ক্রিকেটদুনিয়ায় নক্ষত্রপতন, Rodney Marsh-এর লড়াই শেষ
না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি উইকেটকিপার রড মার্শ
অ্যাডিলেড: প্রয়াত অজি কিংবদন্তি উইকেটকিপার রডনি মার্শ (Rod Marsh)। ৭৪ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন অস্ট্রেলিয়ার এই প্রাক্তন উইকেটকিপার। রেখে গেলেন তাঁর স্ত্রী রস এবং তিন সন্তানকে (পল, ড্যান ও জেমি)। গত সপ্তাহে (২৪ ফেব্রুয়ারি) হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল কুইন্সল্যান্ডের এক হাসপাতালে। কুইন্সল্যান্ডের বুন্দাবার্গে এক চ্যারিটি ইভেন্টে যোগ দিতে যাওয়ার সময়ই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন মার্শ। তৎক্ষণাৎ তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মার্শের সঙ্গে একই গাড়িতে ছিলেন ওই চ্যারিটি ইভেন্টের ২ কর্মী। প্রাক্তন অজি উইকেটরক্ষকের অবস্থা খারাপ হতে দেখেই তাঁরাই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। এর পর তিনি সংকটজনক অবস্থায় থাকলেও, পরিবারের কাছাকাছি থাকার জন্য তাঁকে অ্যাডিলেডের হাসপাতালে স্থানান্তিরত করা হয়। সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন মার্শ।
Australian cricket is in mourning after one of its greatest players and most influential figures passed away early this morning.
RIP Rod Marsh: https://t.co/9Ae4V7p5lK pic.twitter.com/M31tUY0nap
— cricket.com.au (@cricketcomau) March 4, 2022
টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ উইকেটকিপার এবং একজন দুরন্ত বাঁ-হাতি ব্যাটার মার্শ। তিনি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১৯৭০-১৯৮৪ সালের মধ্যে ৯৬টি টেস্টে খেলেছেন। এবং অবসর নেওয়ার সময় তাঁর নামের পাশে ছিল ৩৫৫টি উইকেট শিকারের নজির (ক্যাচ ও স্টাম্প মিলিয়ে)। যা সেই সময়ে একটি বিশ্ব রেকর্ড ছিল। এবং তিনটি টেস্ট সেঞ্চুরি ও ১৬টা হাফসেঞ্চুরি রয়েছে মার্শের নামের পাশে। টেস্ট ক্রিকেটে রডনি মার্শ করেছিলেন মোট ৩৬৩৩ রান। এবং ৯২টি এক দিনের ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ১২২৫ রান।
কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার ডেনিস লিলির সঙ্গে তাঁর জুটি টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বোলার-উইকেটকিপার জুটি। যেখানে ‘ক্যাচ মার্শ, বোল্ড লিলি’ রেকর্ড রয়েছে ৯৫ বার। ১৯৮৪ সালে একসঙ্গে তাঁরা অবসর নেওয়ার পরে, তাঁদের রেকর্ড আজও অক্ষত আছে।
Caught Marsh, bowled Lillee… Cricket's most iconic combo! pic.twitter.com/zAOE4QPncT
— cricket.com.au (@cricketcomau) March 4, 2022
ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি কোচিংয়ের কাজে যুক্ত ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধানও হয়েছিলেন। পরে ইংল্যান্ডের হয়েও এই দায়িত্ব পালন করেছিলেন মার্শ। মার্শ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট হল অফ ফেম, স্পোর্ট অস্ট্রেলিয়ার হল অফ ফেম এবং আইসিসি হল অফ ফেমের একজন সদস্য এবং তিনি খেলাধুলায় তাঁর পরিষেবার জন্য ১৯৮১ সালে অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ারও পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: IND vs SL 1st Test Day 1 Live: কুমারা ফেরালেন রোহিতকে, প্রথম ধাক্কা খেল ভারত