এমার্জিং এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের ম্যাচ যাঁরা দেখেছেন, সিদ্দিকুল্লা অটল নামটা পরিচিত। কয়েক সপ্তাহ আগের ঘটনা। সেমিফাইনালে আফগানিস্তানের কাছেই হেরেছিল ভারত। পুরো টুর্নামেন্টেই বিধ্বংসী, ভয়ঙ্কর আরও যা যা বিশেষণ ব্যবহার করা যায়, সেই মেজাজে ব্যাট করেছেন আফগান ওপেনার। সিনিয়র দলের হয়ে আগেই টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছিল। কিছুদিন আগে ওয়ান ডে ক্রিকেটেও অভিষেক হয়েছে। কিন্তু এমার্জিং এশিয়া কাপে তাঁর ব্যাটিং! যে কোনও সেরা বোলারকেও চাপে রাখতে বাধ্য। আইপিএলের মেগা অকশনে নজর থাকবে আফগান তরুণ সিদ্দিকুল্লা অটলের দিকে।
আইপিএলে এ বার মেগা অকশন। সব মিলিয়ে ১৫৭৪ জন ক্রিকেটার রেজিস্টার করেছেন। যদিও সুযোগ পাবেন মাত্র ২০০ জনের মতো। এর মধ্যে একটা নাম সিদ্দিকুল্লা অটল হলে অবাক হওয়ার নেই। এই প্রথম এমার্জিং এশিয়া কাপ হয়েছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। টুর্নামেন্টে সর্বাধিক রান স্কোরার আফগান ওপেনার। পাঁচ ম্যাচে করেছেন ৩৬৮ রান! বাঁ হাতি এই ওপেনারের গড় ছিল ১২২.৬৬। বোলারদের মানসিকতা নিয়ে রীতিমতো ছিনিমিনি খেলেছেন বলা যায়।
গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তান এ দল প্রথম ম্যাচ খেলেছিল শ্রীলঙ্কা এ দলের বিরুদ্ধে। সিদ্দিকুল্লা অটল ২টি বাউন্ডারি এবং ৭টি ওভার বাউন্ডারিতে মাত্র ৪৬ বলে ৮৩ রান করেছিলেন। এরপর বাংলাদেশ এ দলের বিরুদ্ধে ৫৫ বলে অপরাজিত ৯৫ রান! ৯টি বাউন্ডারি এবং পাঁচটি ছয় মেরেছিলেন। হংকংয়ের কাছে আফগানিস্তানের অবাক হারেও জ্বলে উঠেছিল অটলের ব্যাট। ৪১ বলে ৫২ করেছিলেন।
ভারতের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে ৫২ বলে ৮৩ রান করেন। ৭টি বাউন্ডারি এবং ৪টি ওভার বাউন্ডারি। ভারতীয় টিমে অংশুল কম্বোজ, রশিক সালাম দার, রাহুল চাহারের মতো আইপিএলের অভিজ্ঞ বোলাররা ছিলেন। ফাইনালে তাঁর ৫৫ বলে ৫৫ রানের ইনিংস। এমার্জিং এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়নও হয় আফগানিস্তান এ দল। সব ম্যাচেই হাফসেঞ্চুরি পেরনো অটলকে নিয়ে আইপিএলের দলগুলি যে আগ্রহ দেখাবে প্রত্যাশা করাই যায়। তাঁর বেস প্রাইস মাত্র ৭৫ লক্ষ টাকা।