শ্রীলঙ্কা সফরে শেষ টি-টোয়েন্টি এবং প্রথম ওডিআই। পরিস্থিতি ছিল অন্যরকম। নিজেদের পক্ষে ঘুরিয়েছিল টি-টোয়েন্টিতে। প্রথম ওডিআইতে হয়েছে উল্টো। প্রথমে টি-টোয়েন্টি ম্যাচটির প্রসঙ্গে আসা যাক। ভারত ২-০ এগিয়ে ছিল সিরিজে। লক্ষ্য ছিল ক্লিন সুইপ। কিন্তু ভারতের টপ অর্ডার ব্যর্থতায় বোর্ডে কম রান ওঠে। শ্রীলঙ্কা ব্যাটাররা যে ভাবে এগচ্ছিলেন তাঁদের জয় কার্যত সময়ের অপেক্ষা। সেখান থেকে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সুপার ওভারে ম্যাচ নিয়ে যায় ভারত। সুপার ওভারে সহজ জয়। শ্রীলঙ্কাকে ক্লিন সুইপই করে। এ বার আসা যাক প্রথম ওয়ান ডে-তে। ২৩১ রান তাড়ায় ভারত। হিটম্যান শো-তে প্রথম ১০ ওভারেই ৭১ রান। স্পিন সহায়ক পিচে ক্রমশ উল্টো চাপে পড়তে থাকে ভারত। তারপরও ম্যাচ হাতেই ছিল। শেষ ১৫ বলে ১ রান প্রয়োজন, হাতে তখনও ২ উইকেট। পরপর দুটি উইকেট নিয়ে ম্যাচ টাই করে শ্রীলঙ্কা। আজ দ্বিতীয় ওয়ান ডে। একই মাঠে খেলা।
একঝাঁক প্লেয়ার ছিটকে যাওয়ায় ব্যাকফুটে শ্রীলঙ্কা। বিশেষ করে তাদের বোলিং আক্রমণের কথা বলতে হয়। প্রথম সারির পাঁচ পেসার বাইরে। তিন স্পিনার নিয়ে দল সাজান ক্যাপ্টেন চরিত আসালঙ্কা। তিনি নিজে পার্টটাইম স্পিনার। পিচে স্পিনারদের সহযোগিতা রয়েছে। দুই পেসারকে দিয়ে মাত্র ১০ ওভার বোলিং করালেন। বাকি তিন স্পিনার করলেন ২৯ ওভার। ক্যাপ্টেন নিজে পার্টটাইম স্পিনার হয়েও বোলিং করলেন ৯.৫ ওভার। স্পেলের শেষ ওভারে পরপর শিবম দুবে, অর্শদীপ সিংকে ফিরিয়ে ভারতকে অলআউট করেন আসালঙ্কা। ম্যাচ টাই হয়।
প্রথম ম্যাচের পর ভারতীয় শিবিরে যে অস্বস্তি রয়েছে বলাই যায়। ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মাও ম্যাচ শেষে বলেছেন, এই রানটা করা উচিত ছিল। ১টা রানের আক্ষেপের কথাও জানাতে ভোলেননি। ভারত বোলিং কম্বিনেশন সাজিয়েছিল দুই পেসার, তিন স্পিনার এবং একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার শিবম দুবে। দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তে কম্বিনেশনে একটু পরিবর্তন হতে পারে। জিম্বাবোয়ে সফরেই প্রথম বার জাতীয় দলে ডাক পান রিয়ান পরাগ। আইপিএলের সুপারস্টার জিম্বাবোয়েতে সীমিত সুযোগ আহামরি কিছু করতে পারেননি। তবে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দুই ফরম্যাটেই রয়েছেন। টি-টোয়েন্টিতে ইমপ্যাক্টও ফেলেছেন।
দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তে শিবম দুবে কিংবা ওয়াশিংটন সুন্দরের পরিবর্তে রিয়ান পরাগ একাদশে এলে অবাক হওয়ার নেই। শিবমের ব্যাটিং ভালো। তবে এখানকার পিচে স্পিন বিকল্প বেশি জরুরি। সেই অঙ্ক থেকে শিবমের জায়গায় রিয়ানের সম্ভাবনাই বেশি। ওয়াশিংটন সুন্দরকে চারে পাঠানো হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত কাজে লাগেনি। বোলিংয়ে বাকি দুই স্পিনারের থেকে ওয়াশিংটনের ইকোনমি অনেকটাই বেশি ছিল। ফলে তাঁর পরিবর্তেও রিয়ানের আসাটা অবাস্তব নয়। গৌতম গম্ভীরের যে রিয়ান পরাগকে নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে, এই সফরে দুই ফরম্যাটে তাঁকে স্কোয়াডে রাখা থেকেই পরিষ্কার। হয়তো রিয়ানই গম্ভীরের তুরুপের তাস হয়ে উঠলেন!