Jobs From Gaming: গেমিং থেকে বছরে ১ লাখ চাকরি, বড়সড় পরিকল্পনার কথা জানাল দেশি স্টার্টআপ উইনজ়ো
Winzo: দেশের গেমিং স্টার্টআপ সংস্থা উইনজ়ো বড়সড় পরিকল্পনা করছে। সংস্থাটি আশা করছে, তারা এমনই ইকোসিস্টেম তৈরি করেছে যা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ১ লাখ মানুষের অন্ন-সংস্থানের ব্যবস্থা করবে।
দেশের গেমিং (Gaming) স্টার্টআপ সংস্থা উইনজ়ো (Winzo) বড়সড় পরিকল্পনা করছে। সংস্থাটি আশা করছে, তারা এমনই ইকোসিস্টেম তৈরি করেছে যা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে ১ লাখ মানুষের অন্ন-সংস্থানের ব্যবস্থা করবে। সংবাদমাধ্যম পিটিআই-এর কাছে উইনজ়ো-র সহ-প্রতিষ্ঠাতা সৌমিয়া সিং রাঠৌর দাবি করেছেন, গেমের নম্বরের দিক থেকে গ্রোথ নিশ্চিত করছেন গৃহবধূ, শিক্ষক, প্রভাবশালীরা তাঁদের বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে প্রাপ্ত অর্থের মাধ্যমে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, আগামী কয়েকটা বছরে এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে চলেছে। সৌমিয়া সিং রাঠৌরের কথায়, “২ বছর আগে উইনজ়োতে কাজ করছিলেন ২৫,০০০ মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সার, যাঁরা প্রতি মাসে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা রোজগার করছিলেন। সেই সংখ্যাটাই বেড়ে গিয়ে এখন ১ লাখ ইনফ্লুয়েন্সারে দাঁড়িয়েছে এবং এবং তাঁদের গড় রোজগার প্রতি মাসে ৭৫,০০০ টাকা থেকে ১ লাখ টাকার মধ্যে। আমরা মনে করছি, পরের বছরই এই নম্বর ডাবল হয়ে ২ লাখে দাঁড়াবে। আর তাঁদের রোজগার এখনকার থেকে ২-২.৫ গুণ বেড়ে যাবে।”
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, উইনজ়ো থেকে যে সব ইনফ্লুয়েন্সারেরা রোজগার করছেন, তাঁদের অনেকের ঝুলিতেই ১০ লাখ সাবস্ক্রাইবার হয়ে গিয়েছে এবং প্রতি মাসে তাঁদের রোজগার প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকার মধ্যে। মোট ১২টি ভাষায় এই মুহূর্তে গেমস উপলব্ধ করেছে উইনজ়ো। সেই তালিকায় রয়েছে, ইংরেজি, হিন্দি, গুজরাতি, মরাঠি, বাংলা এবং ভোজপুরির মতো জনপ্রিয় ভাষা, যাদের প্রায় ৮ কোটি রেজিস্টার্ড ইউজার রয়েছে।
রাঠৌর দাবি করেছেন যে, তাঁদের প্ল্যাটফর্মে একাধিক ট্রানস্লেটরকে নেওয়া হয়েছে, যাঁরা প্রজেক্ট বেসিসে কাজ করেন। তিনি জানিয়েছেন যে, গেমের সংখ্যা যতই বাড়ছে, ততই বাড়ছে ট্রানস্লেটরের চাহিদা। রাঠৌরের কথায়, “দুই বছর আগে উইনজ়োতে ৩০০ থেকে ৪০০ জন ট্রানস্লেটর কাজ করতেন। সেই সংখ্যাটাই এখন ৭,০০০-এ দাঁড়িয়েছে এবং আরও ৫টি ভাষা যোগ করার পরে মোট ভাষার সংৎখ্যা ১২। পরের বছরই ট্রানস্লেটরের সংখ্যাটা দেড় থেকে দ্বিগুণ হবে বলেই আমাদের ধারণা। ট্রানস্লেটররা প্রতি মাসে ৩৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা রোজগার করেন।”
এই মুহূর্তে চাকরির জন্য অ্যানিমেশন, ভিজ়ুয়াল এফেক্টস, গেমিং এবং কমিক্স অর্থাৎ এভিজিসি সেক্টরে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে ভারত সরকার। কেন্দ্রের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের তরফে ইতিমধ্যেই একটি এভিজিসি প্রোমোশন টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই, এই সেক্টরের সম্ভাবনা কতটা, তাই একবার যাচাই করে নেওয়া। এদিকে আবার ওয়েব ৩.০ সেগমেন্টে প্রবেশ করতে চলেছে উইনজ়ো, যা সম্পূর্ণ ভাবে ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপরে ভিত্তি করে তৈরি করা হবে। রাঠৌর জানালেন, কোম্পানির ডিরেক্ট হেডকাউন্ট পরবর্তী এক-দুই বছরের মধ্যে ডাবল করা হবে।
এদিকে আবার গুগল প্লে স্টোর থেকে ইতিমধ্যেই বেরিয়ে এসেছে উইনজ়ো। সংস্থাটি নিজস্ব একটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে এসেছে যেখানে থার্ড-পার্টি গেম ডেভেলপাররা নিজেদের গেম হোস্ট করতে পারবে। এই প্ল্যাটফর্মে গেম ডেভেলপারদের কাছে কমিশনও চার্জ করে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: পাবজি নিউ স্টেটে আসছে অ্যামং আস, ২১ এপ্রিল থেকে শুরু বিশেষ ইভেন্ট
আরও পড়ুন: নতুন আপডেট পেল বিজিএমআই, নিম্বাস আইল্যান্ডের গতি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান
আরও পড়ুন: বিজিএমআই ওপেন চ্যালেঞ্জ দ্য গ্রিন্ডের ফাইনালে কারা উঠল? ১৬টি ফাইনালিস্টের তালিকা দেখে নিন