NADA Testing: নাডার নজরে স্কাই-বুমরা-পন্থসহ ১৪জন তারকা ক্রিকেটার, দিতে হবে পরীক্ষা

Jan 22, 2025 | 2:19 PM

Team India: বছর ছয়েক আগে ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি প্রথম ক্রিকেটারদের জন্য আরটিপি তৈরি করেছিল। আরটিপি অর্থাৎ রেজিস্টার্ড টেস্টিং পুল। এই তালিকায় এ বছর একঝাঁক ভারতীয় ক্রিকেটারদের নাম যোগ করল নাডা।

NADA Testing: নাডার নজরে স্কাই-বুমরা-পন্থসহ ১৪জন তারকা ক্রিকেটার, দিতে হবে পরীক্ষা
নাডার নজরে স্কাই-বুমরা-পন্থসহ ১৪জন তারকা ক্রিকেটার, দিতে হবে পরীক্ষা
Image Credit source: PTI

Follow Us

কলকাতা: বছর ছয়েক আগে ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি প্রথম ক্রিকেটারদের জন্য আরটিপি তৈরি করেছিল। আরটিপি অর্থাৎ রেজিস্টার্ড টেস্টিং পুল। এই তালিকায় এ বছর একঝাঁক ভারতীয় ক্রিকেটারদের নাম যোগ করল নাডা। এই টেস্টিং পুলে টিম ইন্ডিয়ার পুরুষ ক্রিকেটারদের পাশাপাশি মহিলা ক্রিকেটাররাও রয়েছেন। নাডার আরটিপির তালিকায় বোর্ডের কেন্দ্রীয় বার্ষিক চুক্তিতে থাকা ভারতীয় তারকা ক্রিকেটার রয়েছেন। নিম্নে রইল সেই তালিকা।

ভারতের টি-২০ টিমের ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব, টেস্ট টিমের সহ-অধিনায়ক জসপ্রীত বুমরা, ওডিআই টিমের সহ-অধিনায়ক শুভমন গিল এবং ভারতীয় টিমের উইকেটকিপার-ব্যাটার ঋষভ পন্থ রয়েছেন নাডার আরটিপির তালিকায়। এ ছাড়াও হার্দিক পান্ডিয়া, শ্রেয়স আইয়ার, লোকেশ রাহুল, যশস্বী জয়সওয়াল, অর্শদীপ সিং, সঞ্জু স্যামসন, তিলক ভার্মাও রয়েছেন এই তালিকায়। এ ছাড়া এই তালিকায় থাকা তিন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটার হলেন – ভারতীয় ওপেনার শেফালি ভার্মা, অলরাউন্ডার দীপ্তি শর্মা ও মিডিয়াম পেসার রেনুকা সিং ঠাকুর। অর্থাৎ মোট ১৪ জন ভারতীয় ক্রিকেটার আপাতত নতুন করে নাডার নজরে।

সূত্রের খবর, ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ চলাকালীন নাডার আরটিপির এই তালিকায় থাকা কিছু ক্রিকেটারের মূত্রের নমুনা সংগ্রহ করবে। যেখানে এই সিরিজের ম্যাচ হবে, সেই জায়গায় যাবেন নাডার ডোপ কন্ট্রোল অফিসাররা। সেই মতোই বিসিসিআইকে জানানো হয়েছে।

এই খবরটিও পড়ুন

২০১৯ সালে নাডা যখন প্রথম বার ক্রিকেটারদের জন্য আরটিপি তৈরি করেছিল, তখন চেতেশ্বর পূজারা, রবীন্দ্র জাডেজা, লোকেশ রাহুল, স্মৃতি মান্ধানা, দীপ্তি শর্মাদের নাম ছিল। ক্রিকেটারদের মূত্রের নমুনা সংগ্রহ করার জন্য কোন ক্রিকেটার কখন কোথায় থাকবেন তা জানাতে হয় নাডাকে। সেইমতো সেই স্থানে হাজির হন ডোপ কন্ট্রোল অফিসাররা। যদিও ২০২০ সালে পূজারা, জাডেজা, রাহুল, স্মৃতি ও দীপ্তিরা তথ্য দেননি নাডাকে। ওই তথ্য দিতে না পারার জন্য সেই সময় পাসওয়ার্ডজনিত সমস্যা, করোনাকালে লকডাউনের কথা সামনে এসেছিল। যে কারণে ক্রিকেটারদের কোনও রকম শাস্তির মুখে পড়তে হয়নি। তখন তাঁদের সতর্ক করা হয়েছিল।

সব সময় কোনও সিরিজের মাঝে নয়, টুর্নামেন্ট যখন চলে না, তখনও নমুনা নেওয়া হয়। তখন হোয়ারঅ্যাবাউটসের ক্ষেত্রে জানাতে হয় ঠিকানা, ইমেইল আইডি, ফোন নম্বর, রাতের বেলা অন্যত্র থাকলে সেই ঠিকানা, দৈনন্দিন সূচি কী যেমন- লেখা থাকে ট্রেনিং বা কাজ সম্পর্কিত তথ্য, ঠিকানা এবং আসন্ন টুর্নামেন্টের সূচি। একইসঙ্গে প্রতিদিন কোন এক ঘণ্টা সেই ক্রিকেটার ফাঁকা থাকবেন, যাতে টেস্টিং মিস না হয় সেই তথ্যও দিতে হয়।

উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী, যদি আরটিপিতে থাকা কোনও ক্রীড়াবিদ ১২ মাসের মধ্যে তিনবার হোয়ারঅ্যাবাউটস দিতে ব্যর্থ হন, তা হলে সেটি ডোপবিরোধী নিয়ম লঙ্ঘন হিসেবে ধরা হয়। সূত্রের খবর, ক্রিকেটারদের নাম যুক্ত হওয়ার পর আপাতত সব ধরনের ক্রীড়াক্ষেত্র মিলিয়ে আরটিপিতে রয়েছেন মোট ২২৭ জন ক্রীড়াবিদ।

 

Next Article