বড়-রাত পেরোলেই বড় ম্যাচ। মেলবোর্নে বাক্স খোলার অপেক্ষা। ভারত-অস্ট্রেলিয়া পাঁচ ম্যাচের সিরিজ। শুরুটা হয়েছিল ভারতের জয়ে। যদিও অ্যাডিলেডে গোলাপি টেস্টে ঘুরে দাঁড়িয়ে সমতা ফিরিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ব্রিসবেনে তৃতীয় টেস্টে ভারত কিছুটা হলেও কঠিন পরিস্থিতিতে ছিল। সেখান থেকে জসপ্রীত বুমরা ও আকাশ দীপের অনবদ্য ব্যাটিং পারফরম্যান্সে ফলো অন এড়ানো এবং ড্র। সিরিজ এখনও সমতায়। মেলবোর্ন থেকেই সিরিজ টার্ন নিতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন হল, চিন মিউজিক নাকি ‘সচিন’!
পারথ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংস বাদ দিলে ভারতীয় ব্যাটিং আক্রমণে একমাত্র ধারাবাহিক বলা যায় লোকেশ রাহুলকে। যশস্বী জয়সওয়াল একটি সেঞ্চুরির পর লাগাতার ব্যর্থ। শুভমন গিলও হতাশ করছেন। সবচেয়ে বড় অস্বস্তি ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা এবং সুপারস্টার ব্যাটার বিরাট কোহলির ফর্ম। পারথে ছিলেন না রোহিত। অ্যাডিলেডে টিমের সঙ্গে যোগ দেন। মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করছেন রোহিত। পুরনো পজিশনে ফিরলেও পারফর্ম করতে পারেননি। সম্মান পুনরুদ্ধারে নজর থাকবে রোহিতের দিকে।
বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির এই সিরিজ অনেকের কাছেই টেস্টে শেষ হতে পারে। এমনকি বর্তমান প্রজন্মের সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলির জন্যও। ব্রিসবেনে রবিচন্দ্রন অশ্বিন হঠাৎ অবসর নেওয়ায় চাপ বেড়েছে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার উপরও। বাকি দু-ম্যাচে আতসকাঁচেই থাকবেন বিরাটরা। পারথের দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন বিরাট কোহলি। তার আগে রানের খরা চলছিল। সেই সেঞ্চুরির পরও একই অবস্থা। বারবার অফস্টাম্পের বাইরের ডেলিভারির ফাঁদে পড়ছেন। সেখান থেকে বেরোতে পারাটাই আসল।
মেলবোর্নের পিচে পেস বাউন্স থাকবে। ব্যাটারদের জন্য ধৈর্যের পরীক্ষাও। বিরাট সেই পরীক্ষায় কেমন পারফর্ম করেন সেদিকে বাড়তি নজর। গত কয়েক দিনের অনুশীলনে অফস্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি নিয়ে পরিশ্রম করেছেন। তাঁকে চিন মিউজিক শোনানোর চেষ্টাও করবেন অজি পেসাররা। সচিনের মতো ধৈর্য দেখিয়ে ক্রিজে টিকে থাকতে পারেন কি না, বিরাটের কাছে সেই পরীক্ষায়। সচিন যেমন অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেই বারবার কভার ড্রাইভে আউট হওয়ায় নিজেকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন অফস্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করবেন না। বিরাটও তেমন প্র্যাক্টিস করেছেন। ম্যাচেও পারবেন তো!
ভারতীয় বোলিং নিয়েও অস্বস্তির জায়গা রয়েছে। জসপ্রীত বুমরা ধারাবাহিক পারফর্ম করছেন। যদিও নতুন বলে তাঁর সঙ্গী সিরাজের থেকে সেই সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। তুলনামূলক ভাবে গত ম্যাচে ভালো বোলিং করেছিলেন আকাশ দীপ। ভারতীয় দলের পরিকল্পনা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ব্যাটিং গভীরতা বাড়াতে গিয়ে প্রতিপক্ষর ২০টা উইকেট নেওয়ার মতো শক্তি নেই। বুমরার স্পেল শেষ হলেই চাপ হালকা হচ্ছে প্রতিপক্ষর। গৌতম গম্ভীর-রোহিত শর্মা, মেলবোর্নের জন্য কোন পরিকল্পনা গড়েন, সেটাও দেখার বিষয়।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া বক্সিং ডে টেস্ট শুরু হবে বৃহস্পতিবার ভারতীয় সময় সকাল ৫টায়।
টস আধঘণ্টা আগে অর্থাৎ ৪.৩০টায়। সরাসরি সম্প্রচার স্টার স্পোর্টস, ডিজনি প্লাস হটস্টারে।
ব্রিসবেনের মতো বক্সিং ডে টেস্টেও বৃষ্টির ভ্রুকুটি রয়েছে।