Chess: ক্রিকেট, হকির পর ভারতীয় দাবাতে সোনার কাঠি ছোঁয়ালেন প্যাডি আপটন, গুকেশের সাফল্যে প্রোটিয়া তারকার হাত
ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের মধ্যে প্যাডির ছাপ বার বার মিলেছে। এ বার ভারতের সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু ডি গুকেশের সাফল্যেও রয়েছে প্যাডির ছোঁয়া। কীভাবে?
ক্রিকেট, হকির পর এ বার দাবার দুনিয়াতেও আশ্চর্য হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করলেন প্যাডি আপটন (Paddy Upton)। গত ছয় মাস ধরে দাবায় মগ্ন ছিলেন প্রোটিয়া তারকা। ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ভারত যে বিশ্বজয়ের স্বাদ পেয়েছিল, সেই সময় টিম ইন্ডিয়ার মেন্টাল কন্ডিশনিং কোচ ছিলেন প্যাডি আপটন। এরপর ২০২২ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় টিমের মেন্টাল কন্ডিশনিং কোচের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। সেবার যদিও সাফল্য ধরা দেয়নি। কিন্তু ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের মধ্যে প্যাডির ছাপ বার বার মিলেছে। এ বার ভারতের সর্বকনিষ্ঠ দাবাড়ু ডি গুকেশের সাফল্যেও রয়েছে প্যাডির ছোঁয়া। কীভাবে?
ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন প্যাডি। পরবর্তীতে প্যারিস অলিম্পিকে ভারতীয় হকি টিমের মেন্টার কন্ডিশনিং কোচের দায়িত্বে দেখা গিয়েছে প্যাডিকে। এ বার বছর ১৮-র গুকেশের সঙ্গেও ঠিক একই রকম ভাবে কাজ করেছেন তিনি। মানসিকভাবে গুকেশকে চাঙ্গা করার চেষ্টায় কোনও কসুর রাখেননি প্যাডি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্যাডি বলেন, ‘পুরো টুর্নামেন্টে ও যে ভাবে নিজেকে মেলে ধরেছে, তাতে আমার ওকে নিয়ে গর্ব হচ্ছে। ১৮ বছর বয়সে প্রথম বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে যে পরিণতবোধ দেখাল ও, তা প্রশংসা যোগ্য। আমরা ওর থেকে প্রতিটা গেম, প্রতিটা মুভ বা টুর্নামেন্টের ১৪টা গেমই এক্কেবারে নিখুঁত হবে সেই আশা করতে পারি না। ও কখনও কিছু খারাপ গেম খেলবে, কখনও ঠিকঠাক মানের খেলবে আবার কখনও অসাধারণ খেলবে।’
গুকেশের নিষ্ঠা দেখে মুগ্ধ প্যাডি। তিনি বলেন, ‘যদি কেউ কোনও পরীক্ষায় ভালো পারফর্ম করতে চায়, তা হলে ভালো করে পুরো বই পড়তে হয়। তেমনটা হলেই পরীক্ষার হলে আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাওয়া যায়। আশা করে গেলে হবে না। বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের খেতাব জেতার জন্য যদি একটা পুরো বই পড়ার কথা বলি, গুকেশ সেটা ভালো মতো করেছে। অত্যন্ত খুঁটিয়ে পড়েছে। নিজের ঘুমের সঙ্গে আপোশ করেনি। গেমে কোনও অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে পড়লে, তা থেকে কী ভাবে বেরোনো যায়, সেদিকেও খেয়াল রেখেছে গুকেশ। এতটা পেশাদার এই বয়সে দেখিনি।’
৬ মাস ধরে টানা গুকেশের সঙ্গে কাজ করছেন প্যাডি আপটন। তাঁর সঙ্গে গুকেশের পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বিশদে কিছু বলতে চাননি। তবে গুকেশের খেলায় সময় বার বার নজরে পড়েছে এক এক সময় তিনি চোখ বন্ধ করে যেন মাথা ঠান্ডা করার চেষ্টা করছেন। প্রতিপক্ষকে মাপছেন, তারপর দান চালছেন। আর এই করতে করতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন খেতাব মুঠোয় ভরেছেন গুকেশ।