কলকাতা: মঙ্গলবার ভুবনেশ্বরে ওড়িশা এফসির (Odisha FC) বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ। তার আগে যুবভারতীর ট্রেনিং গ্রাউন্ডে কড়া অনুশীলনে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। ফুটবলারদের ফিটনেস বাড়ানোয় বাড়তি নজর লাল-হলুদ কোচের। নয়া ফিটনেস ট্রেনার জেভিয়ার স্যাঞ্চেজের কাছেই অধিকাংশ সময় কাটালেন ক্লেটন, তালালরা। ফুটবলারদের মানসিক ভাবে উজ্জীবিত করতে মেন্টাল ফিটনেসেও জোর দেওয়া হল। অনুশীলন শুরুর আগে প্রায় আধঘণ্টা ফুটবলারদের সঙ্গে বৈঠক করেন কোচ অস্কার ব্রুজো। ডার্বির ভিডিও দেখিয়ে ফুটবলারদের ভুল ভ্রান্তি দেখান লাল-হলুদ কোচ। স্প্যানিশ কোচ বেশ চড়া মেজাজের। প্রথমদিনের অনুশীলন থেকেই তা বেশ স্পষ্ট। অনুশীলনে সাউল ক্রেসপোকে একটি ট্যাকেল করেন ডেভিড। সঙ্গে সঙ্গে ডেভিডকে পাল্টা দুবার ধাক্কা মারেন ক্রেসপো।
সাংবাদিক সম্মেলনে অস্কার ব্রুজো সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘ভারতে ঘুরতে আসিনি।’ ওড়িশা ম্যাচের আগে ব্রুজো বললেন, ‘ওড়িশা দল নিয়ে আমি বেশ ওয়াকিবহাল। বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসে কোচিং করানোর সুবাদে এএফসি কাপে ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা আছে। ওদেরকে হারিয়েওছি। মঙ্গলবার আমরা পয়েন্ট তুলতে ঝাঁপাতে চাই।’ ফুটবলারদের মানসিক অবস্থা যে ঠিক জায়গায় নেই তা ভালোই জানেন ইস্টবেঙ্গলের নয়া কোচ। এর থেকে বেরোনোর সুরাহা কী? ব্রুজোর কথায়, ‘আমাদের এখন পরপর বেশ কয়েকটা ম্যাচ জিততে হবে। তাহলেই আমরা সঠিক জায়গায় ফিরে আসব। অতীত নিয়ে ভেবে লাভ নেই। সামনের দিকে তাকাতে চাই।’ ফুটবলারদের ফিটনেস লেভেল দেখে প্রথম দিনই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন ব্রুজো।
সোমবারও ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলনে দেখা গেল না সহকারী কোচ দিমাস দেলগাডো আর স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ কার্লোস জিমিনেজকে। এ বারের আইএসএলে ভালো জায়গায় নেই ওড়িশাও। টেবিলের ১০ নম্বরে আছে ওড়িশা। ইস্টবেঙ্গল রয়েছে ১৩ নম্বরে। যে কলিঙ্গ স্টেডিয়াম থেকে ১২ বছর পর ভারতসেরা হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল, সেই কলিঙ্গ স্টেডিয়াম থেকেই শাপমুক্তির খোঁজে লাল-হলুদ ব্রিগেড।
ইস্টবেঙ্গল বনাম ওড়িশা এফসি ম্যাচের সময় – সন্ধে ৭.৩০, ২২ অক্টোবর