কলকাতা: ক্ষতির হিসেব করতে বসে মাথায় হাত। যদি এদিক-ওদিক কিছু হয়, সম্প্রচার সত্ত্ব প্রত্যাহার করে নিতে পারে টিভি চ্যানেল। আর তা হলে আইসিসিকে (ICC) কার্যত পথে বসতে হবে। বিভিন্ন টুর্নামেন্ট থেকেই যত আয় আইসিসির। কোনও বড় দল যদি বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (ICC Champions Trophy 2025) মতো টুর্নামেন্ট না খেলে, তা হলে ক্ষতির বোঝা বইতে হবে আইসিসিকেই। ঠিক এই যুক্তিতেই পাকিস্তান হালে পানি পাচ্ছে না। ঠিক এই কারণেই বিশ্ব নিয়ামক সংস্থায় জামাই আদর বিসিসিআইয়ের (BCCI)। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানে হলে হোক, ভারতের জন্য হাইব্রিড মডেল রাখতেই হবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের খেলা শুধু আইসিসি নয়, পুরো ক্রিকেট দুনিয়ারই বেঁচে থাকার প্রাথমিক শর্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করবে পাকিস্তান। ভারত তাতে খেলতে যাচ্ছে না। রোহিত-বিরাটদের জন্য দুবাইয়ে হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যাবতীয় ম্যাচ। অর্থাৎ পাকিস্তানকে দুবাই অবধি আসতে হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ খেলতে। এতেই যত উষ্মা ওয়াঘার ওপারে। পিসিবি চেষ্টা করেছিল হুমকি দিয়ে আইসিসিকে বশে আনার। হিতে বিপরীত হয়েছে। কারণ, ভারত যদি না খেলে তা হলে আইসিসির রোজগারই বন্ধ হয়ে যাবে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মূল্য নির্ধারণ করলে যা দাঁড়ায়, ৬৩৫৪ কোটি। ভারত নাম প্রত্যাহার করে নিলে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হবে আইসিসির। আর যদি পাকিস্তান না খেলে? তা হলে ৬৩৫ কোটির মতো ক্ষতি। আইসিসি ভারতের পক্ষে কেন দাঁড়াচ্ছে, এই হিসেব থেকেই স্পষ্ট।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও জানে তাদের অর্থ সমাগমের রাস্তা অনেকটাই ভারতের উপর নির্ভরশীল। সরকারি চাপ যতই থাকুক, প্রকাশ্যে যাই বলা হোক না কেন, পিসিবি মোটেও চায় না ভারতের মতো ধনী দেশকে চটাতে। তাই ভারতে অনুষ্ঠিত পরবর্তী বিশ্বকাপ বা আইসিসি টুর্নামেন্ট ‘খেলতে আসব না’ বলে পাকিস্তান যতই হুমকি দিক, বাস্তবে তা ঘটবে না।