T20 World Cup 2021: বাটলারের ব্যাটে ভর করে মিনি অ্যাসেজে জয় ইংল্যান্ডের
দুটো দলই সুপার টুয়েলভে দুটো করে ম্যাচ জিতে আজ মাঠে নেমেছিল। তবে আজ গোটা ম্যাচ জুড়ে ইংল্যান্ডের দাপটই চোখে পড়ল। বিশ্বকাপের আসরে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে এখন থেকেই যেন অ্যাসেজের জন্য মনোবল বাড়িয়ে ফেললেন বাটলাররা।
অস্ট্রেলিয়া ১২৫ (২০ ওভার) ইংল্যান্ড ১২৬-২ (১১.৪ ওভার) ৮ উইকেটে জয়ী ইংল্যান্ড
দুবাই: ২২ গজে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া (England vs Australia) দ্বৈরথের একটা আলাদাই আবহ রয়েছে। দুবাইতে টি-২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup) সুপার-১২ (Super 12) এর ম্যাচে আজ মুখোমুখি হয়েছিল ইওন মর্গ্যান ও অ্যারন ফিঞ্চরা। এই ম্যাচটাকে মিনি অ্যাসেজ বলা হচ্ছিল। দুটো দলই সুপার টুয়েলভে দুটো করে ম্যাচ জিতে আজ মাঠে নেমেছিল। তবে আজ গোটা ম্যাচ জুড়ে ইংল্যান্ডের দাপটই চোখে পড়ল। বিশ্বকাপের আসরে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে এখন থেকেই যেন অ্যাসেজের জন্য মনোবল বাড়িয়ে ফেললেন বাটলাররা। প্রথমে বোলিং দাপট, তারপর ব্যাটিং শো। টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে যান অজিরা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৫ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। রান তাড়া করতে নেমে ৫০ বল বাকি থাকতেই দাপটের সঙ্গে ম্যাচ বের করে নিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট পাকা করার আরও একধাপ এগোল ইংলিশব্রিগেড।
Emphatic ? 3⃣ from 3⃣
Scorecard: https://t.co/PenkrzhSIg#T20WorldCup | #EnglandCricket pic.twitter.com/LVjsN79alh
— England Cricket (@englandcricket) October 30, 2021
অস্ট্রেলিয়াং ব্যাটিং লাইনআপকে একেবারে বিদ্ধস্ত করে দেন জর্ডান-ওকসরা। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে তিন গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারিয়ে ফেলে ফিঞ্চরা। অজি ওপেনিং জুটি আজ কোনও চমক দেখাতে পারেনি। ডেভিড ওয়ার্নার শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ফর্মে ফিরলেও আজ মাত্র ১ রান করেই সাজঘরে ফেরেন। ক্যাপ্টেন ফিঞ্চ ৪৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। কিন্তু জর্ডান তাঁকেও শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকতে দেননি। অস্ট্রেলিয়ার কোনও ক্রিকেটারই ৫০ রানের গণ্ডি পেরোতে পারেনি। অজিদের মাত্র ১২৫ রানেই বেঁধে ফেলেন ক্রিস ওকসরা। ইংল্যান্ডের হয়ে তিনটি উইকেট নিয়েছেন ক্রিস জর্ডান। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ক্রিস ওকস ও টাইমাল মিলস। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন আদিল রশিদ ও লিয়াম লিভিংস্টোন। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের সেরা হলেন ক্রিস জর্ডান।
রান তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করে ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি। মর্গ্যানদের জয়ের ভিত গড়ে দেন জেসন রয় ও জস বাটলার। ৬৬ রানের পার্টনারশিপের পর অ্যাডাম জাম্পার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাঠ ছাড়েন জেসন রয় (২২)। ব্যাট হাতে সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি ডেভিড মালান (৮)। তবে বাটলারের ব্যাট যে রীতিমতো জ্বলে উঠেছিল সেকথা বলতেই হচ্ছে। ৩২ বলে ৭১ রানের অপরাজিত ইনিংস। অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাকফুটে ঠেলে যেমন দিল, অন্য দলগুলিকেও ভাবতে বাধ্য করালেন, যে কীভাবে তাঁকে থামানো যাবে। অসাধারণ সব শট দিয়ে নিজের ইনিংস সাজিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার-ব্যাটার বাটলার। শেষ পর্যন্ত বাটলারের সঙ্গে ১৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন জনি বেয়ারস্টো।
ম্যাচের শেষে ইওন মর্গ্যান বলেন, “আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হল ঘরের বাইরের পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া, আমরা প্রথম দুটি ম্যাচে এটি সত্যিই ভালো করেছিলাম, তারপর অস্ট্রেলিয়ার মতো একটা শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে আজ আমাদের সত্যি একটি বড় পরীক্ষা ছিল। আমাদের লেন্থ এবং আমাদের পরিকল্পনারকে কাজে লাগিয়ে নিরলসভাবে বোলাররা দলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন। ওপেনারদের সত্যিই ভালো ফর্মে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের বিপক্ষে রয় যেমনটা ছিল এবং বাটলারও সেটাই অনুসরণ করেছে। তাঁরা সবাই কঠিন, আমরা সবাইকে সমীহ করি। সবাইকে সমান সম্মান দিই। এটা একটা কঠিন প্রতিযোগিতা, আমরা পাঁচ দিনের মধ্যে দুটি খেলার জন্য এখান থেকে শারজা যাব।”
মর্গ্যানদের কাছে হারলেও পরের ম্যাচেই ফিরে আসার কথা শোনা গেল অজি অধিনায়কের মুখে। ম্যাচের শেষে অ্যারন ফিঞ্চ বলেন, “পাওয়ার প্লেতে যখন আমরা কয়েকটি উইকেট হারিয়েছিলাম, তখনই আমারা পিছিয়ে পড়েছিলাম। ভেবেছিলাম যে আমরা সময় গেলে সঠিক বল খেলে ম্যাচটাকে রক্ষা করতে পারব। আমাদের তাঁদের তাড়াতাড়ি আউট করতে হত, কিন্তু বাটলার একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেছে। আমরা খারাপ শুরু করেছি, কিন্তু নিজেদের চার্জড আপ করার জন্য কয়েকদিনের ছুটি পাব। আমরা নিজেদের আরও শক্তিশালী করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ফিরে আসব।”