টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। গত প্রায় এক বছরে এই নিয়ে আইসিসির তিনটি প্রতিযোগিতায় ফাইনাল খেলল ভারতীয় ক্রিকেট দল। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠলেও ট্রফির সঙ্গে দূরত্ব মেটেনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবশ্য কাপ-মুক্তি। ১৭ বছর পর দ্বিতীয় বার টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত। টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ান ডে, এখন দুটি করে ট্রফি ভারতের ক্যাবিনেটে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরই রোহিতের টিমের জন্য ১২৫ কোটি টাকার আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সচিব জয় শাহ নিজেই এই ঘোষণা করেছেন। দেশের প্রথম বিশ্বজয়ী টিমের সদস্যরা অবশ্য অভিমানী। এখন তো বোর্ডের টাকা আছে, তা হলে কীসে আটকাচ্ছে!
ভারতীয় ক্রিকেটে রূপকথা তৈরি হয়েছিল ১৯৮৩ সালে। ১৯৭৫ সালে শুরু হয় পুরুষদের ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। পরপর দু-বার চ্যাম্পিয়ন হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টুর্নামেন্টে আন্ডারডগ হিসেবেই নেমেছিল ভারত। অতি বড় সমর্থকও আশা করেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো টিমকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হবে ভারত। চ্যাম্পিয়ন দূর অস্ত, ভারত কটা ম্যাচ জিতবে সেটাই সন্দেহ ছিল। কিন্তু কপিল দেবের নেতৃত্বে অবিশ্বাস্য পারফর্ম করে জোড়া বিশ্বকাপজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সে সময় বোর্ডের কাছে আর্থিক ক্ষমতা ছিল না। ফলে চ্যাম্পিয়ন টিমকে সেই অর্থে কিছুই দিয়ে উঠতে পারেনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর ভারতীয় দলের জন্য ১২৫ কোটি টাকার আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করতেই ৮৩-র বিশ্বজয়ীদের অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, এখন তো বোর্ডের টাকা রয়েছে। তা হলে কীসে আটকাচ্ছে। যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। সংবাদসংস্থা IANS-কে ১৯৮৩-র বিশ্বজয়ী এক সদস্য বলেছেন, ‘১২৫ কোটি টাকা! এটা অনেক বড় অঙ্ক। টিম ইন্ডিয়ার জন্য খুবই ভালো লাগছে। তবে আমাদের সময় কিন্তু আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়নি। সে সময় বোর্ড বলেছিল, ওদের কাছে টাকা নেই। আমাদের টিমের কয়েকজন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দায়িত্ব পেয়েছে। বাকি অনেকেই আর্থিক কষ্টে ভুগছেন। বোর্ডের উচিত বিষয়টা দেখা।’
বর্তমান বোর্ড সভাপতি রজার বিনি নিজেও ১৯৮৩ বিশ্বজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সেই টিমের অনেকেই ধারাভাষ্যকার হিসেবে উপার্জন করেন। বর্তমান টিমের জন্য আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা হতে কিছুটা যেমন অভিমানী ৮৩-র বিশ্বজয়ী দলের সদস্য!