Durga Puja Bisarjan: বিসর্জনে আছে নানা নিয়মকানুন! জানেন সেগুলি কী?
Durga Puja Bisarjan: বিসর্জনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে সিঁদুর খেলার বিষয়টি। এই দিনটির জন্য অপেক্ষায় থাকেন বাঙালি রমনীরা। মাকে বরণ করে তারপর সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন সধবারা।
চলছে মায়ের বিসর্জন। কোনও মতে আজ একাদশী। আবার কোনও মতে আজ দ্বাদশী। তবে যাই হোক না কেন প্রতিমা বিসর্জন চলছে এখনও। চোখে জল আর একরাশ মন খারাপ নিয়ে উমাকে বিদায় জানানোর পালা। বাঙালি বিসর্জনের সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে নানা ঐতিহ্য। নানা রীতিনীতি। যা শুনলে চমকে যাবেন।
বিসর্জনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে সিঁদুর খেলার বিষয়টি। এই দিনটির জন্য অপেক্ষায় থাকেন বাঙালি রমনীরা। মাকে বরণ করে তারপর সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন সধবারা। সিঁদুর প্রজাপতি ব্রহ্মার প্রতীক। বিশ্বাস ব্রহ্মা জীবনের সমস্ত কষ্ট দূর করেন। হিন্দু ধর্মে মনে করা হয়, সিঁথিতে সিঁদুর পরলে কপালে ব্রহ্মা অধিষ্ঠান করেন। সেই থেকেই দশমীতে এই প্রথার প্রচলন। একে সৌভাগ্যের প্রতীক বলেও মনে করা হয়।
সিঁদুর খেলা শেষে প্রতিমা বিসর্জনের পালা। শোভাযাত্রা করে মাতৃ মূর্তি নিয়ে যাওয়া হয় গঙ্গার ঘাটের উদ্দেশ্যে। পুজোর উদ্যোক্তরা থেকে সাধারণ মানুষ সকলে পা মেলান এই শোভাযাত্রা। ব্যান্ড বাজিয়ে, ঢাকের তালে মা এগিয়ে চলেন ঘাটের উদ্দেশ্যে।
বিসর্জনের অন্যতম আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ধুনুচি নাচ। মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে মানুষ অংশ নেন এই খেলায়। ধুনুচি নাচ বাংলার পুজোর ঐতিহ্য বটে।
বাড়ির পুজোর বিসর্জনে আছে বিশেষ রীতি। অনেক বাড়ির নিয়ম দেবী মূর্তি কাঁধে করে বিসর্জনের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার। কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়ি বা মল্লিকবাড়ির দুর্গাপুজোয় এখনও সেই একই নিয়মে বিসর্জন দেওয়া হয় প্রতিমার।
নৌকো করে বিসর্জনের রীতিও আছে অনেক জায়গায়। মায়ের মূর্তি দুই নৌকায় করে নিয়ে যাওয়া হয় নদী বক্ষে। তারপর দুদিকে সরে যায় নৌকা। আর বিসর্জন হয় প্রতিমার। টাকিতে গেলে এখনও এই ভাবে বিসর্জন দেখা যায়।
আগেকার দিনে বনেদি বাড়িগুলির বিসর্জনে ছিল নানা প্রথা। মনে করা হয় নীলকন্ঠ পাখি মহাদবের দূত। তাই বিসর্জনের সময় নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানোর চল ছিল অনেক বাড়িতেই। মনে করা হত নীলকন্ঠ উড়ে গিয়ে শিবের কাছে মায়ের ঘরে ফেরার খবর পৌঁছে দিতেন। যদিও সরকারি বিধি নিষেধের কারণে আজ এই প্রথা লুপ্ত হয়েছে।