Maradona: বিশ্বকাপে আগে আর্জেন্টিনার রাজধানীতে মারাদোনার বিশাল দেওয়াল চিত্র
Argentina: বুয়েনস আইরেসের বহুতলের জঙ্গলের মধ্যেই নজর কাড়ছে মারাদোনার ওই ছবি। লাতিন আমেরিকার ওই দেশে আরও জমিয়ে দিয়েছে বিশ্বকাপের আবহ।
বুয়েনস আইরেস: আর দিন কয়েক পরেই কাতারে শুরু হবে ফুটবলে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াই। মেসির নেতৃত্বাধীন আর্জেন্টিনাও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম দাবিদার। এই আবহেই ফের মারাদোনাকে স্মরণ করছে আর্জেন্টিনা। সে দেশের রাজধানী বুয়েনস আইরেসে তৈরি করা হয়েছে আর্জেন্টিনার জার্সি পরা মারাদোনার বিশালাকার মুরাল বা দেওয়ালচিত্র। বুয়েনস আইরেসের বহুতলের জঙ্গলের মধ্যেই নজর কাড়ছে মারাদোনার ওই ছবি। লাতিন আমেরিকার ওই দেশে আরও জমিয়ে দিয়েছে বিশ্বকাপের আবহ।
নতুন তৈরি হওয়া ওই দেওয়াল চিত্রে আর্জেন্টিনার নীল-সাদা জার্সি পরে রয়েছেন মারাদোনা। সেই ছবিতে নিজের মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে রয়েছেন তিনি। বিশালাকার দেওয়াল চিত্রের উচ্চতা প্রায় ১৪৮ ফুট বা ৪৫ মিটার। এবং তা চওড়ায় ১৩১ ফুট বা ৪০ মিটার। বুয়েনস আইরেসের ১৪ তলা বিল্ডিংয়ের এক পাশে আঁকা হয়েছে মারাদোনার ওই চিত্র। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর মৃত্যু হয়েছে আর্জেন্টিনার ‘ফুটবল দেবতা’র। তার পর প্রথম বার এ ধরনের মুরাল তৈরি হল সে দেশে।
আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের হয়ে মারাদোনার অবদান অনস্বীকার্য। বিশ্বকাপেও মারাদোনার পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা হয়। পশ্চিম জার্মানিকে হারিয়ে ১৯৮৬ সালে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। সেটাই লাতিন আমেরিকার এই দেশের শেষ বার বিশ্বজয়। সেই জয়ের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল মারাদোনার। সে দিনের কথা স্মরণ করলে আজও আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন সে দেশের প্রবীণ নাগরিকরা। ওই বিশ্বকাপের ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে করা মারাদোনার দুটি গোল নিয়ে আলোচনা হয় এখনও। এর মধ্যে ‘হ্যান্ড অব গড’ গোলটি নিয়ে ইংরেজ সমর্থকরা এখনও ক্ষোভ প্রকাশ করে থাকেন। অবশ্য তার পরের গোলটি শতাব্দির সেরা গোলের তকমা আদায় করে নিয়েছে। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে ফের মুখোমুখি হয় পশ্চিম জার্মানি ও আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচে অবশ্য ১-০ গোলে হেরে যায় আর্জেন্টনা। ১৯৯৪ সালে ডোপিংয়ের অভিযোগ নির্বাসনের খাঁড়া নেমে আসে মারাদোনার জীবনে। কিন্তু এ সব বিতর্ক মারাদোনার জনপ্রিয়তাকে এতটুকু কমাতে পারেনি। তাই তো মৃত্যুর পরও আর্জেন্টিনা উদ্বেলিত হয় মারাদোনার নামে। সেই মারাদোনাকে সম্মান জানাতেই তৈরি হল এই দেওয়াল চিত্র।