FIFA World Cup 2022: মেক্সিকো ম্যাচে ম্যাজিক দেখিয়ে ছেলে মাতেওর কান্না থামালেন মেসি
চলতি কাতার বিশ্বকাপে মেক্সিকো ম্যাচে ২-০ গোলে জেতার পর, লিওর সেলিব্রেশনের ছবি-ভিডিয়ো ছিল দেখার মতো। যা রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
দোহা: সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ২-১ ব্যবধানে হেরে বিশ্বকাপ (FIFA World Cup 2022) যাত্রা শুরু করেছিল লিওনেল মেসির (Lionel Messi) আর্জেন্টিনা (Argentina)। তার আগে টানা ৩৬টি ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন মেসিরা। ফলে সৌদির কাছে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই অপ্রত্যাশিত হার রীতিমতো কাঁপিয়ে দিয়েছিল মেসিদের এবং নীল-সাদা জার্সিধারীদের সমর্থকদের। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিল লা আলবিসেলেস্তেদের। সেই হারের যন্ত্রণা ভোলাতে হলে, মেক্সিকো ম্যাচে জিততেই হত লিওনেল স্কালোনির ছেলেদের। আর সেটাই করে দেখিয়েছে আর্জেন্টিনা। মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ২-০ ব্যবধানে জিতেছেন মেসিরা। আর্জেন্টিনার ফুটবলার এবং সমর্থকদের কাছে সৌদির বিরুদ্ধে হারের পর, প্রতিটা মুহূর্ত অত্যন্ত কঠিন গিয়েছিল। বাবার দল হেরে যাওয়ায়, লিওর ছোট ছেলে মাতেও কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছিল। মেক্সিকো ম্যাচে মেসি ম্যাজিক খুদে মাতেওর মুখেও হাসি ফুটিয়েছে। মাতেওর কান্না নিয়ে কী বললেন মেসি, তুলে ধরল TV9Bangla।
মেক্সিকোর বিরুদ্ধে লিওনেল মেসি ও এনজো ফার্নান্ডেজের গোলই ৩ পয়েন্ট এনে দিয়েছে আর্জেন্টিনাকে। সৌদির বিরুদ্ধেও গোল করেছিলেন মেসি। কিন্তু সেদিন তাঁর দল জেতেনি। তবে এর পরের ম্যাচেই (মেক্সিকোর বিরুদ্ধে) দুর্দান্ত এক গোলে সৌদি ম্যাচের হারের বোঝাটা এক ধাক্কায় নামিয়ে দিলেন মেসি। একই সঙ্গে লিও স্বস্তি ফেরালেন পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও। মেসি ও তাঁর স্ত্রী আন্তনেলা রোকুজ্জোর তিন সন্তান। থিয়াগো সব চেয়ে বড়। ২০১২ সালে তার জন্ম। এরপর ২০১৫ ও ২০১৮ সালে মাতেও ও চিরোর জন্ম। সৌদি ম্যাচের পর মাতেও কান্নায় ভাসিয়ে দিয়েছিল। দাদা থিয়াগো সেই সময় মাতেওকে বুঝিয়েছিল বাবার দল এখনও বিশ্বকাপের দৌড়ে টিকে রয়েছে। খুদে মাতেওর কান্না যদিও থামেনি।
মেক্সিকো ম্যাচের পর লিওর জয়ের সেলিব্রেশনের ছবি-ভিডিয়ো রীতিমতো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। মেক্সিকোকে হারানোর পর মেসি বলেন, “সৌদি আরবের বিরুদ্ধে আমরা প্রথম ম্যাচে হারার পর মাতেও কাঁদতে কাঁদতে স্টেডিয়াম থেকে বেরিয়েছিল। থিয়াগো আমাকে জানায়, ও সেই সময় হিসেব নিকেশ করতে বসেছিল, কোন অঙ্কে আমরা যোগ্যতা অর্জন করতে পারব। দুটো ম্যাচে জিতলে সেটা সম্ভব। সকল আর্জেন্টেনিয়ানদের মতো আমার পরিবারও এই হারের ফলে অনেক কষ্ট পেয়েছে। আমরা আপাতত খুশি। কারণ, আমরা স্থিতিশীল জায়গায় আসতে পেরেছি। এ বার আমাদের পারফরম্যান্স আমাদের ওপর নির্ভর করবে।”
মেক্সিকো বধের পর মেসি আরও বলেন, “সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ম্যাচটা হেরে সত্যি অস্বস্তির মধ্যে ছিলাম। আমরা এটা আশা করিনি। তাই বার বার আমাদের মনে হচ্ছিল মাঝে যেন কতগুলো দিন। সেই পরিস্থিতি নিজেদের দিকে ঘোরানোর আপ্রাণ চেষ্টায় ছিলাম। মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ম্যাচটা যে সহজ হবে না, সেটা আমরা ভালোভাবেই জানতাম। জেতা ছাড়া আমাদের কাছে আর কোনও উপায় ছিল না। তাই এই ম্যাচে জয়ের পর মনে হচ্ছে, ঘাড় থেকে একটা ভার যেন নেমে গেল।”
উল্লেখ্য, ১ ডিসেম্বর লিওনেল মেসিদের গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ম্যাচ। পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচ আর্জেন্টিনার কাছে মরণ-বাঁচন ম্যাচ।