AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

World Cup Final: ‘জানতামই না, তিন নম্বরে ব্যাট করতে যেতে হবে’, ম্যাচ জিতিয়ে অকপট জেমাইমা!

Indian Women's Cricket Team: ম্যাচের পর জেমি বলে দিলেন, ‘বাবা, মা, কোচ, যাঁরা আমার উপর বিশ্বাস, আস্থা রেখেছিলেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। খুব কঠিন একটা মাস যাচ্ছে। ম্যাচটা এখনও যেন স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। এখনও যেন খেলছি!’

World Cup Final: ‘জানতামই না, তিন নম্বরে ব্যাট করতে যেতে হবে’, ম্যাচ জিতিয়ে অকপট জেমাইমা!
অনবদ্য জয় ভারতের Image Credit: PTI
| Edited By: | Updated on: Oct 30, 2025 | 11:53 PM
Share

অবিশ্বাস্য ইনিংসের পর উচ্ছ্বাস চোখেমুখে। তবু যেন শান্ত। সারা গ্যালারি নাচছে, ফুটছে, তাও তিনি কুল! ১৩৪ বলে ১২৭ নট আউট ইনিংসের পরও কি কেউ উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেন? জেমাইমা রড্রিগসকে না দেখলে বিশ্বাসই হত না। বাইশ গজ শাসন করেছেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে। টানা ৫০টা ওয়ান ডে ম্যাচ জেতা অজিদের একার হাতে শেষ করলেন। কিন্তু খুনখারাপি ইনিংস নয়, বরং ব্যাটিং শৈলী আর নিজের উপর ভরসা রেখে। তাঁকে ছাড়া ম্যাচের সেরা আর কে হতেন! 

ম্যাচের পর জেমি বলে দিলেন, ‘বাবা, মা, কোচ, যাঁরা আমার উপর বিশ্বাস, আস্থা রেখেছিলেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। খুব কঠিন একটা মাস যাচ্ছে। ম্যাচটা এখনও যেন স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। এখনও যেন খেলছি!’ সাধারণত পাঁচ নম্বরে ব্যাট করেন। কিন্তু এই ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন। আগে থেকে জানতেন? জেমি বলেছেন, ‘জানতামই না আমাকে তিন নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো হবে। স্নান করতে যাওয়ার সময় বলেছিলাম, আমাকে বলো, কখন নামতে হবে। ব্যাট করতে নামার ৫ মিনিট আগে বলা হয়, তোমাকে তিন নম্বরে যেতে হবে।’ 

একার হাতে জেতালেও নিজে কৃতিত্ব নিতে চান না। জেমাইমা বলছেন, ‘নিজের জন্য নয়, ভারতের জন্য ম্যাচটা জিততে চেয়েছিলাম। এর আগেও শেষ মুহূর্তে ম্যাচ হেরেছি। এটা যে কোনও মূল্যে জিততে চেয়েছিলাম। আমার হাফসেঞ্চুরি বা সেঞ্চুরির জন্য তৃপ্ত নই, দেশকে জেতাতে পেরেছি, এর থেকে আনন্দের আর কী হতে পারে!’ 

গতবছর বিশ্বকাপের টিম থেকে বাদ পড়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরলেন নায়িকা হয়ে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও রান পেয়েছিলেন। কিন্তু অন্য ম্যাচে রান পাননি। সেই জেমাইমা বলেওছেন, ‘আমি ভালোই ফর্মে ছিলাম। তাও টিম থেকে বাদ পড়ে যাই। সব সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে না। আমি প্রতি রাতে কেঁদেছি। বিশ্বকাপে সেভাবে খেলতে পারছিলাম না। ভিতরে ভিতরে একটা চাপ ছিল। জানতাম, ফিরতে আমাকে হবেই। শুধু একটা ভালো ইনিংসের অপেক্ষায় ছিলাম। ইনিংসের শেষ দিকে একটাই কথা নিজেকে বারবার বলছিলাম, আমাকে শুধু দাঁড়িয়ে থাকতে হবে, ঈশ্বর আমার সঙ্গে লড়াই করবেন। আমার জন্য লড়বেন। যখন আমি পারি না, থমকে যাই, মনে হয়, আর হবে না, আমার টিম পাশে দাঁড়ায়। হ্যারিদি, দীপ্তিরা আজ সেই কাজটাই করেছে।’