AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Fasting Rules: মাছ-মাংস-ডিম ছাড়া মুখে রোচে না, কিন্তু উপোস বা পুজোর সময় রসুন-পেঁয়াজ খান না কেন?

Indian Foods: সনাতন ধর্মে একে তামসিক খাদ্য বলে মনে করা হয়। আধ্যাত্মিকতা বিশ্বাস করুন বা না করুন, উপবাস করলে বা বাড়িতে শুভ বা পুজোর আয়োজন চললে বা যজ্ঞে বসলে পেঁয়াজ-রসুন ছাড়া নিরামিষ খাবার খাওয়াকে গুরুত্ব বলে মনে করা হয়। পণ্ডিত বা পুরোহিতরা যে কোনও কাজের গতি আনতে রসুন বা পেঁয়াজ না খাওয়ার পরামর্শ দেন।কিন্তু কেন এমন নিয়ম?  

Fasting Rules: মাছ-মাংস-ডিম ছাড়া মুখে রোচে না, কিন্তু উপোস বা পুজোর সময় রসুন-পেঁয়াজ খান না কেন?
| Updated on: Jul 01, 2024 | 3:12 PM
Share

খিদের পেটে খাবারের কথা বা ছবি দেখলে হুর হুর করে মুখের মধ্যে আরও বেশি লালা নিঃসৃত হয়। পছন্দের খাবার দেখলে পেটের মধ্যে খিদে যেন আরও বেশি মোচড় দেয়। তাই উপোস করার সময় ভাগ্যের লীলায় পছন্দের খাবারগুলিই বেশি করে মনে পড়ে। খাবার খেতে কে না পছন্দ করে। পেট খালি রেখে কোনও কাজই হাসিল করা সম্ভব নয়। প্রকৃতিও তাই। দিনের শুরু থেকে রাত পর্যন্ত, আমিষ খাবার ছাড়া অনেকেই থাকতে পারেন না। কিন্তু হিন্দু ধর্ম মতে, পুজো, শুভ কাজ বা উপোসের সময় নিরামিষ খাওয়া বাধ্যতামূলক বলে উল্লেখ রয়েছে। মাছ, মাংস ও ডিম শুধুই নয়, পেঁয়াজ, রসুন খাওয়া নিষিদ্ধ। মাটিতে জন্মালেও নিরামিষ খাবারে এই দুই অতিপ্রয়োজনীয় খাদ্যবস্তু নিষিদ্ধ। সনাতন ধর্মে একে তামসিক খাদ্য বলে মনে করা হয়। আধ্যাত্মিকতা বিশ্বাস করুন বা না করুন, উপবাস করলে বা বাড়িতে শুভ বা পুজোর আয়োজন চললে বা যজ্ঞে বসলে পেঁয়াজ-রসুন ছাড়া নিরামিষ খাবার খাওয়াকে গুরুত্ব বলে মনে করা হয়। পণ্ডিত বা পুরোহিতরা যে কোনও কাজের গতি আনতে রসুন বা পেঁয়াজ না খাওয়ার পরামর্শ দেন।কিন্তু কেন এমন নিয়ম?

খাদ্য তিন ভাগে বিভক্ত

শাস্ত্র মতে, খাদ্যকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমটি হল সাত্ত্বিক, দ্বিতীয়টি হল রাজসিক ও তৃতীয় বা সর্বশেষ হল তামসিক খাদ্য। প্রাচীনকালে ভারতের বিভিন্ন পুরাণ বা শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে, “আপনি যেমন খাবেন, আপনার মনও তেমন হবে”। এর অর্থ আপনি যে ধরণের খাবার খান তা আপনার জীবন ও মনকে প্রভাবিত করে। আপনার চিন্তাভাবনাও একই রকম হয়ে থাকে। খাদ্যের সঙ্গে সঙ্গে মুড বা মেজাজও পরিবর্তন হতে থাকে।

সাত্ত্বিক খাবার

যে খাদ্যে সর্বাধিক সত্ত্ব গুণ রয়েছে তাকে সাত্ত্বিক খাদ্য বলে। দুধ, ঘি, ময়দা, সবুজ শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি খাদ্যবস্তু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই জাতীয় খাবার খাওয়া জীবনে ইতিবাচক শক্তি বয়ে নিয়ে আসে।

রাজসিক খাবার

যে খাবারে প্রচুর পরিমাণে মশলা থাকে। আমিষ খাবার তৈরি করার সময় মশলা ব্যবহার করা হয়। তাই এই জাতীয় খাবারকে রাজসিক খাদ্য বলা হয়। এর মধ্যে জাফরান, লঙ্কা ও মশলা থেকে শুরু করে ডিম, মাংস ও মাছের মতো আমিষ খাবার সবই অন্তর্ভুক্ত।

তামসিক খাবার

যে খাবার খেলে আপনার রক্ত ​​চলাচল নির্ভর করে, কখনও বৃদ্ধি ঘটে আবার কখনও হ্রাস পায়, তাকে তামসিক খাদ্য বলে। এই জাতীয় খাবার গ্রহণ করলে ক্রোধ, অহংকার, উত্তেজনা অনুভূতি বয়ে নিয়ে আসে। রসুন ও পেঁয়াজ এই বিভাগে অন্তর্ভুক্ত। কোন পূজা, উপবাস বা ধর্মীয় আচারের সময় এই দুটিই গ্রহণ না করার উল্লেখ রয়েছে। কারণ পুজোর সময় শান্ত মন ও দয়ার অনুভূতি থাকা অত্যন্ত জরুরি।