Euro 2020: আর কি পেশাদার ফুটবল খেলতে পারবেন এরিকসেন? কী বলছেন তাঁর একসময়ের ভারতীয় বংশোদ্ভূত চিকিৎসক?
ইউরো কাপের (EURO Cup) ডেনমার্ক-ফিনল্যান্ড (Denmark vs Finland) ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ড্যানিশ উইঙ্গার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন (Christian Eriksen)। থ্রো ইন হাঁটুতে লাগার পরই জ্ঞান হারান এরিকসেন।
কোপেনহেগেন: ইউরো কাপের (EURO Cup) ডেনমার্ক-ফিনল্যান্ড (Denmark vs Finland) ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ড্যানিশ উইঙ্গার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন (Christian Eriksen)। থ্রো ইন হাঁটুতে লাগার পরই জ্ঞান হারান এরিকসেন। সঙ্গে সঙ্গে ডেনমার্ক দলের অধিনায়ক সিপিআর (CPR) পদ্ধতিতে সুস্থ হওয়ার প্রক্রিয়া চালু করেন। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার রাতেই জানা যায় তাঁর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। তবে কী কারণে এমনটা হল, তা এখনও পরিস্কার নয়।
এখন হাসপাতালেই রয়েছেন এরিকসেন। তাঁর শুভাকাঙ্খীরা দ্রুত আরোগ্য কামনা করে চলেছে। ড্যানিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের খবর অনুযায়ী, আজ, রবিবার সকালে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি জানান, তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল এবং তিনি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য আপাতত হাসপাতালেই থাকবেন। এই কঠিন পরিস্থিতিতেও তাঁর দলের সতীর্থদের শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন এরিকসেন। আপাতত ড্যানিশ উইঙ্গারের আরোগ্য কামনায় ব্যস্ত গোটা দুনিয়া।
Update regarding Christian Eriksen. pic.twitter.com/YuKD9hS9LV
— DBU – En Del Af Noget Større (@DBUfodbold) June 13, 2021
এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে তিনি এরপর কী আর পেশাদার ফুটবল খেলতে পারবেন? ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক সঞ্জয় শর্মা একসময় এরিকসনের চিকিৎসক ছিলেন। টটেনহ্যাম হটস্পারে এরিকসেন থাকাকালীন তাঁর শারীরিক অবস্থা দেখভালে দায়িত্ব ছিল লন্ডনের সেন্ট জর্জ ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ও স্পোর্টস কার্ডিয়োলজিস্ট সঞ্জয় শর্মার ওপর। তিনি বলছেন, “পরিস্কারভাবেই বোঝা যাচ্ছে কিছু একটা খারাপ হয়েছে নিশ্চয়ই। তবে মূল প্রশ্নটা হল কী হয়েছিল? এবং কেনই বা হয়েছিল?”
সঞ্জয় শর্মার কথায়, “কীসের ভিত্তিতে এই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হল? কারণ এরিকসেন ২০১৯ সাল পর্যন্ত সব পরীক্ষায় স্বাভাবিক ছিলেন।” তবে সবকিছুর মধ্যেও একটাই ভালো দিক দেখছেন সঞ্জয় যে, এরিকসেন বেঁচে রয়েছেন। তাঁর কথায়, “আজ ওর যে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হল, সেটা গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। এই ঘটনাটা প্রচুর মানুষের মনে গভীর প্রভাব ফেলল।”
তবে এরিকসেন আর ফুটবল খেলতে পারবেন কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত নন সঞ্জয়। কারণ হার্টের সমস্যা থাকলে সেই ফুটবলারকে খেলতে দেওয়া হয় না। যদিও এরিকসনের ১১ বছরের লম্বা কেরিয়ারে এর আগে কোনওদিন এইরকম সমস্যা হয়নি। স্পোর্টস কার্ডিয়োলজিস্ট সঞ্জয় বলেছেন, “এখন একটাই ভালো খবর, সেটা হল ও বেঁচে আছে। তবে ও কি আর পেশাদার ফুটবল খেলবে? এটাই এখন বড় প্রশ্ন, যদিও আমি এটা বলতে পারি না। তবে ব্রিটেনের ফুটবল সংস্থার ফিট ফুটবলার খেলানোর ক্ষেত্রে খুবই কড়া নিয়ম রয়েছে। একজন ফুটবলার কতটা ফিট সেটা দেখা হয় নানা প্যারামিটার দিয়ে।”
আরও পড়ুন: EURO2020 : সুস্থ হচ্ছেন এরিকসেন, জিতল ফুটবলের ‘মানবিকতা’