ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের রিটেনশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন। রিটেনশন ও আরটিএম মিলিয়ে ৬ জন প্লেয়ারকে রাখা যেত। দশ ফ্র্যাঞ্চাইজির ভাবনা ভিন্ন হবে সেটাই স্বাভাবিক। দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ৬ জন করে প্লেয়ার রিটেন করেছেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ৫ জন। আবার পঞ্জাব কিংস মাত্র দু-জন আনক্যাপড প্লেয়ার রিটেন করেছে। আইপিএলের মেগা অকশনে পার্সে বেশি টাকা এবং নতুন করে দল সাজানোর পরিকল্পনা করতে পারবে পঞ্জাব। আবার কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়্যালসের মতো টিম ৬ জন প্লেয়ারকে রিটেন করেছে। মূলত কোর টিম তৈরি। বাকিটা অকশনে সাজিয়ে নেওয়া। রাজস্থান রয়্যালসের রিটেনশন তালিকা তৈরিতে বড় ভূমিকা নিয়েছেন সঞ্জু স্যামসন! এমনটাই বলছেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়।
রিটেনশনের ক্ষেত্রে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ছিল রাজস্থান রয়্যালস। দলে একঝাঁক তারকা। জায়গা মাত্র ছয়। ফলে কাঁদের রাখা হবে, এই নিয়ে গভীর ভাবনায় ডুবতে হয়েছে। অবশেষে রিটেন করা হয়েছে সঞ্জু স্যামসন, যশস্বী জয়সওয়াল, রিয়ান পরাগ, ধ্রুব জুরেল, শিমরন হেটমায়ার এবং আনক্যাপড প্লেয়ার হিসেবে সন্দীপ শর্মাকে। জায়গা হয়নি যুজবেন্দ্র চাহাল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, জস বাটলার, ট্রেন্ট বোল্টের মতো তারকাদের।
ভারতকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতিয়ে আইপিএলে কোচ হিসেবে কামব্যাক করেছেন রাহুল দ্রাবিড়। রিটেনশন নিয়ে জিও সিনেমায় রাহুল দ্রাবিড় বলেছেন, ‘আমরা ঠিক করেছিলাম ৬ জনকেই রিটেন করব। নিজেদের প্লেয়ারের প্রতিভায় ভরসা রয়েছে। কোর টিমটাকে ধরে রাখতে চেয়েছিলাম। যদি বেশি রাখার সুযোগ থাকত, সেটাই করতাম।’ সঞ্জু স্যামসনকে কেন প্রথম রিটেন করা হয়েছে? দ্রাবিড়ের সাফ জবাব, ‘ও আমাদের ব্যাটার, কিপার, ক্যাপ্টেন। অনেক বছর ধরেই নেতৃত্বের দায়িত্ব সামলাচ্ছে। ভবিষ্যতেও ও থাকবে।’
রিটেনশন তালিকা তৈরিতে সঞ্জু কী ভাবে সাহায্য করেছেন, সেই প্রসঙ্গে দ্রাবিড় বলছেন, ‘রিটেনশনে বড় ভূমিকা নিয়েছে সঞ্জু। ওর কাছেও কাজটা খুবই কঠিন ছিল। একজন ক্যাপ্টেন হিসেবে প্লেয়ারদের সঙ্গে ওর দুর্দান্ত সম্পর্ক। তবে সব দিক বিচার করে, আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করেছে।’