কলকাতা: দেশের মাটিতে আগামী বছর হবে এশিয়া কাপ (Asia Cup)। কিন্তু সেখানে খেলতে দেখা যাবে না বিরাট কোহলি (Virat Kohli), রোহিত শর্মাদের (Rohit Sharma)। আসলে পঁচিশের এশিয়া কাপের আয়োজক ভারত। কিন্তু ফর্ম্যাট টি-২০। ভারতীয় ক্রিকেটের দুই স্তম্ভ রোহিত ও বিরাট এ বছর টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার পর দেশের হয়ে আর এই ফর্ম্যাটে খেলবেন না জানিয়ে দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে অবসর নেওয়ার ফলে ভারতের রো-কো জুটিকে আগামী বছরের এশিয়া কাপে খেলতে দেখা যাবে না। যা ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমী এবং বিরাট-রোহিতদের অনুরাগীদের কাছে কষ্টের। এরই মাঝে আলোচনায় এশিয়া কাপের মিডিয়া রাইটস। যা থেকে প্রচুর আয় করতে চলেছে এসিসি।
ক্রিকবাজের রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী বছরের এশিয়া কাপের আগে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল মিডিয়া স্বত্বের এক প্রস্তাব পেশ করেছে। এসিসি এশিয়া কাপের মিডিয়া স্বত্বর দর রেখেছে ১৭০ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ প্রায় ১৪২৮.৫১ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিশ্বব্যাপী টেলিভিশন, পুরুষদের এশিয়া কাপ, মহিলা এশিয়া কাপ, পুরুষদের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ, পুরুষদের এমার্জিং এশিয়া কাপ, মহিলাদের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ এবং মহিলাদের এমার্জিং এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টের ডিজিটাল ও অডিও রাইটস অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এর নিলাম হবে ১ নভেম্বর। যাতে অংশ নিতে সম্প্রচারকারীদের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে দুবাইতে তাদের প্রযুক্তিগত বিড জমা দিতে হবে।
যদি সম্প্রচারকারীরা এই সমস্ত টুর্নামেন্টের মিডিয়া অধিকার চান, তা হলে তাদের কমপক্ষে ১৪২৮.৫১ কোটি টাকা দিতে হবে। নিলামে এই দর আরও বাড়তে পারে। সম্প্রচারকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য, এসিসি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অন্তত ২টি ম্যাচের নিশ্চয়তাও দিয়েছে। আসলে এশিয়া কাপের প্রতিটি সংস্করণে ১৩টি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত করার ভাবনা রয়েছে। আর সেখানে ২টি ভারত-পাক ম্যাচ থাকলে আর্থিক দিক থেকে লাভবান হওয়ার সম্ভবনা থাকবে।
ক্রিকবাজের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী চারটি এশিয়া কাপ হবে যথাক্রমে – ২০২৫ এশিয়া কাপ (ভারত, টি-২০ ফর্ম্যাট), ২০২৭ এশিয়া কাপ (বাংলাদেশ, ওডিআই ফর্ম্যাট), ২০২৯ এশিয়া কাপ (পাকিস্তান, টি-২০ ফর্ম্যাট), ২০৩১ এশিয়া কাপ (শ্রীলঙ্কা, ওডিআই ফর্ম্যাট)।