Team India: শামি-অর্শদীপদের জন্য বিমানের আরামের আসন ছেড়ে দিলেন রোহিত-বিরাটরা

চলতি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের পেসারদের পারফরম্যান্স অনবদ্য। তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিলমিশে বিপক্ষের ত্রাস ভুবি-অর্শদীপরা।

Team India: শামি-অর্শদীপদের জন্য বিমানের আরামের আসন ছেড়ে দিলেন রোহিত-বিরাটরা
Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 08, 2022 | 3:00 PM

অ্যাডিলেড: পায়ের পেশিতে ক্র্যাম্প ধরা এবং পিঠ শক্ত হয়ে যাওয়া। যে কোনও প্রতিযোগিতার আগে অ্যাথলিটদের বড় শত্রু এই দুটি বিষয়। টি-২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2022) সেমিফাইনালের কঠিন লড়াইয়ের আগে এই দুই ‘শত্রু’ থেকে দলের পেসারদের দূরে রাখতে চাইছে ভারতীয় দল। ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা, কোচ রাহুল দ্রাবিড় বা দুরন্ত ফর্মে থাকা তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলিও (Virat Kohli) মহম্মদ সামি- অর্শদীপ সিংদের ফিটনেস নিয়ে সতর্ক থাকছেন। পেস বোলাররা যাতে যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্রাম পায় তা সুনিশ্চিত করতে বিমানে নিজেদের আরামের আসন ছেড়ে দিতে পিছপা হচ্ছেন না বিরাট-রোহিতরা। কখনও মেলবোর্ন, কখনও সিডনি আবার কখনও বা পারথ। বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচের জন্য আলাদা আলাদা শহরে পাড়ি দিতে হচ্ছে ভারতীয় দলকে (Team India)। এই যাত্রাপথে ভুবনেশ্বর কুমার, অর্শদীপ সিং, মহম্মদ সামি, হার্দিক পান্ডিয়ারা যাতে যথেষ্ট বিশ্রাম পান এবং আরাম করে পা ছড়িয়ে বসতে পারেন সেজন্য নিজেদের বিজনেস ক্লাসের আসন ছেড়ে দিয়েছেন দ্রাবিড়, রোহিত এবং কোহলি। সবিস্তারে পড়ে নিন TV9 Banglaর এই প্রতিবেদনে।

রবিবার জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সুপার টুয়েলভের শেষ ম্যাচ ছিল ভারতের। সেমিফাইনালে আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। নিয়মরক্ষার ম্যাচ ৭১ রানে জিতে অ্যাডিলেডের বিমান ধরে ভারতীয় দল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল ম্যাচ রয়েছে বৃহস্পতিবার। তার আগে মঙ্গলবার অ্যাডিলেড পৌঁছে যায় ভারতীয় দল। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি টিমের জন্য বিমানে চারটি বিজনেস ক্লাসের টিকিট বরাদ্দ। এক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পান কোচ, ক্যাপ্টেন, ভাইস ক্যাপ্টেন এবং ম্যানেজার। টিম ম্যানেজমেন্ট যখন জানতে পারে, প্রতিটি তিন অথবা চারদিনে অন্য শহরে পাড়ি দিতে হবে তখনই ঠিক হয় ওই সিটগুলি পেসারদের দিয়ে দেওয়া হবে।

যতদিনে টুর্নামেন্ট শেষ হবে ভারতীয় দলের ৩৪ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া হয়ে যাবে। এমনকী প্রতিটি জায়গার টাইম জোন আলাদা, কোথাও আবহাওয়া উষ্ণ, কোথাও আবার ঝোড়ো, ঠান্ডা পরিবেশ। ক্রমাগত আবহাওয়ার পরিবর্তনে পেসারদের চোট পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বিশ্বকাপ শেষ হতে বেশি দেরি নেই। তার মধ্যে চোট আঘাত যতটা সম্ভব এড়িয়ে থাকা যায় তারই প্রবল চেষ্টা।