Mouni Amavasya 2023: সমুদ্র মন্থনের সময় অমৃত কলস থেকে কয়েক ফোঁটা পবিত্র জল পড়েছিল এই ৪ নদীতে! এদিন এক ডুবেই মিলবে পুণ্যলাভ

Significance of Mouni Amavasya: মৌনী অমাবস্যার দিনে স্নান ও দান করার পাশাপাশি নীরবতাও পালন করা হয়। মৌনী অমাবস্যায় নীরবতা পালন করে উপবাস রেখে জপ ও তপস্যা করা হয়। এর পাশাপাশি এই দিনে গঙ্গাস্নানেরও গুরুত্ব রয়েছে।

Mouni Amavasya 2023: সমুদ্র মন্থনের সময় অমৃত কলস থেকে কয়েক ফোঁটা পবিত্র জল পড়েছিল এই ৪ নদীতে! এদিন এক ডুবেই মিলবে পুণ্যলাভ
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 16, 2023 | 9:36 AM

হিন্দু ধর্মে (Hinduism) পূর্ণিমাকে যেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়, তেমনি অমাবস্যাকেও ঠিক ততটাই গুরুত্ব দেওয়া হয়। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, প্রতি মাসের অমাবস্যা (Amavasya) পাক্ষিকের পঞ্চদশ দিনে অমাবস্যা হয়। মাঘ মাসের অমাবস্যা পাক্ষিকের অমাবস্যাকে বলা হয় মাঘী বা মৌনী অমাবস্যা (Mouni Amavasya 2023)728435। এবার মৌনী অমাবস্যা পালিত হবে আগামী ২১ জানুয়ারি, শনিবার। শাস্ত্রে মাঘ মাসের অমাবস্যাকে বিশেষভাবে পুণ্যময় বা ফলদায়ক বলে মনে করা হয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে এই অমাবস্যায় স্নান, দান, তর্পণ ও পিন্ডদান করে মোক্ষ লাভ করা অনেক সহজ হয়ে যায়।

মৌনী অমাবস্যার দিনে স্নান ও দান করার পাশাপাশি নীরবতাও পালন করা হয়। মৌনী অমাবস্যায় নীরবতা পালন করে উপবাস রেখে জপ ও তপস্যা করা হয়। এর পাশাপাশি এই দিনে গঙ্গাস্নানেরও গুরুত্ব রয়েছে। ভক্তরা পুণ্যলাভ করার আশায় এই অমাবস্যার দিনে সূর্যোদয়ের আগে গঙ্গায় ডুব দেন। বিশ্বাস করা হয় যে এ দিনে গঙ্গায় স্নান করলে অমৃত স্নানের সমান ফল পাওয়া যায়। মৌনী অমাবস্যায় গঙ্গা স্নানের ধর্মীয় তাৎপর্য কেন জানেন?

শুভ মুহূর্ত

মাঘ কৃষ্ণপক্ষ অমাবস্যা তিথি শুরু হয় – শনিবার ২১ জানুয়ারি সকাল ৬টা ১৭ মিনিট

মাঘ কৃষ্ণপক্ষ অমাবস্যা তিথি শেষ হয় – রবিবার, ২২ জানুযায়রি, সকাল ২টো ২২ মিনিট পর্যন্ত,

উদয়তিথি অনুসারে, মৌনি অমাবস্যা ২১ জানুয়ারি শনিবারই পালিত হলে। শাস্ত্র অনুসারে, এই দিনে স্নান, দান, তর্পণ ও পুজোর মতো কাজ করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।

গঙ্গায় স্নান ও সমুদ্র মন্থনের সম্পর্ক

গঙ্গা স্নানকে হিন্দু ধর্মে সবচেয়ে পবিত্র স্নান বলে মনে করা হয়। গঙ্গা ও অন্যান্য নদীতে স্নানের পবিত্রতা সমুদ্র মন্থনের সঙ্গে সম্পর্কিত। কিংবদন্তি অনুসারে, দেবতা ও অসুররা একসঙ্গে সমুদ্রমন্থন করলে ভগবান ধন্বন্তরী অমৃতের কলস নিয়ে সমুদ্র থেকে বেরিয়ে আসেন। অমৃত কলস পাওয়ার জন্য দেবতা ও অসুরদের মধ্যে বিবাদ শুরু হয় সেই সময় থেকে। অমর হওয়ার তাড়নায় সেই কলসও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এদিকে দুপক্ষের টানাটানিতে, কলস থেকে অমৃতের কয়েক ফোঁটা প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, উজ্জয়িনী এবং নাসিকের মতো পবিত্র নদীতে পড়েছিল। পতিত অমৃতের কারণে এই নদীগুলি পবিত্র হয়ে উঠেছে। এই কারণেই উত্সব, পূর্ণিমা, অমাবস্যা ও বিশেষ তিথিতে নদী স্নান করা অত্যন্ত শুভ তবলে মনে করা হয়। বিশেষ করে গঙ্গাস্নানের একটি ঐতিহ্য রয়েছে বহু প্রাচীনকাল থেকেই।

(Disclaimer: এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনও তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)