ICC U19 Women’s T20 World Cup: কলকাতায় বিশ্বজয়ী তিতাস-হৃষিতারা, পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ সিএবি সভাপতির

বাংলার দুই মেয়ে তিতাস সাধু আর হৃষিতা বসু বিমানবন্দরে নামতেই ফুলে মালায় তাঁদের বরণ করে নেওয়া হয়। সংবর্ধনায় ভরিয়ে দেওয়া হয় দুই বঙ্গতনয়াকে। সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় হাজির ছিলেন বিমানবন্দরে।

ICC U19 Women's T20 World Cup: কলকাতায় বিশ্বজয়ী তিতাস-হৃষিতারা, পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ সিএবি সভাপতির
তিলোত্তমায় পা রাখতেই সংবর্ধনা তিতাস-হৃষিতাদের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 02, 2023 | 3:41 PM

কলকাতা: বিশ্বকাপ জিতে ঘরে ফিরলেন বাংলার দুই মেয়ে তিতাস সাধু (Titas Sadhu) আর হৃষিতা বসু (Hrishita Basu)। সিনিয়র দলের বিশ্বকাপ থাকায় আমেদাবাদ থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে গিয়েছেন বাংলার অপর ক্রিকেটার রিচা ঘোষ। কলকাতা বিমানবন্দরে পা রাখতেই পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় বাংলার দুই ক্রিকেটারকে। অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে ভারতের মেয়েরা। বিশ্বকাপের প্রথম সংস্করণেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা দল। সেই চ্যাম্পিয়ন দলে ছিলেন বাংলার তিন ক্রিকেটার- তিতাস সাধু, হৃষিতা বসু আর রিচা ঘোষ। প্রথম বাঙালি হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে ম্যাচের সেরা হয়েছেন তিতাস সাধু। চুঁচুড়ার তিতাস ফাইনালে দুরন্ত বোলিং করেন। ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে তুলে নেন ২ উইকেট। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং মেরুদণ্ড একাই ভেঙে দেয় চুঁচুড়ার তিতাস। ইংল্যান্ডকে হেলায় হারিয়ে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন বয় ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।

বাংলার দুই মেয়ে তিতাস সাধু আর হৃষিতা বসু বিমানবন্দরে নামতেই ফুলে মালায় তাঁদের বরণ করে নেওয়া হয়। সংবর্ধনায় ভরিয়ে দেওয়া হয় দুই বঙ্গতনয়াকে। সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় হাজির ছিলেন বিমানবন্দরে। এ ছাড়া রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও বিমানবন্দরে সংবর্ধনা দেন দুই বিশ্বজয়ীকে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটি থেকে অসামান্য কৃতিত্ব গড়ে শহরে ফিরেছেন বাংলার দুই মেয়ে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আগেই ঘোষণা হয়েছিল, বাংলার বিশ্বজয়ী ক্রিকেটারদের প্রত্যেককে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে। এ ছাড়া অনূর্ধ্ব-১৯ তিন ক্রিকেটারকে সংবর্ধিত করবে সিএবিও।

ফাইনালের সেরা তিতাস সাধু কলকাতায় নামার পর বলেন, ‘বিশ্বকাপ জেতাটা আমাদের মেয়েদের জন্য খুব দরকার ছিল। সবাই খুব খুশি। পরবর্তী লক্ষ্য আইপিএল আর জাতীয় দল। তবে ফাইনালে নিজের পারফরমেন্স নিয়ে কিছু ভাবিনি। টিম হিসেবেই মাঠে নেমেছিলাম। দলগত সাফল্যেই বিশ্বসেরা হয়েছি।’ গতকাল আমেদাবাদে সচিন তেন্ডুলকর সংবর্ধিত করেন তিতাসদের। সে প্রসঙ্গে বাংলার পেসার বলেন, ‘সচিন স্যার বলেন, এই সফর থেকে আমরা যেটা শিখেছি সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভবিষ্যতে সেটাকে হাতিয়ার করেই এগোতে।’

বাংলার অপর মেয়ে হৃষিতা বসু বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস ছিল আমরা চ্যাম্পিয়ন হব। ইংল্যান্ডকে কম রানে আটকে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য ছিল। সিনিয়র পর্যায়ে বিশ্বকাপ জেতা এখনও বাকি রয়েছে। সেটা আমাদের জিততে হবে।’ হাওড়ার উইকেটকিপার হৃষিতার আদর্শ মহেন্দ্র সিং ধোনি। একই সঙ্গে মিতালি রাজকেও অনুসরণ করেন তিনি। ২০২৫ সালে সিনিয়র দলের হয়ে বিশ্বকাপ জিততে চান হৃষিতা।