Virender Sehwag: কার কথায় মাঝপথে অবসর নেননি সেওয়াগ?

সেই প্রসঙ্গে সেওয়াগ বলেন, '২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে থাকার সময় অবসরের কথা মাথায় এসেছিল। টেস্টে সিরিজে কামব্যাক করেই ১৫০ রান করেছিলাম। কিন্তু একদিনের ম্যাচে ধারাবাহিক ব্যর্থ হয়েছিলাম। তখন ধোনি আমাকে এগারো জনের দল থেকে বাদ দেয়। এরপরই একদিনের ক্রিকেট ছাড়ার কথা মাথায় আসে। ভেবেছিলাম, শুধু টেস্ট খেলব।'

Virender Sehwag: কার কথায় মাঝপথে অবসর নেননি সেওয়াগ?
সচিন ও সেওয়াগ। ছবি: টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 01, 2022 | 7:18 PM

নয়াদিল্লি: মাঝপথেই ক্রিকেট ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন বীরেন্দ্র সেওয়াগ (Virender Sehwag)। আর যদি সেটা হত, তাহলে ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য হতে পারতেন না বীরু। ২০০৮ সালেই ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার ভাবনা মাথায় এসেছিল সেওয়াগের। তখন ক্রিকেট কেরিয়ারে ৭ বছর পূর্ণ হয়েছিল নজফগড়ের নবাবের। কিন্তু একজনের জন্যই ক্রিকেট ছাড়েননি। ২২ গজ আঁকড়ে ছিলেন। তিনি সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। মাস্টার ব্লাস্টারের পরামর্শেই ক্রিকেট চালিয়ে যান সেওয়াগ। আর তাতেই পরবর্তীতে আরও সাফল্য পান। একদিনের ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরিও করেন সেওয়াগ। আর এই সবকিছুর জন্য সচিনকে ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি বীরু। অস্ট্রেলিয়া সফরে খারাপ পারফরম্যান্সের জন্যই ক্রিকেট ছাড়ার ভাবনা সেওয়াগের মাথায় আসে। ১৪ বছর আগের সেই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার।

অস্ট্রেলিয়া সফরে ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথম চার ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছিলেন সেওয়াগ। ৬, ৩৩, ১১ আর ১৪ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। এরপর ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েন বীরু। তবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ঐতিহাসিক ত্রিদেশীয় সিরিজ জেতে ভারত। সেই প্রসঙ্গে সেওয়াগ বলেন, ‘২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে থাকার সময় অবসরের কথা মাথায় এসেছিল। টেস্টে সিরিজে কামব্যাক করেই ১৫০ রান করেছিলাম। কিন্তু একদিনের ম্যাচে ধারাবাহিক ব্যর্থ হয়েছিলাম। তখন ধোনি আমাকে এগারো জনের দল থেকে বাদ দেয়। এরপরই একদিনের ক্রিকেট ছাড়ার কথা মাথায় আসে। ভেবেছিলাম, শুধু টেস্ট খেলব।’

একই সঙ্গে বীরু যোগ করে বলেন, ‘সচিন আমাকে অবসর নিতে আটকায়। ও বলে, এটা আমার জীবনের একটা খারাপ সময়। আমাকে বলে, একটু ধৈর্য্য ধরো, বাড়ি ফিরে ভাবো। তারপর ঠিক করো। ভাগ্যিস, সেই সময় আমি অবসর ঘোষণা করিনি।’ সেওয়াগ এও বলেন, ‘মূলত দুই ধরণের ক্রিকেটার হয়। একজন, যারা চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসে, ওই সময়টা উপভোগ করতে ভালোবাসে। বিরাট ঠিক যে রকম। ও সমস্ত সমালোচনা শোনে। মাঠে নেমে রান করে তার জবাব দেয়। আরেক ধরণের ক্রিকেটার বাইরের কথায় কান দেয় না। তারা জানে তাদের কি করতে হবে। আমি সে রকম। যারা আমার সমালোচনা করত, তাদের পাত্তা দিতাম না। আমি চাইতাম খেলব, রান করব, হাসি মুখে বাড়ি যাব।’

আরও পড়ুন: Virat Kohli: বিরাট কোহলির কাছে ১১০টা আন্তর্তাজিক সেঞ্চুরি চাইলেন কে?