Rinku Singh : জাতীয় দলে জার্সি চোখে জল আনবে রিঙ্কুর, বাবা-মাকে উৎসর্গ করবেন
আইপিএল ও ঘরোয়া ক্রিকেট মাতানো রিঙ্কু ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলে। এশিয়ান গেমসের জন্য ১৫ সদস্যের টিমে তাঁকে রেখে দল ঘোষণা করেছে বোর্ডের নির্বাচক কমিটি।
কলকাতা : খুব শক্ত মনে ছেলে রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। সেটাই স্বাভাবিক। চূড়ান্ত মানসিক দৃঢ়তা না থাকলে আলিগড়ের গলি থেকে জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার এই যাত্রাপথ সম্পূর্ণ হত কীভাবে? ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ক্রিকেটার হওয়ার ইচ্ছে নিয়ে পরিবারের বিরুদ্ধে যেতেও পিছপা হননি। তারই সুফল মিলেছে। আইপিএল ও ঘরোয়া ক্রিকেট মাতানো রিঙ্কু ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলে। এশিয়ান গেমসের জন্য ১৫ সদস্যের টিমে তাঁকে রেখে দল ঘোষণা করেছে বোর্ডের নির্বাচক কমিটি। মেন ইন ব্লু-র হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়ার পর রিঙ্কু সোশ্যাল মিডিয়ায় সেভাবে প্রতিক্রিয়া দেননি। শুধুমাত্র কেকেআরের একটি পোস্ট স্টোরিতে শেয়ার করেছিলেন। এ বার রিঙ্কুর প্রতিক্রিয়া সামনে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় দলের জার্সি পরার সময় নিশ্চিত ভাবে তাঁর চোখে জল থাকবে। যতই তিনি শক্ত মনের মানুষ হোন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
২০২৩ আইপিএল থেকে ঘরে ঘরে পরিচিত হয়ে উঠেছে রিঙ্কু সিংয়ের নাম। সেটা তাঁর বড় শট খেলার দক্ষতা হোক বা দুর্দান্ত ম্যাচ ফিনিশিং। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বাঁ হাতি ব্যাটার গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে এক ওভারে পাঁচটি ছয় হাঁকিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। তবে ওয়ান ম্যাচ ওয়ান্ডার হয়ে থাকেননি রিঙ্কু। তারপরও একাধিক ম্যাচে বিশেষ করে রান তাড়া করার ক্ষেত্রে তিনি অনবদ্য। আইপিএলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সই তাঁর সামনে জাতীয় দলের দরজা খুলে দিয়েছে। চিনের হাংঝাউয়ে মেন ইন ব্লু জার্সি গায়ে চড়িয়ে ছেলেবেলার স্বপ্নপূরণের অপেক্ষায় রিঙ্কু। ওই বিশেষ দিনটিতে তিনি এবং তাঁর পরিবার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়বে এটা ভালোমতোই জানেন।
RevSportz-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিঙ্কু বলেছেন, “আমি খুব শক্ত মনের ছেলে একইসঙ্গে আবেগপ্রবণ। প্রথম বার যখন জাতীয় দলের জার্সি পরব তখন নিশ্চিতভাবে চোখে জল আসবে। এই যাত্রাপথটা ছিল ভীষণ কঠিন এবং লম্বা।” তিনি আরও বলেন, “দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন সবার থাকে। আমি ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বেশি ভাবতে চাই না। কারণ যত ভাবব ততই নিজের উপর চাপ বাড়বে।”
জাতীয় দলের জার্সি গায়ে যেদিন খেলতে নামবেন সেটি হবে রিঙ্কুর জীবনের সেরা দিন। বাবা-মাকে দিনটি উৎসর্গ করতে চান রিঙ্কু। বলেছেন, “ভারতীয় দলের জার্সি পরে আমাকে দেখে বাবা-মা খুব খুশি হবেন। তাঁরা এই দিনটির জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছেন। তাঁরা আমার পরিশ্রম, সংগ্রাম দেখেছেন। কেরিয়ারের প্রতিটি চড়াই-উতরাইয়ে পাশে থেকেছেন। যেদিন জাতীয় দলের জার্সি পরব সেই দিনটি বাবা-মাকে উৎসর্গ করতে চাই।”