CPL 2025 Winner TKR: ব্র্যাভো-ব্রাভো! পাঁচ বছর পর পঞ্চম ট্রফি নাইট রাইডার্সের
Trinbago Knight Riders: গৌতম গম্ভীরের মেন্টরশিপে দীর্ঘ ১০ বছর পর ২০২৪ সালে ট্রফি জিতেছিল কেকেআর। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা প্লে-অফেই যেতে পারেননি। আগামী মরসুমে কেকেআরে কোন ভূমিকায় থাকবেন ডিজে ব্র্যাভো, তা নিশ্চিত নয়। তবে নতুন ভূমিকায় ট্রফি জিতলেন ব্র্যাভো।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে গত মরসুমে কলকাতা নাইট রাইডার্সের মেন্টর করা হয়েছিল ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ডোয়েন ব্র্যাভোকে। আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। কিন্তু মেন্টরের ভূমিকায় হতাশার কেটেছিল ব্র্যাভোর। তাঁর থেকে প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি। এর অন্যতম কারণ, গৌতম গম্ভীরের মেন্টরশিপে দীর্ঘ ১০ বছর পর ২০২৪ সালে ট্রফি জিতেছিল কেকেআর। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা প্লে-অফেই যেতে পারেননি। আগামী মরসুমে কেকেআরে কোন ভূমিকায় থাকবেন ডিজে ব্র্যাভো, তা নিশ্চিত নয়। তবে নতুন ভূমিকায় ট্রফি জিতলেন ব্র্যাভো।
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে এ বার ডোয়েন ব্র্যাভোকে কোচ করেছিল নাইট রাইডার্স ফ্র্যাঞ্চাইজি। ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সিপিএল ট্রফি নাইট রাইডার্সের ঝুলিতে। পাঁচ বছর পর পঞ্চম সিপিএল ট্রফি জয়ে কোচের ভূমিকাকেও এড়িয়ে যাওয়া যায় না। তেমনই নাইট রাইডার্স ক্যাপ্টেন সুনীল নারিনকেও কৃতিত্ব দিতে হবে। ফাইনালে অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ৩ উইকেটে হারাল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স।
ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। যদিও বোলারদের দাপট। নাইট রাইডার্সের বাঁ হাতি পেসার ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকার ক্রিকেটার সৌরভ নেত্রভালকার দুর্দান্ত বোলিং করেন। ৪ ওভারে মাত্র ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট। টপ অর্ডার ব্যর্থ। লোয়ার অর্ডারে কিছুটা ভরসা দেন ইফতিকার আহমেদ, ডোয়েন প্রিটোরিয়াস, রোমারিও শেপার্ড। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে মাত্র ১৩০ রান করে অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স।
ব্যাটারদের জন্য় পিচ যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং ছিল। নাইট রাইডার্সের রান তাড়ায় তা আরও একবার পরিষ্কার হয়ে যায়। টিকেআরের কোনও ব্যাটারই ৩০-র সীমা পেরোতে পারেননি। শেষ দিকে রুদ্ধশ্বাস হয়ে ওঠে ম্যাচ। আকিল হোসেন ৭ বলে ১৬ রানের ক্যামিও ইনিংসে ম্যাচ ফিনিশ করেই মাঠ ছাড়েন। ২ ওভার বাকি থাকতেই ৩ উইকেটে জয়।
ম্যাচ শেষে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের কোচ ডোয়েন ব্র্যাভো বলেন, ‘টিমে কায়রন পোলার্ড, নিকোলাস পুরান, সুনীল নারিন এবং আন্দ্রে রাসেলের মতো ক্রিকেটার থাকলে অর্ধেক কাজ সেখানেই শেষ হয়ে যায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ড্রেসিংরুমে ভালো পরিবেশ ধরে রাখা। ওদের অভিজ্ঞতায় ভরসা রেখেছিলাম। সত্যি বলতে ফাইনালে নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম। এই মুহূর্তে দুর্দান্ত লাগছে।’
