কলকাতা: কাউন্টডাউন শুরু। রাত পোহালেই আইপিএল প্রেমীদের জন্য একটা বিশেষ দিন। গত কয়েক মাস ধরে একাধিক বার জানা গিয়েছেন রিটেনশন পলিসি নিয়ে নানা সূত্রের খবর। তারপর বোর্ড কয়েকদিন আগে ঘোষণা করে আইপিএলের মেগা নিলামের আগে ঠিক কেমন থাকছে রিটেনশন পলিসি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ১৮তম সংস্করণ হবে আগামী বছর। তার আগে এ বছরের শেষে রয়েছে বড় নিলাম। সেই নিলামে একাধিক দেশ-বিদেশের ক্রিকেটারদের ভাগ্য পরীক্ষা হবে। কিন্তু আগামী আইপিএলে খেলতে চলা কয়েকজন ক্রিকেটারের টিম ঠিক কী হবে, তা আগামিকালই জানা যাবে। কারণ, ৩১ অক্টোবর আইপিএল রিটেনশন (IPL Retention) তালিকা ১০ টিম বোর্ডকে জমা দেবে। তার আগে জেনে নিন আইপিএল রিটেনশন নিয়ে মনে তৈরি হওয়া কিছু প্রশ্নের উত্তর।
কবে এবং কখন আইপিএলের ১০ দলকে রিটেনশন তালিকা বোর্ডকে জমা দিতে হবে?
৩১ অক্টোবর বিকেল ৫টে অবধি আইপিএলের ১০ দলকে রিটেনশন লিস্ট জমা দেওয়ার ডেডলাইন দিয়েছে বোর্ড।
আইপিএল দলগুলো কতজন ক্রিকেটারকে রিটেন করতে পারবে?
১০ আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের বর্তমান স্কোয়াড থেকে ৬ জন ক্রিকেটারকে টিমে ধরে রাখতে পারবে। তার মধ্যে ৫জন ক্যাপড প্লেয়ার (ভারত ও বিদেশি ক্রিকেটার মিলিয়ে)।
রাইট টু ম্যাচ কার্ড কি ব্যবহার করতে পারবে আইপিএল দলগুলো?
প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের বর্তমান স্কোয়াড থেকে মোট ৬ জন ক্রিকেটারকে রিটেন রাখতে পারবে। রাইট টু ম্যাচ কার্ড ব্যবহার করে যাবে রিটেনশনের ক্ষেত্রে।
প্লেয়ার রিটেনশনের ক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হবে পার্স থেকে?
যদি আইপিএলের কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি ৫জন প্লেয়ারকে রিটেন করে, তা হলে প্রথম তিন জনের জন্য যথাক্রমে ১৮ কোটি, ১৪ কোটি এবং ১১ কোটি পার্স থেকে খরচ হবে। এরপর বাকি দু’জনের জন্য ১৮ এবং ১৪ কোটি খরচ হবে। কোনও দল আনক্যাপড প্লেয়ার রিটেন করলে খরচ হবে ৪ কোটি টাকা।
আইপিএলের কোনও টিম যদি ৫ জন প্লেয়ারকে রিটেন করে, তা হলে ১২০ কোটির পার্স থেকে ৭৫ কোটি টাকা খরচ হয়ে যাবে।
এই ৭৫ কোটি টাকা কি ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজি ইচ্ছে অনুযায়ী ভাগ করতে পারবে?
আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ১০ টিমকে জানিয়ে দিয়েছে যে তারা ৭৫ কোটি টাকা রিটেনশন পুলে যেভাবে ৫ ক্যাপড প্লেয়ারের জন্য উপযুক্ত মনে করবে, সেই মতো ভাগ করতে পারে। যদি ৭৫ কোটির বেশি টাকা কোনও দল ৫ ক্রিকেটার রিটেন করতে গিয়ে খরচ করে, তা হলে সেই টাকাটা কাটা যাবে ১২০ কোটির পার্স থেকে।
আনক্যাপড প্লেয়ার হিসেবে কাদের দেখা হবে?
কোনও ভারতীয় প্লেয়ার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে ৫ বছর কিংবা তার বেশি আগে বিদায় জানিয়েছেন, কিংবা কোনও প্লেয়ার যদি স্কোয়াডে থেকেও পাঁচ বছর (যে কোনও ফর্ম্যাটেই) একাদশে সুযোগ না পেয়ে থাকেন অথবা সেই প্লেয়ার বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকেন তা হলে তিনি আনক্যাপড প্লেয়ার হিসেবে গণ্য হতে পারেন। এই নিয়ম শুধুমাত্র ভারতীয় প্লেয়ারদের জন্যই।
কোনও ক্রিকেটার রিটেন থাকতে না চাইলে তা প্রকাশ করতে পারেন?
হ্যাঁ, সেই সুযোগ থাকবে সকল ক্রিকেটারদের কাছে। যদি কোনও ক্রিকেটারের ইচ্ছে না থাকে নিজের পুরনো দলে থাকার, তা হলে তিনি আসন্ন মেগা নিলামে উঠতে পারেন।