IND vs BAN: জ্যাজ়বলে বিরাট বিনোদন, ১০৪ বলেই বাংলাদেশকে ক্লিনসুইপ ভারতের
India vs Bangladesh 2nd Test: ক্যাপ্টেনের উইকেটেও খেলার স্টাইল বদলায়নি। যশস্বী জয়সওয়াল শুরু করেন তাঁর জ্যাজ়বল। প্রয়োজনে সিঙ্গলও নেন। শুভমন গিলও প্রথম ইনিংসের মতোই বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন। ভারত ১০ ওভারের মধ্যেই জিতবে কিনা এই আলোচনা জোরদার হতে চলেছিল, সে সময়ই শুভমনের বিরুদ্ধে লেগ বিফোরের আবেদন।
বৃষ্টি এবং ভেজা মাঠ নিয়ে যে আক্ষেপ ছিল ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের, সব মিটে গেল দলের পারফরম্যান্সে। চেন্নাইতে ২৮০ রানের বিশাল জয়ে ১-০ এগিয়ে ছিল ভারত। কানপুর টেস্টে প্রথম ইনিংসে টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্য়াটিংয়ে লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার মেসেজ ছিল, ম্যাচ জেতার জন্যই খেলবেন রোহিতরা। সেটাই হল। জাডেজার অনবদ্য স্পেল, অশ্বিন-বুমরার সহযোগিতায় দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৬ রানেই শেষ বাংলাদেশ। ভারতের টার্গেট দাঁড়ায় ৯৫। তিন উইকেট হারিয়ে ১০৪ বলেই ম্যাচ ফিনিশ। ২-০ সিরিজ জয়। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ পয়েন্ট টেবলে শীর্ষস্থান আরও মজবুত।
ভারতের হাতে অন্তত ৬২ ওভার। টার্গেট ৯৫। কমবক্সে আলোচনা, কত ওভারে টার্গেটে পৌঁছবে ভারত। প্রথম ইনিংসে রোহিতকে ফিরিয়েছিলেন মেহেদি। তাঁকে দিয়েই বোলিং ওপেন করায় বাংলাদেশ। রোহিত দ্বিতীয় ডেলিভারিতেই যে ভাবে বড় শট খেলার চেষ্টা করেন, তাতে পরিষ্কার বার্তা ছিল। খেলার স্টাইল চেঞ্জ হবে না। উল্টোদিকে সাকিব আল হাসান। স্পিনের জাল বিছনোর চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। ক্রমশ টার্গেট কাছে আসতে থাকে। প্রথম দু-ওভারে ১৮ রান আসে। মেহেদি হাসানের দ্বিতীয় ওভারে সুইপ খেলেন রোহিত। বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডারের হাতে। দু-ইনিংসেই মেহেদির শিকার রোহিত।
ক্যাপ্টেনের উইকেটেও খেলার স্টাইল বদলায়নি। যশস্বী জয়সওয়াল শুরু করেন তাঁর জ্যাজ়বল। প্রয়োজনে সিঙ্গলও নেন। শুভমন গিলও প্রথম ইনিংসের মতোই বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন। ভারত ১০ ওভারের মধ্যেই জিতবে কিনা এই আলোচনা জোরদার হতে চলেছিল, সে সময়ই শুভমনের বিরুদ্ধে লেগ বিফোরের আবেদন। মেহদি হাসানের ডেলিভারি অফস্টাম্পের অনেকটা বাইরে পড়ে শার্প টার্ন নেয়। উইকেট খোয়ান শুভমন। বিরাট কোহলি যখন ক্রিজে আসেন, আর ৬১ রান চাই। সিঙ্গল নিয়ে খাতা খোলেন কোহলি। হাত খুলতে বেশি সময় নেননি।
এই খবরটিও পড়ুন
বোলিং পরিবর্তনে বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুলকে আক্রমণে আনেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। কেন পেসারদের আনা হচ্ছে না, তামিমের যুক্তি ছিল প্রথম ইনিংসে তাদের বিরুদ্ধে রোহিত-যশস্বী যা খেলেছিলেন, সেই থেকেই হয়তো। বল ঘুরলেও ম্যাচ ২০০ শতাংশ ভারতের হাতেই। যশস্বী দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন। বিরাট কোহলির ব্যাটে বিনোদন। চোখ ধাঁধানো কিছু বাউন্ডারিতে পয়সা উশুল। স্ট্রাইক পেতেই ছয় মেরে ৪৮-এ পৌঁছন যশস্বী। রবি শাস্ত্রী উত্তেজনায় হাফসেঞ্চুরি বলে ফেলেন।
ভারতের প্রয়োজন ছিল আর ৯ রান। যশস্বীর হাফসেঞ্চুরিতে ২ রান। স্ট্রাইকের অপেক্ষায় ছিলেন যশস্বী। বিরাট সিঙ্গল নিয়ে সেই সুযোগ করে দেন। তবে অতিরিক্ত তাড়াহুড়ো নয়, বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং। ৪৩ বলে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছন যশস্বী। দু-ইনিংসেই হাফসেঞ্চুরি তাঁর ব্যাটে। ভারতের ৪ রান প্রয়োজনে স্ট্রাইকে ছিলেন কোহলি। বাউন্ডারি মেরে শেষ করতে চেয়েছিলেন। সিঙ্গল নেন। পরের বলেই ম্যাচ শেষ করতে গিয়ে হাই ক্যাচে ফেরেন যশস্বী। ব্যাট ক্যারি করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন। বিরাট কোহলিও হাসতে থাকেন। ১৭.২ ওভারে ঋষভ পন্থ বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ ফিনিশ করেন। বিরাট অপরাজিত ২৯ রানে।