Sourav Ganguly: খেলেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়দের সঙ্গে, দু-ম্যাচ পরই ভ্যানিশ! এখন…

Ex-India cricketer: বীরেন্দ্র সেওয়াগ, যুবরাজ সিং, জাহির খানের মতো প্লেয়াররা কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন। সে সময় আরও অনেক ক্রিকেটার উঠে এসেছিলেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে। টিন যোহানন, ইকবাল আব্দুল্লা, অজয় রাত্রা, শিবসুন্দর দাশ, দীপ দাশগুপ্তরা হাতে গোনা কিছু ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন। এর মধ্যে আরও একটা নাম হারিয়ে গিয়েছিল।

Sourav Ganguly: খেলেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়দের সঙ্গে, দু-ম্যাচ পরই ভ্যানিশ! এখন...
Image Credit source: X
Follow Us:
| Updated on: Aug 28, 2024 | 7:36 PM

ভারতীয় ক্রিকেটে অন্যতম খারাপ সময় ছিল ১৯৯০-এর শেষের দিক থেকে নতুন শতাব্দী শুরুর। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অন্ধকারে ডুবেছিল ভারতীয় ক্রিকেট। মহম্মদ আজহারদ্দিন, অজয় জাডেজার মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের নাম জড়িয়েছিল। ক্রিকেট প্রেমীরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। নেতৃত্ব নিতে প্রস্তুত ছিলেন না অনেকেই। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এরকম কঠিন পরিস্থিতিতেই দায়িত্ব নিয়েছিলেন। জাতীয় দলে একঝাঁক নতুন প্লেয়ার উঠে এসেছিল। বীরেন্দ্র সেওয়াগ, যুবরাজ সিং, জাহির খানের মতো প্লেয়াররা কিংবদন্তি হয়ে ওঠেন। সে সময় আরও অনেক ক্রিকেটার উঠে এসেছিলেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে। টিন যোহানন, ইকবাল আব্দুল্লা, অজয় রাত্রা, শিবসুন্দর দাশ, দীপ দাশগুপ্তরা হাতে গোনা কিছু ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন। এর মধ্যে আরও একটা নাম হারিয়ে গিয়েছিল। জ্ঞানেন্দ্র পান্ডে।

এক বাঁ হাতি স্পিনার, ব্যাটের হাতও খুবই ভালো। উত্তর প্রদেশ ঘরোয়া ক্রিকেটে উজ্জ্বল মুখ। ঘরোয়া ক্রিকেটে ১৯৯ ম্যাচে ২৫৪ উইকেট নিয়েছিলেন। রঞ্জি ট্রফিতে ৪৪২৫ রান এবং ১৪৮ উইকেট। টানা দু-মরসুম ৪০০ রান করার পর জাতীয় দলে সুযোগ। ১৯৯৯ সালে ত্রিদেশীয় পেপসি কাপে ভারতের জার্সিতে অভিষেক হয় জ্ঞানেন্দ্র পান্ডের। ভারত ছাড়া বাকি দুটি দল ছিল পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। রাহুল দ্রাবিড়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বীরেন্দ্র সেওয়াগদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন জ্ঞানেন্দ্র। সেই সিরিজেই অভিষেক হয় সেওয়াগেরও।

জ্ঞানেন্দ্র পান্ডের কেরিয়ার অবশ্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মাত্র ২টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছিলেন। এরপরই বাদ। ফের উত্তর প্রদেশের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে যান। প্রায় ৬ বছর খেলেন। আর জাতীয় দলে সুযোগ হয়নি। বর্তমানে তিনি স্টেটব্যাঙ্কে পিআর এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন।

এই খবরটিও পড়ুন

জাতীয় দলে আর সুযোগ না নিয়ে মুখ খুলেছেন সেই জ্ঞানেন্দ্র পান্ডে। দ্য লাল্লানটপ ইন্টারভিউতে জ্ঞানেন্দ্র বলেন, ‘১৯৯৭ সালে দলীপ ট্রফি ফাইনালে দারুণ পারফর্ম করেছিলাম। ৪৪ রান করেছিলাম, ৩ উইকেটও নিয়েছিলাম। দেওধর ট্রফিতেও ভালো পারফর্ম করেন। বীরেন্দ্র সেওয়াগ, নভজ্যোৎ সিং সিধু, বিক্রম রাঠোররা ছিল। চ্যালেঞ্জার ট্রফিতে রবিন সিং, অময় খুরাসিয়াদের উইকেট নিয়েছিলাম। তারপর এল ১৯৯৯।’

তার আগে ১৯৯৯ সালে টেস্টেই অভিষেক হতে পারত। তবে তৎকালীন বোর্ড সভাপতি জয়বন্ত লেলে নাকি জ্ঞানেন্দ্রকে দলে নেওয়ার পক্ষে ছিলেন না! অনিল কুম্বলে বিশ্রাম চাইলে কেন সুনীল যোশী নয়! এমনই নাকি বলেছিলেন বোর্ড কর্তা। জ্ঞানেন্দ্র বলেন, ‘তিনি যা ভেবেছেন, তাই বলেছেন। তবে তাঁর উচিৎ ছিল আমার পারফরম্যান্স দেখার। তিনি তো নিজেও একজন আম্পায়ার ছিলেন। হয়তো আমার কিছু ভুল ছিল। তিনি সেটা বলতে পারতেন। কেউ আমার পাশে দাঁড়ায়নি।’