IND vs SA 3rd T20 Cricket Highlights: মার্কোর ‘ক্লাস’ ইনিংস, অক্ষরের লাফ; অর্শদীপের স্নায়ুতে জয় ভারতের
India vs South Africa 3rd T20I Cricket Match Result: ভারতের ভরসা ছিলেন অর্শদীপ। এ বছর টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। প্রথম বলেই সিঙ্গল নিয়ে জানসেনকে স্ট্রাইক দেন কোৎজে। শেষ পাঁচ বলে প্রোটিয়াদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৪ রান। ১৫ বলে ৪৮ রানে ক্রিজে থাকা মার্কোর জন্য কঠিন ছিল না। স্ট্রাইক পেতেই ছয় মেরে ১৬ বলে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে স্কাইয়ের সেই ক্যাচ। সেঞ্চুরিয়নে অক্ষর প্যাটেলের লাফ। পরিস্থিতি আলাদা। তুলনা করাও অনুচিত। তবে কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। দুটো ক্যাচ মিস করে ভারত অস্বস্তিতেই ছিল। তবে অক্ষরের ক্যাচটা যেন সব হতাশা দূর করে দিয়েছে। ১৬তম ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার বোলিংয়ে ডেভিড মিলার যেন ‘ছয় লেখা’ পুল করেছিলেন। কিন্তু অক্ষরের টাইমিং তাঁকে প্য়াভিলিয়নের রাস্তা দেখায়। শেষ ৪ ওভারে প্রোটিয়াদের টার্গেট দাঁড়ায় ৭৭। রুদ্ধশ্বাস, নাটকীয়, বিনোদন এবং স্নায়ুর চাপের খেলায় ১১ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় ভারতের।
হেনরিখ ক্লাসেন থাকলে ভারতের চাপ বাড়বে এমনটাই প্রত্যাশিত। বরুণ চক্রবর্তী শুরুতে উইকেট নিলেও তাঁর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অ্যাটাকিং ক্রিকেট খেলেন। বরুণের ওভারে ছয়ের হ্যাটট্রিকের পর অস্বস্তি বাড়ে ভারতীয় শিবিরে। সঞ্জু স্যামসন খেলাটাকে স্লো করার চেষ্টা করেন। সেই পরিকল্পনা কার্যত সফলও হয়েছিল। চতুর্থ ডেলিভারিতেই বরুণের বোলিংয়ে ক্যাচ ওঠে। যদিও জোরালো ড্রাইভ তালুবন্দী করতে পারেননি ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব। ক্লাসেন সে সময় ২৯ রানে ক্রিজে ছিলেন। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়াতে পারত।
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩৪ রান তুলে নেয়। হাতে ৬ উইকেট। ক্রিজে মিলার-ক্লাসেন জুটি। চাপ বাড়ছিল ভারতীয় শিবিরে। ডিফেন্সিভ ফিল্ডিং সাজিয়ে ডট বলের চেষ্টা করেন ভারতীয় বোলাররা। আস্কিং রেট বাড়লে পাল্টা চাপে পড়বে দক্ষিণ আফ্রিকাও। শেষ ৩০ বলে ৮৬ রান প্রয়োজন ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। পরিস্থিতি ভারতের পক্ষে থাকলেও এই জুটি ক্রিজে থাকায় প্রোটিয়া শিবিরেও সামান্য আশা ছিল। তবে ডিপ মিড উইকেটে অক্ষরের লাফ, সেই সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। আউট মিলার।
ক্লাসেনের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন মার্কো জানসেন। শুধু ক্যাচই নয়, বোলিং-ফিল্ডিংয়েও দুর্দান্ত পারফর্ম করেন অক্ষর। তিলকের সেঞ্চুরি যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে, তেমনই অক্ষরের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। বরুণ চক্রবর্তী ২ উইকেট নিলেও ইকোনমি অনেক অনেক বেশি। রবি বিষ্ণোই মরিয়া চেষ্টা করেন কিপটে বোলিংয়ের। তবে স্পেলের শেষ ওভারে ১৮ রান দেন। তবে শেষ অবধি ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয় অর্শদীপের ফাইনাল ওভার।
পরের ওভারে অর্শদীপের বোলিংয়ে আবারও বড় শটের চেষ্টা। কিন্তু মাঝ ব্যাটে লাগেনি। অফ স্টাম্পের অনেকটা বাইরে স্লোয়ার দিয়েছিলেন অর্শদীপ। দুর্দান্ত হাই ক্যাচ সেঞ্চুরিয়ন তিলক ভার্মার। হেনরিখ ক্লাসেন ২২ বলে ৪১ রানে ফেরেন। ১৮তম ওভারে অর্শদীপ ক্লাসেনের উইকেট সহ মাত্র ৮ রান দেন। শেষ দু-ওভারে ৫০ রান আটকাতে হত ভারতকে। ১৯ তম ওভারে মার্কো জানসেন অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করেন। হার্দিকের ওভারে ২৬ রান তোলেন মার্কো!
ভারতের ভরসা ছিলেন অর্শদীপ। এ বছর টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। প্রথম বলেই সিঙ্গল নিয়ে জানসেনকে স্ট্রাইক দেন কোৎজে। আম্পায়ার্স কলে লেগ বিফোর থেকে বাঁচেন কোৎজে। শেষ পাঁচ বলে প্রোটিয়াদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৪ রান। ১৫ বলে ৪৮ রানে ক্রিজে থাকা মার্কোর জন্য তা কঠিন ছিল না। স্ট্রাইক পেতেই ছয় মেরে ১৬ বলে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছন মার্কো। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর প্রথম হাফসেঞ্চুরি।
তৃতীয় ডেলিভারিতে ইয়র্কারে জানসেনকে পরাস্থ করেন অর্শদীপ। দুর্দান্ত রিভিউতে জানসেনকে ফেরান। তবে চতুর্থ বলে বাউন্ডারি হতেই ভারতের জয় কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়। কারণ, তখন ২ বলে ১৪ রান বাকি। ওয়াইড-নো না হলে আর কোনও অস্বস্তি ছিল না। অর্শদীপের স্নায়ুর চাপ জিতিয়ে দিল ভারতকে। সিরিজে ২-১ এগিয়ে জোহানেসবার্গে টিম ইন্ডিয়া।