MS Dhoni: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের যে ট্র্যাডিশন বজায় রেখেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি…
Sourav Ganguly-MS Dhoni: যদি প্রশ্ন করা হয় ওয়ান ডে ক্রিকেটে ভারতের সর্বকালের সেরা ওপেনার কে? অনেক নামই উঠে আসবে। সাদা বলের ক্রিকেটে উঠে আসবে সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামও। আর একটা নাম ভোলা যাবে না কোনওমতেই। সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁর মতো ওপেনার সারা বিশ্বেই কম এসেছে। এমনকি টেস্ট ক্রিকেটও ওপেনার হিসেবে খেলতেন সীমিত ওভারের মতোই। সৌরভের সেই উক্তি এ ক্ষেত্রে বলাই যায়।

নয়াদিল্লি: ট্রফির দিক থেকে ভারতের সফলতম ক্যাপ্টেন নিঃসন্দেহে মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে ভারতীয় ক্রিকেটে সর্বকালের সেরা অধিনায়কের প্রশ্ন উঠলে একজনকে বেছে নেওয়া কঠিন। ধোনির পাশাপাশি আরও একটি নাম নিঃসন্দেহে থাকবে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্ধকার সময়ে নেতৃত্ব নিয়ে ব্যাপক জটিলতা তৈরি হয়। অনেকেই জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব নিতে চাননি। ভারতীয় ক্রিকেটকে ট্র্যাকে ফেরানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই চ্যালেঞ্জ পূরণও করেছিলেন। সৌরভের হাত ধরে উঠে এসেছিল একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার। অনেকেরই কেরিয়ার বদলে গিয়েছিল। ধোনির সৌজন্যেও এমন হয়েছে। তবে দুই অধিনায়কের সেরা দুই সিদ্ধান্তে মিল রয়েছে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
যদি প্রশ্ন করা হয় ভারতের সেরা ওপেনার কে? অনেক নামই উঠে আসবে। সাদা বলের ক্রিকেটে উঠে আসবে সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামও। আর একটা নাম ভোলা যাবে না কোনওমতেই। সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁর মতো ওপেনার সারা বিশ্বেই কম এসেছে। এমনকি টেস্ট ক্রিকেটও খেলতেন সীমিত ওভারের মতোই। সৌরভের সেই উক্তি এ ক্ষেত্রে বলাই যায়। টেস্ট ক্রিকেটে ওপেনিং প্রসঙ্গে সৌরভ বলে থাকেন, ‘সকলে বল ছেড়ে পুরনো করে, ও শট খেলে বলের পালিশ তুলতো।’ নামটা আন্দাজ করতে নিশ্চয়ই সমস্যা হচ্ছে না! বীরেন্দ্র সেওয়াগ।
সাদা বলের ক্রিকেটে বিশ্বের অন্যতম সেরা ওপেনার রোহিত শর্মাই। বছরের পর বছর সেটা প্রমাণ করেছেন হিটম্যান। ওয়ান ডে ফরম্যাটে ইনিংসে সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ড তাঁর দখলেই। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২৬৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন রোহিত। এই রেকর্ড আদৌ ভাঙা সম্ভব কীনা, যথেষ্ঠ সন্দেহ রয়েছে। ওয়ান ডে ক্রিকেটে তিনটে ডাবল সেঞ্চুরি রোহিতের। তিনি যদি ওপেনার না হতেন? এই রেকর্ড গড়া সম্ভব হত! রোহিতের ওপেনার হওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা মহেন্দ্র সিং ধোনির। ঠিক যেমন বীরেন্দ্র সেওয়াগকে ওপেনার বানিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের শুরুর দিকে মিডল অর্ডারেই ব্যাট করতেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ। তৎকালীন ক্যাপ্টেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ই তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন ওপেন করার জন্য। সেওয়াগ অবশ্য শুরুতে সেই সিদ্ধান্তে রাজী ছিলেন না। ক্যাপ্টেন সৌরভ বুঝিয়েছিলেন, ওপেনার হিসেবে সাফল্য না পেলে ফের তাঁকে মিডল অর্ডারেই খেলানো হবে। যদিও তার আর প্রয়োজন পড়েনি। ওপেনার হিসেবেই সফল হয়ে উঠেছেন সেওয়াগ। তাঁকে ক্রিকেট বিশ্ব চেনে বিধ্বংসী ওপেনার হিসেবেই। সৌরভের সেই ট্র্যাডিশনই যেন বজায় রেখেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।
কেরিয়ারের শুরুতে মিডল অর্ডারে ব্যাট করতেন রোহিত। দলে তখনও সৌরভ, সচিন, বীরেন্দ্র সেওয়াগের মতো ওপেনার। নিয়মিত সুযোগ মিলত না। পরবর্তীতে ধোনির সিদ্ধান্তই কেরিয়ার বদলে দিয়েছিল রোহিতের। একঝাঁক তারকা ক্রিকেটারের অবসরের পর রোহিত শর্মাকে ওপেনিংয়ের পরামর্শ দিয়েছিলেন ধোনিই। ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন রোহিত। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। ক্রমশ তিন ফরম্যাটেই ভারতীয় দলের নিয়মিত ওপেনার রোহিতই। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপেও দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন রোহিত। আর কেরিয়ারের মোড় ঘোরানো সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ধোনিই।





