ICC World Cup 2023: তেইশের বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত শেফেই ভরসা মার্কাস স্টইনিসের

Marcus Stoinis, ICC ODI World Cup 2023: মার্কাস স্টইনিসের ব্যক্তিগত শেফের নাম ভেল্টন সালদানহা। তিনি আবার মুম্বইয়ের বাসিন্দা। ফরাসি রান্নায় পারদর্শী তিনি। ভারতে বিশ্বকাপ চলাকালীন অজি দল যে শহরে, যে হোটেলে থাকছে সেখানে তিনি স্টইনিসের পছন্দ এবং চাহিদা মতো খাবার তৈরি করছেন।

ICC World Cup 2023: তেইশের বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত শেফেই ভরসা মার্কাস স্টইনিসের
তেইশের বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত শেফেই ভরসা মার্কাস স্টইনিসের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 03, 2023 | 12:01 AM

নয়াদিল্লি: ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম ফিট ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। ফিটনেস নিয়ে কোনও আপস করেন না কোহলি। খাবার নিয়ে খুঁতখুঁতে ক্রিকেটারদের তালিকায় অনেকেই রয়েছেন। আপাতত ভারতে চলছে ওডিআই বিশ্বকাপ (ICC World Cup 2023)। আর তার জন্য ব্যক্তিগত শেফ নিয়ে ভারতে এসেছেন অজি তারকা ক্রিকেটার মার্কাস স্টইনিস (Marcus Stoinis)। ভারতে এলে বিদেশি ক্রিকেটাররা এখানকার বিভিন্ন খাবার খেয়ে দেখেন। কিন্তু সে সবেই বালাই নেয় অজি অলরাউন্ডার স্টইনিসের জন্য। নিজের ব্যক্তিগত শেফের বানানো খাবার ছাড়া কোনও কিছুই মুখে তুলছেন না স্টইনিস। সে কথা আবার তিনি নিজেই জানিয়েছেন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্টইনিস জানিয়েছেন, কার্বোহাইড্রেট কম রয়েছে এমন খাবার পছন্দ করেন তিনি। কেটোজেনিক ডায়েটে অভ্যস্থ তিনি। তাঁর পাতে তাই অবশ্যই থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন। মশলা ও তেল বেশি দেওয়া খাবার সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলেন ৩৪ বছরের অজি অলরাউন্ডার। অজি ক্রিকেট টিমের জন্য আলাদা শেফ রয়েছে। কিন্তু তাঁর বানানো খাবার খান না স্টইনিস। তাই ব্যক্তিগত শেফ নিয়ে ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে এসেছেন। স্টইনিসের ব্যক্তিগত শেফ অবশ্য এক জন ভারতীয়। স্টইনিসকে গত আইপিএলের সময় ওই শেফের খোঁজ দিয়েছিলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল।

মার্কাস স্টইনিসের ব্যক্তিগত শেফের নাম ভেল্টন সালদানহা। তিনি আবার মুম্বইয়ের বাসিন্দা। ফরাসি রান্নায় পারদর্শী তিনি। ভারতে বিশ্বকাপ চলাকালীন অজি দল যে শহরে, যে হোটেলে থাকছে সেখানে তিনি স্টইনিসের পছন্দ এবং চাহিদা মতো খাবার তৈরি করছেন। স্টইনিস বলেছেন, ‘ভারতীয় দলের বেশ কয়েক জন ক্রিকেটার খাবার নিয়ে ভীষণ সতর্ক। ওদের দেখেই এই বিষয়টা প্রথমে আমার মাথায় আসে। খাওয়া দাওয়া নিয়ে আমিও নির্দিষ্ট তালিকা মেনে চলি। অনিয়ম করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কোনও প্রতিযোগিতার সময় তো আরও নয়।’

অজি তারকা বলেন, ‘গার্লিক নান খাচ্ছি না। বরং আমি গ্লুটেন ফ্রি কলা দিয়ে বানানো বিশেষ রুটি খাচ্ছি। রোস্টেড কলিফ্লাওয়ার দেওয়া পাইও খাচ্ছি। পাতে থাকছে রোস্টেড বাটার চিকেন। বিশেষ করে ফরাসি এবং ভারতীয় হালকা খাবারই খাচ্ছি। নিয়মিত বেকড ওটসও আমি খাচ্ছি। কারণে ওটসে প্রচুর প্রোটিন রয়েছে। বিশ্বকাপ শেষ হলে সালদানহা চাইলে স্টইনিস ওটসও বিক্রি করতে পারবে।’

কোথা থেকে ভেল্টন সালদানহাকে পেলেন স্টইনিস? নিউইয়র্ক, চিকাগোর রেস্তোরাঁয় দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে সালদানহার। তিনি এখন মুম্বইয়ে নিজের রেস্তোরাঁও চালান। স্টইনিস জানান, তাঁর তৈরি খাবার সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর। অনেককিছু খেয়াল রেখে আমার জন্য তিনি বিভিন্ন খাবার বানান করেন।’

দলের আলাদা শেফ থাকার পরও স্টইনিস কেন নিজের ব্যক্তিগত শেফ নিয়ে ভারতে এসেছেন? তাঁর কথায়, ‘আমি চাই যত বেশি দিন সম্ভব খেলা চালিয়ে যেতে। তার জন্য ফিটনেস ঠিক রাখা দরকার। আমার পক্ষে যে বিষয়গুলি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, আমি সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। এই বিশ্বকাপে আমাদের অনেক সফর করতে হচ্ছে। নিজেদের স্বাচ্ছন্দের পরিবেশের বাইরেও থাকতে হচ্ছে। আমাদের দেশের সঙ্গে এখানকার সময়ের পার্থক্য অনেক। একের পর এক হোটেল বদলে যাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে ঘুমোনোর বিছানা। আমরা তো আর পার্থের সমুদ্র সৈকতে সময় কাটাচ্ছি না, যে এক কাপ কফি আর সঙ্গে যা হোক কিছু একটা খেলেই হবে। তাই আমার মতে কিছু ব্যবস্থা নিজেকেই নিতে হয়। ভালো এবং সুস্থ থাকার জন্য। আমি নিজের জন্য এবং পছন্দের পরিবেশের জন্য বিনিয়োগ করতে পিছপা হই না। অনেকে অবশ্য ভাবতেই পারেন যে আমি টাকা নষ্ট করছি। কিন্তু আমি তা ভাবি না। আমি ব্যক্তিগত শেফ, ব্যাটিং কোচ, মনোবিদ সঙ্গে রাখার চেষ্টা করি। আমার কখনও মনে হয় না এগুলো বাজে খরচ।’