IND vs PAK, World Cup 2023: ছেলে ‘আইডল’ বিরাটের সাক্ষাৎ পাবে তো! প্রত্যাশায় বাবা
ICC World Cup 2023, Abdullah Shafique-Virat Kohli:জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছে। সেঞ্চুরিও করেছেন। কিন্তু স্বপ্ন যে রয়ে গিয়েছে! আজ কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় ম্যাচটি হয়তো খেলতে চলেছেন। একদিকে তাঁর আদর্শ বিরাট কোহলি, অন্যদিকে লক্ষাধিক দর্শক। আব্দুল্লা শফিকের বাবা বলছেন, 'ও যা লাজুক ছেলে, আমার একটাই প্রত্যাশা, ও যেন ম্যাচ শেষে বিরাটের সঙ্গে কথা বলে। আশাকরি, সতীর্থরা ওকে সেই পরামর্শ দেবে।'
কয়েক দিন আগের কথা। বিশ্বকাপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। হায়দরাবাদে রেকর্ড গড়েছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় স্কোর তাড়া করে জিতেছে পাকিস্তান। এই ম্যাচে পাকিস্তানের জয়ে মুখ্য চরিত্রে ছিলেন মহম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু আর একটা ইনিংস ভুললে চলবে না। বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা আব্দুল্লা শফিক। ঝকঝকে সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের রান তাড়ায় পার্শ্বচরিত্রে অনবদ্য একটা ইনিংস খেলেছিলেন। তাঁর সম্পর্কে আরও একটু জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ফেরা যাক ফ্ল্যাশব্যাকে। সালটা ২০০২। শিয়ালকোটের বাড়িতে ফিরেছেন শফিক আহমেদ। দেখেন তাঁর তিন বছরের ছেলে আব্দুল্লা শফিক প্লাস্টিক ব্যাট নিয়ে খেলছে। শফিক আহমেদ নিজে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন। ছেলে এত কম বয়সে নিজেই ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছেন, তাও অবাক করেছিল তাঁকে। খুশিই হয়েছিলেন। বাড়ির পাশেই ফাঁকা জমিতে ছেলেকে আন্ডারআর্ম থ্রো দিতে শুরু করেন। ছেলেকে একটি বলও ক্রস ব্যাটে খেলতে দেননি। দুবাইতে থাকেন শফিক আহমেদ। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘চমকে গিয়েছিলাম। আধঘণ্টার মতো ওকে প্র্যাক্টিস করাই। ওর মা এসে নিয়ে যায়।’
শফিক আহমেদ ১৯৯০-এর দিকে আরব আমিরশাহি যান। ক্লাব ক্রিকেটে খেলেন। সেখানেই কোচিং করান। নিজের কাজের চাপে ছেলেকে সর্বক্ষণ কোচিং করানোর সুযোগ হয়নি ৫৭ বছরের শফিক আহমেদের। বলছেন, ‘তিন বছরের ছেলের মধ্যে স্পেশাল কিছু দেখেছিলাম। আমার এক তুতো ভাই ওকে কোচিং করায়। আমি হয়তো পথ দেখিয়েছিলাম, তবে ছেলের কোচ হতে পারিনি। কিছু পরামর্শ দিয়েছি মাত্র। আজ ও যা কিছু, সবটাই নিজের ওর পরিশ্রমের ফল।’
প্রতিটি প্রজন্মের কাছে একজন আদর্শ থাকেন। আব্দুল্লা শফিকের কাছে আদর্শ বিরাট কোহলি। সে কথা খোলসা করলেন শফিক আহমেদই। বলছেন, ‘বিরাট কোহলিকে ও আদর্শ মানে। ২০১০-এর দিকের ঘটনা। গুগলে বিরাট সম্পর্কে যা কিছু পেত, পড়ত, দেখত। বিরাট কী খায়, ফিটনেস ট্রেনিং কী করে, ব্যাটিংয়ের সময় কনুই, হেড পজিশন, হেলমেট সেট করা, সব দেখত। বিরাট ব্যর্থ হলে ও ভেঙে পড়ত। এতে ওকেও দোষ দেওয়া যায় না। আসলে এই প্রজন্মে বিরাটের চেয়ে কোনও বড় ব্যাটার আছে নাকি?’
জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। একটা সময় লাল-বলের ক্রিকেটারের তকমা লেগেছিল গায়ে। বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছে। সেঞ্চুরিও করেছেন। কিন্তু স্বপ্ন যে রয়ে গিয়েছে! আজ কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় ম্যাচটি হয়তো খেলতে চলেছেন। একদিকে তাঁর আদর্শ বিরাট কোহলি, অন্যদিকে লক্ষাধিক দর্শক। আব্দুল্লা শফিকের বাবা বলছেন, ‘ও যা লাজুক ছেলে, আমার একটাই প্রত্যাশা, ও যেন ম্যাচ শেষে বিরাটের সঙ্গে কথা বলে। আশাকরি, সতীর্থরা ওকে সেই পরামর্শ দেবে।’