। সেই লগবুককে রক্ষা করে আসছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম । এবার উদ্ধার হওয়া তথ্য এখন বিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণ করছেন বলেই জানা গিয়েছে।