Indian Football: এ বছর ISL, আই লিগ জিতলেও AFC-র টুর্নামেন্টে অনিশ্চিত!

এ বছরের এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং এএফসি কাপের খেলা শেষ হবে অক্টোবরে। নভেম্বর-ডিসেম্বর চলবে ফিফা বিশ্বকাপ। ২০২৩ এএফসি এশিয়ান কাপ শুরু হবে জানুয়ারিতে। ২০২৩-২৪ মরসুমের এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং এএফসি কাপের খেলা শুরু অগাস্ট থেকে। আর এখানেই ফেডারেশনের জন্য বিপত্তি। কারণ ততদিনে আরও দুটো চ্যাম্পিয়ন দল পেয়ে যাবে ফেডারেশন।

Indian Football: এ বছর ISL, আই লিগ জিতলেও AFC-র টুর্নামেন্টে অনিশ্চিত!
আইএসএল ও আই লিগ ট্রফি। (ছবি-টুইটার)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 25, 2022 | 8:56 PM

কলকাতা: ফেডারেশনকে চিঠি এএফসির (AFC)। ফুটবল ক্যালেন্ডার ইয়ার বদলাচ্ছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন। ফেব্রুয়ারি-নভেম্বর থেকে অগাস্ট-মে-তে সরছে এএফসি। অর্থাৎ সামনের বছর থেকে এএফসির যাবতীয় খেলা শুরু হবে অগাস্ট থেকে। এবং তা চলবে মে পর্যন্ত। এ বছর এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলবে মুম্বই সিটি এফসি। এএফসি কাপ খেলবে গোকুলাম কেরালা এফসি। এটিকে মোহনবাগানকে খেলতে হবে এএফসি কাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ড। সামনের বছর অর্থাৎ ২০২৩-২৪ মরসুমের আগে জোড়া চ্যাম্পিয়নকে পেয়ে যাবে ফেডারেশন (AIFF)। তখন এএফসির টুর্নামেন্টে কারা খেলবে তা নিয়েই দ্বিধায় এআইএফএফ। অর্থাৎ এ বছরের আইএসএল (ISL) টপার, চ্যাম্পিয়ন আর আই লিগ চ্যাম্পিয়ন দল; নাকি সামনের বছরের আইএসএল টপার, চ্যাম্পিয়ন আর আই লিগ চ্যাম্পিয়ন দল এএফসির টুর্নামেন্টে খেলবে তা ঠিক করতে হবে ফেডারেশনকেই। কারণ, সেপ্টেম্বর থেকেই ফুটবল ক্যালেন্ডার শুরু হয়ে যায় ভারতে।

এ বছরের এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেলা শেষ হবে সামনের বছর ফেব্রুয়ারিতে। এএফসি কাপের খেলা শেষ হবে অক্টোবরে। নভেম্বর-ডিসেম্বর চলবে ফিফা বিশ্বকাপ। ২০২৩ এএফসি এশিয়ান কাপ শুরু হবে জানুয়ারিতে। ২০২৩-২৪ মরসুমের এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং এএফসি কাপের খেলা শুরু অগাস্ট থেকে। আর এখানেই ফেডারেশনের জন্য বিপত্তি। কারণ ততদিনে আরও দুটো চ্যাম্পিয়ন দল পেয়ে যাবে ফেডারেশন। এ বারের আইএসএলের লিগ টপার, চ্যাম্পিয়ন আর আই লিগ চ্যাম্পিয়ন দলকে এএফসির টুর্নামেন্টে খেলার জন্য ১৪ মাস অপেক্ষা করতে হবে। আর পরের বছরের চ্যাম্পিয়ন দলের হাতে সময় থাকবে মাত্র ৩ মাস। সেক্ষেত্রে নতুন চ্যাম্পিয়ন দলেরই খেলার সম্ভাবনা বেশি।

এ বিষয়ে ঠিক করতে ক্লাবগুলোকে নিয়ে বৈঠকে বসছে ফেডারেশন। ফেডারেশন সচিব কুশল দাস টিভি নাইন বাংলাকে টেলিফোনে বলেন, ‘এ বারের চ্যাম্পিয়ন দলরা যদি এএফসির টুর্নামেন্টে সামনের বার খেলতে না পারে, তাহলে তাদের ক্ষেত্রেও অবিচার করা হবে। আইএসএল এবং আই লিগের ক্লাবগুলো এ প্রসঙ্গে কি মতামত দেয়, সেটাকে শিরোধার্য করেই সিদ্ধান্ত নেবে ফেডারেশন। কারণ তাদের জন্যই এই টুর্নামেন্ট।’ ফেডারেশনের একাংশ চাইছে, একটা বছরকে ‘বলি’ সামনের বার থেকে নতুন ভাবে শুরু করতে।  তবে সেই বৈঠকেও জটিলতা কতটা মিটবে তা নিয়ে এখন থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে।

একই সঙ্গে বিদেশি ফুটবলারের সংখ্যাও বাড়াল এএফসি। এতদিন এএফসির টুর্নামেন্টে ৪ বিদেশি খেলতে পারত। তাঁদের মধ্যে ১জন এশিয়ার ফুটবলার বাধ্যতামূলক। এবার থেকে এএফসির টুর্নামেন্টে ৪ জনের বদলে ৬ জন বিদেশি খেলতে পারবে। তাঁদের মধ্যে ১ জন এশিয়ার ফুটবলার বাধ্যতামূলক

আরও পড়ুন: Ranji Trophy: সুযোগ পেয়েও বড় লিড নিতে ব্যর্থ বাংলা