AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Titas Sadhu: বিশ্বকাপ ফাইনালে বঙ্গকন্যার পেস ও সুইংয়ের দাপট, কেঁপে গেল ইংল্যান্ড

ICC U19 women's World cup 2023: সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকায় মেয়েদের অনূর্ধ্ব বিশ্বকাপের ফাইনালে বঙ্গকন্যার দাপট দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন আম বাঙালিও। আজ গর্বে তাঁদের বুক চওড়া।

Titas Sadhu: বিশ্বকাপ ফাইনালে বঙ্গকন্যার পেস ও সুইংয়ের দাপট, কেঁপে গেল ইংল্যান্ড
Image Credit: Twitter
| Edited By: | Updated on: Jan 29, 2023 | 7:10 PM
Share

পচেস্ট্রুম: বিশ্বকাপের মঞ্চ অনেক নতুন তারকার জন্ম দেয়। নেলসন ম্যান্ডেলার দেশে সেই তারকার কি খোঁজ পেয়ে গেল বাংলা? ফাইনালে গতির ঝড় তুলবেন মেয়ে তিতাস, চুঁচুড়ার বাড়িতে বসে এমনই আশার কথা শুনিয়েছিলেন বাবা। একই প্রত্যাশা রেখেছিলেন কোচ। সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকায় মেয়েদের অনূর্ধ্ব বিশ্বকাপের ফাইনালে (U19 women’s World cup 2023) বঙ্গকন্যার দাপট দেখার জন্য মুখিয়ে ছিলেন আম বাঙালিও। আজ গর্বে তাঁদের বুক চওড়া। বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো মঞ্চে নজর কেড়ে নিলেন বাংলার পেসার তিতাস সাধু (Titas Sadhu)। ৪ ওভারের কোটায় মাত্র ৬ রান খরচ করে ২ উইকেট। তিতাসের পেস ও সুইংয়ে কেঁপে গেল ইংরেজদের দল। ইংল্যান্ডের ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট নেন তিতাস। বিস্তারিত TV9 Bangla-য়।  

পচেস্ট্রুমের মাঠে টস জিতে ইংল্যান্ডের মেয়েদের প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় ভারতের অধিনায়ক শেফালি ভার্মা। লক্ষ্য স্বল্প রানে ইংরেজদের গুটিয়ে দেওয়া। চলতি বিশ্বকাপে নতুন বলে ভালো সুইং পাচ্ছেন তিতাস। শুরুর দিকে ভালো চাপ তৈরি করতে পারছিলেন। যে কারণে মন্নত কাশ্যপ,পার্শ্ববী চোপড়ার মতো স্পিনাররা উল্টো দিকে উইকেট নেওয়ার সুবিধা পেয়েছেন। তবে ফাইনালে শুরু দিকে আলো একাই কেড়ে নিলেন। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে ইংরেজ ওপেনার লিবার্টি হিপকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন। শূন্য রানে ফেরান ইংরেজ ওপেনার লিবার্টিকে। প্রথমেই উইকেট খুইয়ে ঘাবড়ে যায় ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। ব্যক্তিগত দ্বিতীয় উইকেট নিলেন উইকেটকিপার-ব্যাটার সেরেন স্মেলি। ব্যক্তিগত তিন রানে স্মেলকে বোল্ড আউট করেন বাংলার পেসার। ম্যাচের পর সম্প্রচারকারী চ্যানেলকে বঙ্গকন্যা বললেন, “আমরা এরকম একটা ভালো সূচনার পরিকল্পনা করেছিলাম।” বলা যায়, তিতাসের ভালো সূচনা স্বল্প রানে ইংল্যান্ডকে বেঁধে রাখতে সক্ষম হয়েছে ভারত।

চুঁচুড়ার মেয়ে তিতাস সাধু এ বারের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ৬টি ম্যাচে খেললেন। ছয়টি ম্যাচে ৬টি উইকেট তাঁর। ঝুলন গোস্বামী, হরমনপ্রীত কৌর, স্মৃতি মান্ধানাদের দেখে বড় হয়েছেন। বাংলার মহিলা ক্রিকেটের মুখ ঝুলন গোস্বামী গতবছর বাইশ গজকে বিদায় জানিয়েছেন। সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে পারবেন তিতাস? এই তো সবে শুরু। তিতাসদের সামনে এখনও লম্বা পথ বাকি। বিশ্বকাপের সাফল্যের পর সিনিয়র দলে ডাক পাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। মেয়েদের আইপিএলের উদ্বোধনী সংস্করণেও বাংলার তিতাসের জন্য হয়তো ঝাঁপাবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি।