কলকাতা: পাঁচ দিন অবধি কি গড়াবে পুনে টেস্ট? উত্তর দেওয়া কঠিন। এই পিচে ৩৫৯ রানের টার্গেট সহজে তাড়া করতে পারবে ভারত? এর উত্তর কঠিন নয়। বলতে হয়, এই পিচে সাড়ে তিনশোর বেশি রান তাড়া করা সত্যিই কঠিন। শুক্র-সকালে প্রথম সেশনের এক ঘণ্টার মধ্যে নিউজিল্যান্ডকে অল আউট করেন জাডেজা-অশ্বিনরা। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনেই রান তাড়া করতে নেমে পড়ে টিম ইন্ডিয়া। ৫ ওভারের মধ্যে ৬ রান রেটে ৩০ রান তোলে ভারতের ওপেনিং জুটি। ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে যশস্বী জয়সওয়াল-রোহিত শর্মার জুটি ভেঙে দেন মিচেল স্যান্টনার। তারপর যশস্বীর (Yashasvi Jaiswal) সঙ্গে জুটি বাঁধেন শুভমন গিল (Shubman Gill)। ১ উইকেটে ৮১ রান তুলে লাঞ্চ বিরতিতে গেল টিম ইন্ডিয়া।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬ বলে ৮ রান করে মাঠ ছেড়েছেন রোহিত শর্মা। স্টেপ আউট করে মারতে চেয়েছিলেন রোহিত। শর্ট লেগে উইল ইয়ং ক্যাচ নিতে কোনও ভুল করেননি। মিচেল স্যান্টনার লাঞ্চের কিছুক্ষণ আগে রোহিত শর্মার উইকেট তুলে নেন। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে গিল ও যশস্বী দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ৩৬ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত থেকে লাঞ্চ বিরতিতে গিয়েছেন যশস্বী আর ২২ রানে অপরাজিত রয়েছেন শুভমন।
ডান হাতি শুভমন ও বাঁ হাতি যশস্বী কিউয়ি বোলারদের লাঞ্চের আগে ভালোই চাপে ফেলেছেন বলা যায়। যশস্বী কখনও গ্লেন ফিলিপসকে লম্বা ছক্কা হাঁকিয়েছেন। কখনও আবার মিচেল স্যান্টনারের বল বাউন্ডারিতে পাঠিয়েছেন শুভমন। এখনও ২৭৮ রানে পিছিয়ে রয়েছে টিম ইন্ডিয়া।
পুনে টেস্টের তৃতীয় দিন শুভমন-যশস্বী মনে করিয়ে দিচ্ছেন গৌতম গম্ভীর-বীরেন্দ্র সেওয়াগকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চেন্নাই টেস্টে ২০০৮ সালে চতুর্থ ইনিংসে ভারতের টার্গেট ছিল ৩৮৭। তা চেজ করায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন বীরু-গৌতি। সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর।
গৌতম-সেওয়াগের ওপেনিং জুটিতে ওঠে ১১৭ রান। ভারতের বর্তমান হেড কোচ সেই ম্যাচে ওপেনিংয়ে নেমে ৬৬ রান করেন। সেওয়াগ ৮৩ রানের ইনিংস উপহার দেন। চারে নেমে ১০৩ রানে নট আউট থাকেন সচিন তেন্ডুলকর। এবং অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং ৮৫ রানে অপরাজিত থাকেন। সব মিলিয়ে ৪ উইকেটে ৩৮৭ রান সফল ভাবে তাড়া করে ম্যাচ ৬ উইকেটে জিতে নেন টিম ইন্ডিয়া। এ বার পুনেতে তার থেকে কম টার্গেট রয়েছে ভারতের। দেখার শুধু এটাই যে তা ঠিক যেভাবে সফল রান তাড়ায় পরিণত করতে পারে ভারত।