FRA vs AUS Match Report: গুডউইনের গোলে পিছিয়ে পড়া থেকে ফ্রান্সের ‘গুড-উইন’
FIFA World Cup Match Report, FRANCE vs AUSTRALIA : ম্যাচের মাত্র ৯ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে ফ্রান্স। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে গোল করেন ক্রেগ গুডউইন। অনবদ্য প্রত্যাবর্তনে গুড-উইন ফ্রান্সের। জোড়া গোলে নানা নজির অলিভিয়ের জিরোর।
আল বাখরা : বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022) শুরুর আগে নানা চিন্তা। করিম বেঞ্জেমার মতো তারকা স্ট্রাইকারের ছিঁটকে যাওয়া। রাফায়েল ভারানের চোট। কাতার (Qatar 2022) থেকে চোটে দেশে ফেরা প্রিসনেল কিম্পেম্বে। ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশঁর চিন্তা বাড়িয়েছিল। কাতার বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু করল ফ্রান্স (France)। এই ম্যাচেও শুরুতে বিরাট ধাক্কা খায় গত বারের চ্যাম্পিয়ন। ম্যাচের মাত্র ৯ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে ফ্রান্স। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে গোল করেন ক্রেগ গুডউইন। অনবদ্য প্রত্যাবর্তনে গুড-উইন ফ্রান্সের। জোড়া গোলে নানা নজির অলিভিয়ের জিরোর। রাশিয়া বিশ্বকাপেও প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ২-১ গোলে জিতেছিল ফ্রান্স। চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল। এ বারও প্রথম ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই। পিছিয়ে পড়েও ৪-১ গোলে জয়। গত বারের পুনরাবৃত্তি হবে! ফ্রান্স বনাম অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
কয়েকটা সপ্তাহ হয়তো দম বন্ধ করা পরিস্থিতিতে কেটেছিল ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশঁর। বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণার আগেই পল পোগবা, এনগোলো কান্তের মতো তুই ভরসাযোগ্য মিডফিল্ডার ছিঁটকে যান। পিএসজিতে খেলা ফরাসি ডিফেন্ডার প্রিসনেল কিম্পেম্বেকে নিয়েও আশঙ্কা ছিল। তাঁকে রেখেই স্কোয়াড ঘোষণা করেন। কাতারে পৌঁছেই অস্বস্তি। কিম্পেম্বে ছিটকে যান। আরও বড় ধাক্কা লাগে এ বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী স্ট্রাইকার করিম বেঞ্জেমার ছিঁটকে যাওয়া। এ দিনও ৯ মিনিটে গোল খাওয়ার সময় চোট পান লেফ্ট ব্যাক লুকাস হার্নান্ডেজ। শুরুর অস্বস্তি কাটাতে সময় নিল না ফ্রান্স। লুকাসের পরিবর্ত হিসেবে নামা তাঁর ভাই থিও হার্নান্ডেজের সেন্টারে অনবদ্য হেডে ২৭ মিনিটে সমতা ফেরান আদ্রিয়েন ব়্যাবিয়ট। ৫ মিনিটের ব্যবধানে সুন্দর গোলে ফ্রান্সকে এগিয়ে দেন অলিভিয়ের জিরো। দেশের জার্সিতে গোলের হাফসেঞ্চুরি তাঁর।
ফ্রান্স ৪ (অলিভিয়ের জিরো-২, ব়্যাবিয়ট, এমবাপে)
অস্ট্রেলিয়া ১ (ক্রেগ গুডউইন)
ফ্রান্সের হয়ে সবচেয়ে বেশি বয়সে বিশ্বকাপ খেলার নজির গড়লেন অলিভিয়ের জিরো এবং হুগো লরিস। তাঁদের বয়স যথাক্রমে ৩৬ বছর ৫৩ দিন ও ৩৫ বছর ৩৩১ দিন। এর আগে এই নজির ছিল ফ্যাবিয়েন বার্তেজের (৩৫ বছর ১১ দিন)। জোড়া গোল করে ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখলেন জিরো। বিরতিতে ২-১ এগিয়ে ছিল ফ্রান্স। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান কিলিয়ান এমবাপে। গত বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন উঠতি তারকা। এখন দলের অন্যতম ভরসা। ৭১ মিনিটে দলের চতুর্থ গোলে নজির গড়েন অলিভিয়ের জিরো। ফ্রান্সের সর্বাধিক গোলের নজির থিয়েরি অঁরির। ৫১ গোলে সেই নজির ছুঁলেন জিরো। অস্ট্রেলিয়া গোলরক্ষক এবং ডিফেন্স বেশ কিছু গোল লাইন সেভ না করলে, আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারত ফ্রান্স। পিছিয়ে পড়েও চ্যাম্পিয়নের মতোই প্রত্যাবর্তন ফ্রান্সের।