Economic Crisis in Sri Lanka: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে কৃতজ্ঞ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক
আর্থিক সঙ্কটে পড়ে শ্রীলঙ্কা জুড়ে চলছে হানাহানি। যা ভাবিয়ে তুলেছে ওই দেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষজনকে। ১৯৯৬ সালে বিশ্বকাপজয়ী টিমের ক্যাপ্টেন অর্জুন রণতুঙ্গাও সরব হয়েছেন যা নিয়ে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে কৃতজ্ঞ তিনি।
কলম্বো: সারা দেশের আর্থিক (Economic Crisis) কাঠামো একেবারে ভেঙে পড়েছে। কার্যত দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। দেশের এমন সঙ্কটে সবাই একজোট হওয়ার চেষ্টা করছেন, যাতে জটিল পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা যায়। মুথাইয়া মুরলীথরন থেকে কুমারা সঙ্গাকারা, মাহেলা জয়বর্ধনেদের মতো নামী শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটাররা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ বার অর্জুন রণতুঙ্গার (Arjuna Ranatunga) মতো প্রাক্তনও ভারতের সাহায্য দাবি করলেন। অতিমারি সারা বিশ্বের অর্থনীতিকে নড়িয়ে দিয়েছে। কম-বেশি সব দেশই প্রভাবিত। উপমহাদেশও কম ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। তার মধ্যেই শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী ক্যাপ্টেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাশে চেয়েছেন।
রণতুঙ্গা বলেছেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী এর আগেও শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়িয়েছেন। জাফনা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির সময় উনি সাহায্য করেছিলেন। সে দিক থেকে দেখলে ভারত আমাদের বড় দাদার মতো। আর্থিক সাহায্য হয়তো এখনও করেনি, কিন্তু ভারত পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে। যাতে পেট্রল, ওষুধের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস আমাদের জোগান দেওয়া যায়। ভারত আমাদের পাশে আছে।’
যে কোনও দেশের আর্থিক সঙ্কট অন্য দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দেয়। দেশের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে। হানাহানি শুরু হয়ে যায়। সেই আশঙ্কা করছেন রণতুঙ্গা। ‘আমার সবচেয়ে বড় চিন্তার জায়গা অন্য। যেন কোনও ভাবেই রক্তের নদী বয়ে না যায়। আমি এটা নিয়ে খুব ভয়ে আছি। যুদ্ধ না শুরু হয়ে যায়। এই ছবি কিন্তু আমরা এর আগেও দেখেছি। কিছু রাজনীতিক কিন্তু এটা প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী মুসলিম ও তামিলরা। এর ফলে দেশটা ভাগ হয়ে যাচ্ছে। এই রকম মনোভাব কিন্তু দেশের জন্য খুব ক্ষতিকর। সেটা অনেকেই বুঝতে পারছেন না।’
সারা শ্রীলঙ্কা জুড়ে এখন প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। জনসাধারণের আক্রোশের যথেষ্ট কারণ আছে, বিশ্বাস করছেন রণতুঙ্গা। কারণ, অতিমারি পরিস্থিতি ঠিক মতো সামলাতে পারেনি সরকার। রণতুঙ্গা বলছেন, ‘সাধারণ মানুষের দাবি কিন্তু বিরাট কিছু নয়। তারা চাল, পেট্রল, খাবারের দাবি তুলছে। গত দু’বছর ধরেই দেশ যে ভাবে চলছে, সেটা ঠিক ছিল না। সরকার বলতে পারে, করোনার কারণে এমন হয়েছে। কিন্তু সরকার ঠিকঠাক মতো কিছুই পরিচালনা করতে পারেনি। ভেবেছিল, যে কোনও পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। তা যে হওয়ার ছিল না, এই ঘটনাই প্রমাণ করে দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: IPL 2022: সামালোচকদের জবাব দিলেন জাড্ডু