উইকেটহীন একটা সেশন। অন্তত ড্র হলেও পোয়েটিক জাস্টিস বলা যেত। কিন্তু শুরু থেকে একঝাঁক ভুল। সেখান ঘুরে দাঁড়ালেও শেষ রক্ষা হল না। একদিকে যেমন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের জটিল অঙ্ক, তেমনই বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি হাতছাড়া হওয়ারও আতঙ্ক। মেলবোর্নে ভারতের জয়ের টার্গেট দাঁড়ায় ৩৩৪ রান। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ৩২৯ রান তাড়া করেও জিতেছে ভারত। ফলে শুরু থেকেই নেতিবাচক ভাবনা ছিল না। তার উপর লাঞ্চ থেকে চা বিরতিতে, উইকেটহীন একটা সেশন কাটিয়েছে। মনে হয়েছিল অন্তত ড্র হবে। যদিও চায়ের পরই বিপর্যয়। ১৮৪ রানে হার ভারতের। সিরিজেও ১-২ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ল ভারত।
মেলবোর্নে যেমন একঝাঁক ভুল রয়েছে, তেমনই প্রাপ্তিও। বিশেষ করে প্রথম ইনিংসে কঠিন পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটন সুন্দর এবং নীতীশ কুমার রেড্ডির পার্টনারশিপ। খাদের কিনারা থেকে ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়েছিল এই জুটি। অনবদ্য সেঞ্চুরিতে নায়ক হয়ে উঠেছিলেন নীতীশ। ১০৫ রানে পিছিয়ে থেকেও দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৯১ রানের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার ৬ উইকেট ফেলে দিয়েছিল ভারত। কিন্তু তাতেও দ্রুত অলআউট করা যায়নি। বিশেষ করে শেষ উইকেটে জুটিটাই অস্বস্তির হয়ে দাঁড়ায়।
রান তাড়ায় ভারতের শুরুটাও ভালো হয়েছিল বলা যায়। যশস্বী এবং রোহিত শর্মা ধৈর্য ধরে ব্য়াটিং করছিলেন। মুহূর্তের ভুলে ছন্দপতন রোহিতের। লোকেশ রাহুলকেও সেই ওভারেই ফিরিয়ে ভারতের চাপ বাড়িয়েছিলেন প্যাট কামিন্স। যশস্বীর সঙ্গে জুটি বাঁধেন বিরাট কোহলি। অফস্টাম্পের বাইরের বল ছেড়ে দেন। মনে হয়েছিল, লম্বা ইনিংস খেলবেন। লাঞ্চ ব্রেকের ঠিক আগের ওভারেই মনোসংযোগে ব্যাঘাত বিরাটেরও। সেখান থেকেই ম্যাচটা যেন বেরিয়ে যায়।
মাঝের সেশনটা উইকেটহীন হলেও চায়ের পর পন্থের উইকেট টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়। দ্রুত তিন উইকেট হারায় ভারত। এরপর পুরো ওভার টিকে থাকা কঠিন ছিল। যশস্বীর ফেরাটা যেন শেষ ধাপ। ২-১ এর লিড নিয়েই সিডনিতে নিউ ইয়ার টেস্টে নামবে অস্ট্রেলিয়া।