Ganesh Chaturthi 2025: গণেশ চতুর্থীর দিন এইসব কাজ করলেই পড়তে হবে মহা ফাঁপড়ে!
Ganesh Puja 2025: আজকাল গণেশ চতুর্থী বেশ ধুমধামের সঙ্গে পালিত হয় বাংলাতেও। তিনি সিদ্ধিদাতা যে। তাঁর আশির্বাদে সংসারে আসে সুখ সমৃদ্ধি। তবে কেবল গণেশ পুজো করলেই হল না। শাস্ত্র মতে এই দিন কিছু কাজ করা থেকেও বিরত থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দিন কোন কোন কাজ করা থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন?

আজকাল গণেশ চতুর্থী বেশ ধুমধামের সঙ্গে পালিত হয় বাংলাতেও। তিনি সিদ্ধিদাতা যে। তাঁর আশির্বাদে সংসারে আসে সুখ সমৃদ্ধি। তবে কেবল গণেশ পুজো করলেই হল না। শাস্ত্র মতে এই দিন কিছু কাজ করা থেকেও বিরত থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই দিন কোন কোন কাজ করা থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন?
১। গণেশ পুজোয় কখনও তুলসী পাতা ব্যবহার করবেন না। কথিত, সিদ্ধিদাতা গণেশ নাকি একবার ভগবান গণেশকে অভিশাপ দিয়েছিলেন তাঁর পুজোতে কোনও দিন তুলসী পাতা ব্যবহার করা হবে না। তাই ভুলেও এই কাজটি করবেন না।
২। গণেশ পুজোয় কখনও রুপোর কোনও বাসন বা সাদা জিনিস ব্যবহার করা উচিত নয়। সাদা চন্দনের পরিবর্তে হলুদ চন্দন, হলুদ কাপড়, হলুদ সুতো ব্যবহার করতে পারেন।
৩। সনাতন ধর্ম মতে, ধানকে অক্ষত বলা হয়। এর অর্থ হল ধান কখনও ক্ষয় হয় না, অক্ষতই থাকে। ভগবান গণেশের পুজোয় ভুল করেও ভাঙা চাল নিবেদন করবেন না। পরিবর্তে, আস্ত চাল ব্যবহার করতে পারেন।
৪। গণেশ চতুর্থীর সকালে স্নান করে শুদ্ধ হয়ে পূজা করার আগে কিছু খাওয়া উচিত নয়। বিশ্বাস করা হয়, পূজার আগে খেলে ভক্তির ঘাটতি হয় এবং ভগবান গণেশ পূর্ণ আশীর্বাদ দেন না। তাই উপবাস রাখা বা অন্তত পূজা শেষে প্রসাদ গ্রহণ করাই শ্রেয়।
৫। গণেশ চতুর্থীর রাতে চাঁদ দেখা নিষিদ্ধ। পুরাণ অনুসারে, চন্দ্রদেব একবার গণেশের গজরূপকে নিয়ে ঠাট্টা করেন। সেই শুনে ক্রুদ্ধ গণেশ অভিশাপ দেন চন্দ্রদেবকে। তাই এই দিন অনেকে চন্দ্রদেবের দর্শন করেন না।
৬। এই দিনে বাসি খাবার খাওয়া বা রান্নাঘরে অশুদ্ধ রেখে দেওয়া ভাল নয়। বাসি খাবার অশুচি হিসেবে ধরা হয়। এতে পুজোর পবিত্রতা নষ্ট হয়।
৭। গণেশ দেব সাত্ত্বিক শক্তির প্রতীক। তাই এই দিন মদ্যপান, মাংস বা পেঁয়াজ-রসুন জাতীয় তামসিক খাবার খাওয়া নিষিদ্ধ। এগুলো ভক্তি, পবিত্রতা এবং মানসিক শান্তি নষ্ট করে বলে ধারণা।
৮। সিদ্ধিদাতা প্রকৃতি এবং পরিবেশের প্রতীক। তাই চতুর্থীর দিন গাছ কাটা, ফুল নষ্ট করা বা প্রকৃতির ক্ষতি করা অশুভ বলে মনে করা হয়।
৯। এই দিনে ঝগড়া-বিবাদ, উচ্চস্বরে চিৎকার বা অশান্তি করা এড়িয়ে চলতে হয়। কারণ গণেশ শান্তি, জ্ঞান ও শুভারম্ভের দেবতা। কলহ করলে দেবতার কৃপা কমে যায় বলে বিশ্বাস।
