Richa Ghosh: বিশ্বকাপ জয়ের লক্ষ্যে স্থির শিলিগুড়ির রিচা
দু বছর আগে দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছেন। এ বার একদিনের বিশ্বকাপ দলেও বাংলার উইকেটকিপার ব্যাটার। ১৮ বছরের রিচা বিশ্বকাপ (ICC Women's World Cup) খেলতে যাওয়ার আগে ফিটনেসে বাড়তি জোর দিচ্ছেন।
কলকাতা: শিলিগুড়ি টু ওয়েলিংটন। বাংলার উইকেটকিপার রিচা ঘোষের (Richa Ghosh) ডেস্টিনেশন এখন এটাই। দু বছর আগে দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছেন। এ বার একদিনের বিশ্বকাপ দলেও বাংলার উইকেটকিপার ব্যাটার। ১৮ বছরের রিচা বিশ্বকাপ (ICC Women’s World Cup) খেলতে যাওয়ার আগে ফিটনেসে বাড়তি জোর দিচ্ছেন। এই রিচা মনে করাচ্ছেন ঋদ্ধিমান সাহাকে। ঋদ্ধি আর রিচা ঘোষের মধ্যে দু’খানা মিল রয়েছে। দু’জনের উঠে আসাই শিলিগুড়ি থেকে। আর দু’জনই উইকেটকিপার-ব্যাটার। ঋদ্ধি একসময় টিম ইন্ডিয়ার অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছিলেন। এ বার ভারতীয় ক্রিকেটে ছাপ তৈরি করার পালা রিচার। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও অনুশীলনে খামতি নেই শিলিগুড়ির উইকেটকিপারের।
নিউজিল্যান্ডে অতিরিক্ত হাওয়া বওয়ায় সুইং অবশ্যই একটা ফ্যাক্টর হবে। যদিও সেই সুইং সামলাতে তৈরি বাংলার উইকেটকিপার। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেটকিপিংয়েও বাড়তি মনোযোগ দিচ্ছেন তিনি। টেকনিকে আরও নিখুঁত হওয়াই লক্ষ্য রিচার। বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে দেশের হয়ে কাপ জেতার স্বপ্ন তাঁর চোখেমুখে। রিচা বলছেন, “নিউজিল্যান্ডে অবশ্যই হাওয়া বেশি হয়। কিন্তু সুইং ফ্যাক্টর হতে চলছে, তা আমি মানতে নারাজ। আমাদের এখানে যেমন লাল বলে সুইং বেশি হয়। সাদা বলে ওখানে সুইং হয়। তবে আমার মনে হয় ওখানে খেলতে অসুবিধা হবে না।” ইদানিং রিচা ২০ ওভারের ফর্ম্যাটে বেশি খেলেছেন। তবে ৫০ ওভারের ফর্ম্যাটে খেলার সঙ্গেও মানিয়ে নেবেন তিনি। আশাবাদী রিচা বলছেন, “ফর্ম্যাট আলাদা হলেও আমার মনে হয় না সমস্যা হবে। আমি আমার সহজাত খেলাটাই খেলে যাব।”
অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশ লিগে (Big Bash League) এ বার তিনি হোবার্ট হ্যারিকেনসের হয়ে খেলেছেন। সেখানে খেলায় বিশ্বকাপে কিছুটা হলেও সুবিধে হবে। সেখানকার অভিজ্ঞতাটা বিশ্বকাপের আসরে তিনি কাজে লাগাবেন। এমনটাই বলছেন শিলিগুড়ির রিচা। তাঁর কথায়, “বিগ ব্যাশ লিগে যেহেতু খেলেছি তাই ওখানে খেলা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের মেজাজ সম্পর্কে জানি। সবাই কেমনভাবে পরিকল্পনা করে সেটা কাছ থেকে দেখেছি। অনেকের খেলার ধরণ সম্পর্কে জানি। তাই আমার মনে হয়, বিগ ব্যাশ লিগে খেলার অভিজ্ঞতাটা আমার এখানে কাজে লাগবে।”
মিতালি রাজ, ঝুলন গোস্বামীদের মতো সিনিয়ররা দলে থাকায় প্লাস পয়েন্ট তা স্বীকার করলেন। লক্ষ্য স্থির রেখে নিজের পারফরম্যান্সেই নজর রিচার। মেয়েদের বিশ্বকাপে ভারত কখনও চ্যাম্পিয়ন হয়নি। গতবার রানার্স হয়েই থামতে হয়েছিল মিতালিদের। এ বার দেশকে প্রথম বিশ্বকাপ এনে দেওয়াই লক্ষ্য শিলিগুড়ির রিচার।
করোনার কারণে বাড়িতেই অনুশীলন সারছেন রিচা। বিশ্বকাপের আগে নিজের টেকনিক নিয়ে কাজ করছেন রিচা। প্রয়োজনে মিতালি-হরমনপ্রীত-ঝুলনদের সঙ্গে নিজের টেকনিক নিয়ে আলোচনাও করেন তিনি। তিনি বলছেন, “ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি কিপিং অনুশীলনেও জোর দিচ্ছি আমি। নিউজিল্যান্ডে যেহেতু হাওয়া বেশি হয়, তাই কিপারদের কাছেও চ্যালেঞ্জিং বিষয়টা। বড় রান পাওয়ার জন্য টেকনিকে বিশেষ জোর দিচ্ছি।”