ক্রিকেটারদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই কেন্দ্রীয় চুক্তির বিষয়টি এনেছিল বোর্ড। কোন ক্রিকেটাররা কোন ফরম্যাটে খেলছেন। অনেকেই শুধুমাত্র টি-টোয়েন্টি কিংবা টেস্ট খেলে থাকেন। আবার তিন ফরম্যাটে খেলা ক্রিকেটাররাও রয়েছেন। উঠতি ক্রিকেটারদেরও চুক্তির আওতায় আনে বোর্ড। কেন্দ্রীয় বার্ষিক চুক্তিতে বিভিন্ন ক্যাটেগরি রয়েছে। সেই অনুযায়ী টাকার পরিমাণও। অর্থাৎ চুক্তিতে থাকা কোনও ক্রিকেটার, খেলার সুযোগ পাক না পাক, পারফরম্যান্স যেমনই হোক, সেই টাকা নিশ্চিত। এরপর খেলার সুযোগ পেলে ম্যাচ ফি, ইনসেনটিভ এসব রয়েইছে। কিন্তু ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া সফরের পারফরম্যান্সের পর বোর্ডের নতুন ভাবনা।
অস্ট্রেলিয়ায় বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির বিপর্যয় নিয়ে রিভিউ মিটিং হয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, মিটিংয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। ভ্যারিয়েবল পে। কর্পোরেট মডেল। বার্ষিক চুক্তির পাশাপাশি ইনসেনটিভ চালু করেছিল বোর্ড। তাতেও এ বার রদবদল হতে পারে। আরও সহজ করে বললে, ভালো পারফরম্যান্স করলে বেশি টাকা। আর খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য টাকা কেটে নেওয়া হতে পারে।
টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি অনেকের অনীহা দেখে গত বছর ইনসেনটিভের নিয়ম এনেছিল বোর্ড। অনেক ক্রিকেটারই ঘরোয়া ক্রিকেট কিংবা জাতীয় দলের হয়ে লাল-বলের ক্রিকেটে আগ্রহ দেখান না। শুধুমাত্র আইপিএল এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেই আকর্ষিত হন। এই রীতি ভাঙতে ইনসেনটিভের ব্যবস্থা করেছিল বোর্ড। মরসুমে যতগুলি টেস্ট খেলছে ভারতীয় দল, কোনও প্লেয়ার যদি তার ৫০ শতাংশের বেশি ম্যাচ খেলেন, ম্যাচ প্রতি তাঁকে ৩০ লক্ষ টাকা ইনসেনটিভ হিসেবে দেওয়া হবে। কোনও প্লেয়ার যদি ৭৫ শতাংশের বেশি ম্যাচে একাদশে থাকেন, তাঁর ক্ষেত্রে ম্যাচ প্রতি ইনসেনটিভ হয়ে যাবে ৪৫ লক্ষ টাকা!
এই নিয়মেই বদলের ভাবনা। অনেক প্লেয়ারই ৫০ শতাংশ কিংবা ৭৫ শতাংশর বেশি ম্যাচ খেলে থাকেন। কিন্তু পারফরম্যান্স নেই। অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের দুই সুপারস্টার ব্যাটার রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিও ব্যর্থ। বিরাট তবু প্রথম টেস্টে একটি সেঞ্চুরি করেছিলেন। রোহিতের পরিস্থিতি খুবই সঙ্গীন। বোর্ডের ভ্যারিয়েবল পে-নিয়ম চালু হলে, কে কত শতাংশ ম্যাচ খেলছে এটা যেমন জরুরি তেমনই পারফরম্যান্স। প্লেয়ারদের মধ্যে দায়বদ্ধতা বাড়াতেই এমন ভাবনা বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সবটাই এখনও ভাবনার পর্যায়ে।